শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা
শ্রমিকরা জগভরে ওয়াসার পানি খায় অসুস্থ হয় না

বহুদিন অফিসে আসছি গোসল না করে

এলজিআরডি মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বহুদিন অফিসে আসছি গোসল না করে

ওয়াসার পানির বিশুদ্ধতা নিয়ে সমালোচনাকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, শ্রমিকরা জগভরে ওয়াসার পানি খায়, কিন্তু অসুস্থ হয়নি এক বছরেও। অপর দিকে ওয়াসার পানি না পাওয়ায় বহুদিন গোসল না করেও তিনি অফিস করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন। অগ্নিনির্বাপণ প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে গতকাল সচিবালয়ে সভার শুরুতে ঢাকা ওয়াসার পানির প্রসঙ্গটি নিয়ে কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, আলোচনা-সমালোচনা সরকারের সংস্থাগুলোকে সহজভাবে আমলে নেওয়া উচিত। তাহলে আমাদের আর কিছু করণীয় আছে কিনা, কোথায় কোনো ভুলত্রুটি আছে কিনা; সে বিষয়ে সংশোধন ও সচেতন হতে পারব। মন্ত্রী এক দশক আগের ঢাকা ও চট্টগ্রামে ওয়াসার পানি সরবরাহজনিত সংকট তুলে ধরে বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে এই শহরে বসবাস করি, চট্টগ্রামে বসবাস করি, গ্রামে বসবাস করি। যেহেতু রাজনীতি করি বাংলাদেশের বেশিরভাগ জায়গায় যাই। ভেরি অনেস্টলি বলি, নট দ্য সেন্স অব এনি পারশিয়াল অর পলিটিক্যাল; আমরা ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতায় আসি, বহুদিন গোসল না করে অফিসে আসছি। আমি চট্টগ্রামের খুলশিতে থাকি, সেখানেও দেখা গেছে যে আমি গোসল করতে পারিনি। গাড়িতে করে পানি আনিয়ে ব্যবহার করছি। চট্টগ্রামের সিডিএ এলাকায় ৩/৪ বছর পর্যন্ত ওয়াসার কোনো পানি যায়নি। হালিশহর এলাকায় পানি পাওয়া যাবে না- এই মানসিকতা নিয়ে সবাই মাইন্ডসেট হয়ে গেছে, যদি আসে এটা একটা আশ্চর্য ঘটনা ঘটবে। বর্তমানে ওয়াসার পানি সরবরাহে কোনো সংকট নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে ৭-৮ বছরের মধ্যে পানি আমার বাসায় আসেনি, এমন কোনো ঘটনা নেই। আর অ্যাপারেন্টলি পানি দেখে আমার কাছে কখনই মনে হয়নি যে, এই পানিটার মধ্যে ময়লা আছে। আগের তুলনায় পানির মান উন্নত হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে নির্মাণ শ্রমিকরা নিয়মিত, আমি এক জায়গায় এক বছর পর্যন্ত সেখানে মাঝে মধ্যে যাই, সেখানে দেখি পাইপলাইনের পানি জগে নেয় এবং খায়। এক বছর পর্যন্ত তারা অসুস্থ হয়নি। ঘটনাটা হলো কে খাবে কে খাবে না- এটা ডিপেন্ড করবে আপনি কতটুকু রিস্ক  নেবেন। মন্ত্রী  বলেন, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু অগ্নি দুর্ঘটনায় জানমালের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা কারও কাম্য নয়। এ ধরনের দুর্ঘটনা যেন কমিয়ে আনা যায় সে জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হচ্ছে। অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করাও জরুরি।

সর্বশেষ খবর