‘রোজা রাখার নিয়তে শেষ রাতে আহার করার নাম সাহরি।’ ‘সাহরি’ খাওয়া সুন্নত এবং শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতের জন্য তা আল্লাহতায়ালার বিরাট অনুদানবিশেষ। আগের নবীদের উম্মতদের জন্য সাহরি খাওয়ার বিধান ছিল না। প্রথম দিকে আমাদের ওপরও হুকুম ছিল, ‘রোজা রেখে রাতের বেলা একবার ঘুমিয়ে পড়লে পরে জাগ্রত হয়ে আর পানাহার বা স্ত্রীর কাছে যেতে পারবে না।’ পরে আল্লাহ যখন দেখলেন এ বিধান প্রিয় নবীর উম্মতের জন্য খুবই কষ্টকর, দেখা গেল সাহাবায়ে কিরামের কেউ কেউ রোজার উপবাস-ক্লান্ত শরীর নিয়ে সন্ধ্যায় ঘুমিয়ে পড়েছেন। হঠাৎ তন্দ্রার মধ্যে মানবীয় দুর্বলতায় আপন স্ত্রীদের সাহচর্যে লিপ্ত হয়েছেন। পরদিন নবীর দরবারে এসে অনুতপ্ত কণ্ঠে এই গোপন বিচ্যুতির কথা অকপটে ব্যক্ত করেছেন, ক্ষমালাভের প্রত্যাশায় তখন দয়াময় আল্লাহ সাহাবাদের এই অপারগতাকে ক্ষমা করে দেন। এমনকি তার অপার অনুগ্রহ-অনুদানের দুয়ার উন্মুক্ত করে দিয়ে সাহরি খাওয়ার অনুমতি দেন। (তাফসিরে মাআরেফুল কোরআন, সূরা বাকারা, ১৮৭ নম্বর আয়াতের তাফসির প্রসঙ্গ)। আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সঙ্গে সহবাস কর এবং যা কিছু আল্লাহ তোমাদের জন্য দান করেছেন, তা আহার কর। আর খানাপিনা কর, যতক্ষণ না কালো রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর পরদিন সন্ধ্যা নাগাদ রোজা সম্পূর্ণ কর।’ (সূরা বাকারা : ১৮৭)। এভাবে রোজার দিনে রাতের ভাগটা সম্পূর্ণ খোলা হয়ে যায় আমাদের জন্য এবং রোজার প্রস্তুতিতে রাতের শেষ ভাগে ‘সাহরি’ খাওয়ার সুন্দর সুন্নত নিয়ম প্রবর্তিত হয়। হাদিসে এই সাহরিকে উম্মতে মুহাম্মদীয়ার বৈশিষ্ট্য বলে উল্লেখ করে এরশাদ হয়েছে, ‘আমাদের রোজা এবং আহলে কিতাব (ইহুদি-খ্রিস্টানদের) অনুসারীদের রোজার মধ্যে (অন্যতম) পার্থক্য হলো সাহরি খাওয়া।’ (মুসলিম, মিশকাত)। বস্তুত সাহরি আমাদের জন্য আল্লাহর বিরাট অনুগ্রহ ও অনুদান এবং রসুল (সা.)-এর সুন্দরতম সুন্নত। এর মধ্যে জড়িয়ে রয়েছে আমাদের সামগ্রিক জীবনের জন্য বৃহত্তম কল্যাণ, বরকত ও প্রাচুর্য। বুখারি ও মুসলিমে বর্ণিত, হুজুর (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘তোমরা সাহরি খাও। কেননা সাহরি খাওয়ার মধ্যে বরকত মিশে রয়েছে।’ (মিশকাত)। অন্য এক হাদিসে হজরত এরবাজ বিন সারিয়া (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা মাহে রমজানে রসুল (সা.) আমাকে ‘সাহরি’ খাওয়ার দাওয়াত দিলেন এবং তিনি এই বলে ডাকলেন, ‘তুমি বরকতপূর্ণ আহারের জন্য এসো।’ (আবু দাউদ, নাসায়ি)। হে আল্লাহ! নবী (সা.)-এর সাহরির মতো আমাদের সাহরি খাওয়াকে বরকতময় করে দিন। লেখক : বিশিষ্ট মুফাসসিরে কোরআন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, www.selimazadi.com
শিরোনাম
- চীন-ভারতসহ ব্রিকস সদস্যদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি
- এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী
- আফ্রিকা-জিম্বাবুয়ের সঙ্গে যুবাদের ত্রিদেশীয় সিরিজের সূচি ঘোষণা
- গণমাধ্যমকে হুমকি বন্ধে হস্তক্ষেপ কামনা মার্কিন কংগ্রেসের
- বৃষ্টিতে মোংলা পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা, জনজীবন বিপর্যস্ত
- ভিন্নমত দমনের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতারা
- রাজধানীতে দুই বাসের মাঝে চাপা পড়ে একজন নিহত
- একজনের নামে সর্বোচ্চ ১০ সিম, কার্যকর ১৫ আগস্ট থেকে
- চীনে সীসা বিষক্রিয়ায় অসুস্থ ২৩৩ শিশু
- দেশজুড়ে পুলিশি অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১৬০৭
- পেদ্রোর জোড়া গোলে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে চেলসি
- ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি, আজও বৃষ্টির আভাস
- অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলে ফেরার তাড়া নেই ডেভিডের
- ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার
- দীপিকার ‘৮ ঘন্টা কাজ’ প্রসঙ্গ নিয়ে রাশমিকার খোঁচা!
- জিম্বাবুয়ে হোয়াইটওয়াশ, প্রোটিয়াদের টানা ১০ জয়ের রেকর্ড
- যাত্রাবাড়ীতে ১০ হাজার ইয়াবাসহ দুইজন গ্রেফতার
- শাহজালালে ৮৯৬ গ্রাম সোনাসহ দুইজন আটক
- মুরাদনগরের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা: তদন্তভার ডিবিতে, ঘটনাস্থলে তদন্ত কর্মকর্তা
- ১৮ দিনে ১৫০ কোটির দোরগোড়ায় ‘সিতারে জামিন পার’
বরকতময় মাহে রমজান
যে কারণে সাহরি খাই
মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদী
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর