মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-রুশ সম্পর্ক উচ্চতায় এনেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-রুশ সম্পর্ক উচ্চতায় এনেছেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ ও ২০১৩ সালে রাশিয়া সফর করে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে  গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে মস্কো সফর করে কৃতজ্ঞতা জানান। বঙ্গবন্ধু দুই দেশের সম্পর্ক ও বন্ধুত্বকে  যে ভিত্তি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুই দফা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সে বন্ধুত্বকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। রাশিয়া আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। গতকাল দুই দেশের সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে এক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে রাশিয়ার প্রধান বিচারপতি ভায়াচেসলাভ এম লেভদেভ ও বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা দুই  দেশের সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেন। বিচারপতি ওয়াহ্হাব মিঞা বলেন, দুই দেশের বিচার বিভাগের মধ্যে সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে আমাদের বিচার ব্যবস্থা শক্তিশালী হবে। এই সহযোগিতা চুক্তির প্রধান উদ্দেশ্য দুই দেশের বিচার ব্যবস্থার মধ্যে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময় করা। এ ছাড়া বিচার ও মামলা ব্যবস্থাপনায় ই-সার্ভিস প্রতিষ্ঠায় রাশিয়ার প্রযুক্তিগত সহায়তাপ্রাপ্তিও এ চুক্তির অন্যতম উদ্দেশ্য। এর বাস্তবায়ন হলে কম সময়ে, কম খরচে ও কম লোকবল ব্যবহার করে মামলা জট নিরসন করা যাবে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, রাশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতসহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। চুক্তি স্বাক্ষরের পর সুপ্রিম কোর্টের সম্মুখভাগে দুটি গাছের চারা রোপণ করেন দুই দেশের প্রধান বিচারপতি। এরপর বেলা ১২টা ১৭ থেকে ১টা ১৪ পর্যন্ত আপিল বিভাগের এজলাসে বসে বিচার কাজ প্রত্যক্ষ করেন রুশ প্রধান বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টে মধ্যাহ্নভোজের পর বিকালে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পরে বিকালে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শনে যান তিনি। এরপর সন্ধ্যায় বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির সৌজন্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিচারপতি লেভদেভ। আজ বিকালে নিজ দেশের উদ্দেশে তার ঢাকা ত্যাগ করার কথা। তিন দিনের সফরে ৮ অক্টোবর সকালে ঢাকায় আসেন রাশিয়ান প্রধান বিচারপতি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর