শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১৮ জুন, ২০১৯ আপডেট:

বঙ্গবন্ধু লন্ডনে ইন্দিরার প্রতিনিধির সঙ্গে সশস্ত্র যুদ্ধের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
বঙ্গবন্ধু লন্ডনে ইন্দিরার প্রতিনিধির সঙ্গে সশস্ত্র যুদ্ধের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে বৈঠকে যাওয়ার আগে স্বাধীন বাংলার পতাকা গাড়িতে লাগাতে চাননি বলে যে বক্তব্য সিরাজুল আলম খান দিয়েছেন তা জঘন্য, মিথ্যাচার বলে তোফায়েল আহমেদ নাকচ করে দিয়েছেন। সিরাজুল আলম খানের জবানবন্দিতে লেখা ‘আমি সিরাজুল আলম খান’ বইয়ে বর্ণিত স্বাধীনতার ইতিহাস কীভাবে অসত্য তথ্যে ভরপুর ও বিকৃতির নির্লজ্জ মিথ্যাচার তোফায়েল আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া কয়েক পর্বের সাক্ষাৎকারে তথ্য-উপাত্তসহ তা তুলে ধরেছেন। আজ তার সাক্ষাৎকারের শেষ পর্বে দেওয়া বক্তব্যে ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের নায়ক, ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধে মুজিববাহিনীর অন্যতম প্রধান তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ’৭১-এর ১ মার্চের ঘটনাও সিরাজুল আলম খান অসত্য বলেছেন। যেমন বলেছেন ৭ মার্চসহ নানা ঘটনা। ১ মার্চ সিরাজুল আলম খান বলেছেন, শহীদ মিনারে ছাত্রসভা থেকে নিউক্লিয়াসের হয়ে তিনি পরদিন আ স ম রবকে পতাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। কিন্তু ইয়াহিয়া খানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিতের ঘোষণায় গোটা ঢাকা শহর তখন প্রতিবাদের আগুনে রাজপথে আছড়ে পড়ে মিছিলের নগরীতে পরিণত করে। হোটেল পূর্বাণীতে ও পল্টনে লাখো লাখো লোক সমবেত হয়। তখন পূর্বাণীর সংসদীয় দলের বৈঠক থেকে বঙ্গবন্ধু ইয়াহিয়া খানের বক্তব্যের তীব্র ভাষায় জবাব দেন। অন্যদিকে তোফায়েল আহমেদকে পল্টনে লাখো ছাত্র-জনতার সমাবেশে বক্তৃতা করতে পাঠান। পরদিনের ইত্তেফাকের সেই সংবাদ এখনো আছে। সেদিনই ছাত্রলীগ ও ডাকসু মিলে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিশ্বরাজনীতিতে আপসহীন চিরসংগ্রামী অসম সাহসী বিচক্ষণ ও নির্ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণের এক বিরল রাজনীতিবিদ ছিলেন আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জয়া বাংলা স্লোগান থেকে আমার সোনার বাংলা জাতীয় সংগীত করা এমনকি স্বাধীন দেশের নাম বাংলাদেশ হবে সবকিছুই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি ছিলেন স্বাধীনতার মহান নেতা। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর টার্গেট ছিল তার দিকে। তাকেই তারা ১৩ বছর জেলে রেখেছে। ফাঁসিতে ঝোলাতে চেয়েছে। তিনি ধীরে ধীরে স্বাধীনতার সংগ্রামকে মুক্তিযুদ্ধের দিকে নিয়ে যান। তিনি দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে যে কথা বলতে পারতেন না সেই কথা তার দলের নেতা-কর্মীদের দিয়ে বলাতেন। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তার নির্দেশের বাইরে, তার সিদ্ধান্তের বাইরে একচুল নড়েননি। একটি কথাও বলেননি। ’৬২ সালে আমরা স্লোগান তুলেছি, ‘জাগো জাগো বাঙালি জাগো’। ’৬৬ সালে স্লোগান তুলেছি, ‘পাঞ্জাব না বাংলা, বাংলা বাংলা’, ‘পিন্ডি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’। ’৬৯ সালে আমরা স্লোগান তুলেছি, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’, ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা’।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ঘটনাবহুল অগ্নিঝরা ’৭১-এর উত্তাল মার্চ দেশের মানুষের চোখের সামনে এখনো রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলন ঘোষণার পর পূর্ব বাংলায় তার নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়েছে। একদিকে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে সশস্ত্র যুদ্ধের প্রস্তুতি অন্যদিকে ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে সময় ক্ষেপণের আলোচনা চলছে। ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবস প্রতিরোধ দিবস ঘোষণা করা হয়েছিল। সবখানে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়েছে। তখন প্রতিদিন ছাত্র-জনতার মিছিলের স্রোত এসে ৩২ নম্বর বাড়িতে মিলিত হতো। আর মহান নেতা তাদের দিকনির্দেশনা দিতেন। বিদেশি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতেন। ২৩ মার্চ স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ নেতা নূরে আলম সিদ্দিকী, শাজাহান সিরাজ, আ স ম আবদুর রব ও আবদুল কুদ্দুস মাখনের নেতৃত্বে ছাত্রসমাজের মিছিল এসে ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর হাতে স্বাধীন বাংলার পতাকা তুলে দেয়। বঙ্গবন্ধু জনগণের অভিবাদনের জবাবে সেই পতাকা ওড়ান। তিনি ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে যাওয়ার সময় গাড়ির একদিকে আওয়ামী লীগের পতাকা আরেকদিকে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়িয়েছেন। সেখানে সিরাজুল আলম খানের বক্তব্য মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই নয়। এমনকি সেদিন ক্যান্টনমেন্ট, গভর্নর হাউস ছাড়া কোথাও পাকিস্তানের পতাকা ওড়েনি। উড়েছে স্বাধীন বাংলার পতাকা। উড়িয়েছে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ বাঙালি। সে সময় আসগর খান পূর্ব বাংলায় ছিলেন। তিনি সেদিনের ঘটনা উল্লেখ করতে গিয়ে তার বইয়ে লিখেছেন, ‘ক্যান্টনমেন্ট ও গভর্নর হাউস ছাড়া কোথাও আর পাকিস্তানের চিহ্নটুকু দেখতে পাইনি।’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, সিরাজুল আলম খান বলেছেন, ১৯৭০ সালের ১৮ ডিসেম্বর আমাদের মুজিববাহিনীর চার প্রধানকে বঙ্গবন্ধু তার বাসভবনে চিত্তরঞ্জন সুতারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে তার কলকাতা ঠিকানা মুখস্থ করিয়েছিলেন। প্রথম কথা হলো, ৭ ডিসেম্বর জাতীয় পরিষদ নির্বাচন হয়। আর ১৭ ডিসেম্বর প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন হয়। সেদিন এ ধরনের কোনো মিটিং হয়নি। আমি নিজে ছিলাম না। আর চিত্তরঞ্জন সুতার বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কারাবরণই করেননি, ’৭০ সালের নির্বাচনে স্বরূপকাঠি থেকে জাতীয় পরিষদ সদস্য হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর মনোনয়নে। নির্বাচনের পর বঙ্গবন্ধু তাকে কলকাতা পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। চিত্তরঞ্জন সুতারের উপস্থিতিতে কোনো বৈঠক হয়নি। সিরাজুল আলম খান আরও বলেছেন, ১৮ জানুয়ারি দুপুরবেলা আমাদের চারজনকে নিয়ে তাজউদ্দীন আহমদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেতে খেতে আবার কলকাতার ঠিকানাটি স্মরণ করিয়ে দেন। এটিও সত্য নয়। উপকূলীয় ঘূর্ণিঝড়ে যে কটি এলাকার নির্বাচন পরে হয় তার একটি ছিল আমার নির্বাচনী এলাকা। ১৭ জানুয়ারি ’৭১ আমার এলাকায় নির্বাচন হয়। ১৮ জানুয়ারি আমি ভোলাতেই ছিলাম। তাহলে সেই দুপুরের বৈঠকে থাকি কী করে?

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ইয়াহিয়া ও ভুট্টো যখন টালবাহানা শুরু করেন, তখন ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭১ সালে মুজিববাহিনীর আমাদের চার প্রধানকে চিত্তরঞ্জন সুতারের ২১ রাজেন্দ্র রোড, নর্দার্ন পার্ক, ভবানীপুর, কলকাতার ঠিকানা মুখস্থ করিয়েছিলেন। শেখ ফজলুল হক মণি, কামারুজ্জামান, ডা. আবু হেনাসহ আমরা ’৭১-এর ৩১ মার্চ এই ঠিকানায় যখন পৌঁছেছি তখনো সিরাজুল আলম খান যাননি। তিনি যেভাবে বলেছেন দিল্লি বার বার বার্তা দিচ্ছিল তার জন্য, সেটি সত্য নয়। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ’৭০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের সভা চলাকালে আফতাব আহমদ জয় বাংলার স্লোগান দিয়েছেন বলে সিরাজুল আলম খান যে দাবি করেছেন তাও মিথ্যাচার। ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে সেদিন তিনি সভাপতিত্ব করেছিলেন। কোনো স্লোগান ওঠেনি। আর আফতাব আহমদ ছাত্রলীগের কোনো দায়িত্বেও ছিলেন না।

সিরাজুল আলম খান তার পরামর্শে নিউক্লিয়াসের ২০০ তরুণকে বঙ্গবন্ধু ’৭০ সালের নির্বাচনে প্রার্থী করেছিলেন বলে যে দাবি করেছেন তা একটি আষাঢ়ে গল্প। ইতিহাস ও সত্যের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। ছাত্রলীগ থেকে বিদায় নেওয়া আমরা মাত্র পনের জনের মতো মনোনয়ন পেয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু তার মাঠের আওয়ামী লীগ সংগঠক ও কর্মীদের মধ্য থেকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, সে নির্বাচনে নিউক্লিয়াসের প্রতিনিধিরা সব আসনে কাজ করেছেন। এও সত্য নয়। তিনি তার এলাকায় নির্বাচনে কাউকে দেখেননি। এমনকি বঙ্গবন্ধু এত আসনে জয়লাভ করবেন জানতেন না। কিন্তু তিনি নিউক্লিয়াসের মাধ্যমে জানতেন বলে যে বড়াই করেছেন তা পাঠ করে নিজের বিবেকের কাছে লজ্জিত হওয়া ছাড়া আর কিছু নেই। নিজেকে বড় করতে গিয়ে কীভাবে এতটা ছোট করলেন বুঝতে পারি না। ’৭০ সালের নির্বাচনে বাঙালি জাতি আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের ভোট দেয়নি, ভোট দিয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে। প্রার্থীরা কেবল ছিলেন তার প্রতীকী প্রতিনিধি। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ঢাকায় নিযুক্ত সে সময়ের ব্রিটিশ কনস্যুলার জেনারেল আর্চার ব্লাড তার বইতে লিখেছেন, ৭ ডিসেম্বরের নির্বাচনের দুই দিন আগে তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করে জানতে চেয়েছিলেন আপনার দল কতটি আসনে জয়লাভ করবে? তখন বঙ্গবন্ধু তাকে বলেছিলেন, দুটি আসন ছাড়া বাকি সব আসনে তার প্রার্র্থীরা জয়লাভ করবেন। সেই দুটি আসনের মধ্যে ছিল রাজা ত্রিদিব রায় ও নূরুল আমিনের আসন। বঙ্গবন্ধু নির্বাচনে ভোট দিয়ে যখন পুরানা পল্টন আওয়ামী লীগের অফিসে এলেন, তখন বিদেশি সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, তিনি কতটি আসনে জয়লাভ করবেন বলে মনে করেন? বঙ্গবন্ধুর জবাব ছিল, ‘আমার দল যদি দুটি আসনের বেশি পরাজিত হয় তাহলে আমি অবাক হব।’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘অনেক নির্বাচনী এলাকায় তিনি বঙ্গবন্ধুর সফরসঙ্গী হয়েছেন। নান্দাইলে বঙ্গবন্ধুর নির্বাচনী সভায় লাখো মানুষের ঢল নামল। সফরসঙ্গীরা যখন বললেন, এ আসনে নৌকা বিজয়ী হবে তখন তিনি বললেন, না এখানে নূরুল আমিন বিজয়ী হবেন। আর জনগণ আমাকে দেখতে এসেছিল।’

তোফায়েল আহমেদ জানান, গোলটেবিল বৈঠক থেকে ফিরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ ও নূরুল আমিন তাকে সমর্থন দিয়েছেন। তা তাদের ধারণা বঙ্গবন্ধুর সেই বক্তব্য নূরুল আমিনের প্রতি মানুষকে সহানুভূতিশীল করেছিল। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ৩ মার্চ পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ অধিবেশন থাকায় বঙ্গবন্ধু ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম, প্রফেসর রেহমান সোবহান, ড. মোজাফফর আহমদ, নূরুল ইসলামসহ কয়েকজনকে খসড়া সংবিধান প্রণয়নের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সিরাজুল আলম খান দাবি করেছেন, বঙ্গবন্ধু তার এক প্রশ্নের জবাবে তাকে তাদের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করে দেন। এ বক্তব্য যাচাই করতে তিনি ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন। ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম তাকে পরিষ্কার বলেছেন, তাদের সঙ্গে কোনো বৈঠকেই সিরাজুল আলম খান উপস্থিত হননি এবং তাদের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ ছিল না। বঙ্গবন্ধু ৩ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শপথ অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে পরিষ্কার বলেছেন, ছয় দফা আজ আর আমার নয়। ছয় দফা আমার দলের নয়। এই নির্বাচনের মাধ্যমে এটা জনগণের সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে। কেউ ছয় দফার সঙ্গে বেইমানি করলে জ্যান্ত কবর দেওয়া হবে। এমনকি আমি করলে আমাকেও। তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, ছয় দফা প্রশ্নে আপস করলে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। ’৭০ সালের নির্বাচনের আগে এলএফও দেওয়া হয়েছিল। যার ২৫-২৭ অনুচ্ছেদে ছিল, মেজরিটি পার্টি সংবিধান প্রণয়ন করলে প্রেসিডেন্ট অনুমোদন দেবেন। অনেকে বঙ্গবন্ধুকে নির্বাচন না করার পরামর্শ দিলে তিনি পরিষ্কার বলেছিলেন, এই নির্বাচন ক্ষমতায় যাওয়ার নির্বাচন নয়। মানুষ আমার পক্ষে না পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর পক্ষে- তার গণভোট হবে নির্বাচন। সিদ্দিক সালিকের ‘উইকনেস টু সারেন্ডার’ বইয়ে লেখা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু বলেছেন, নির্বাচনের পর এলএফও টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলবেন। স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানকে উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ সংবিধান বলা হলেও সিরাজুল আলম খান তখন দল ছেড়ে জাসদ গঠন করে বলেছেন, এটা নাকি আধা খেচড়া সংবিধান। সিরাজুল আলম খান ১৯৭০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পুনর্মিলনী সভায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রধান অতিথি ছিলেন বলে লিখেছেন। সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রধান অতিথি থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সত্য হচ্ছে সেদিন সৈয়দ নজরুল নয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধান অতিথি ছিলেন। সেই সভার সভাপতি ছিলেন ছাত্রলীগ সভাপতি তোফায়েল আহমেদ। তখন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আ স ম আবদুর রব। ৫ জানুয়ারির ইত্তেফাকে দেখা যায়, সেই পুনর্মিলনীর রিপোর্ট পড়লে সিরাজুল আলম খানের বক্তব্য মনগড়া, মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই নয়। সেদিন সিরাজুল আলম খান নিজেই সেই সভায় ছিলেন না। তাই ৫ জানুয়ারির খবরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের অনেকের নাম থাকলেও তার নাম ছিল না। বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন, ‘ছয় দফার দাবিতে যখন বাংলার মানুষ গুলি খেয়ে রাজপথে লুটিয়ে পড়েছে তখন তারা কোথায় ছিলেন?’ প্রতিপক্ষের নিকট এটি ছিল বঙ্গবন্ধুর জিজ্ঞাসা। বঙ্গবন্ধু সেদিন আরও বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচনী ঐক্যে বিশ্বাসী নয়। নির্বাচনী ঐক্যে ক্ষমতায় যাওয়া যায়, মানুষের কল্যাণ করা যায় না। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, দেশের সাধারণ নির্বাচন হবেই। আইয়ুবের পতনের সঙ্গে দালালিরও পতন হয়েছে। কোনো স্বার্থান্বেষী মহল সাধারণ নির্বাচন বানচাল করতে চাইলে জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার রাখতে সেই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে। কোনো কোনো দল রাজনৈতিক ঐক্যফ্রন্ট গঠনের ধূম্রজাল সৃষ্টির উল্লেখ কররে তিনি যুক্তফ্রন্টের জগাখিচুড়ি অবস্থা ও কোনো কোনো নেতার গণবিরোধী কর্মকান্ডে র কথা মনে করিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ নিজস্ব কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাবে। জনগণের ঐক্য কর্মসূচির ভিত্তিতে হবে। ১১ দফায় ছয় দফাও আছে। এটি জনগণ ও ছাত্রসমাজের ঐক্য তৈরি করেছে। ১১ দফাকে আমিও সমর্থন করি। ৫ জানুয়ারির ইত্তেফাকের রিপোর্ট অনুযায়ী সেদিনের সভায় তাজউদ্দীন আহমদ, কামারুজ্জামান, এম এ ওয়াদুদ, কাজী গোলাম মাহবুব, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, শেখ ফজলুল হক মণি, কে এম ওবায়দুর রহমান, আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দ মাজহারুল হক বাকী ও খালেদ মোহাম্মদ আলী উপস্থিত থাকলেও সিরাজুল আলম খান ছিলেন না। সিরাজুল আলম খান মনগড়া বাংলাদেশ নামকরণের কাহিনী তৈরি করে বলেছেন, ১৯৭০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমির আলোচনা সভায় তাদের নিউক্লিয়াস তত্ত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশ নামকরণের ঘোষণা দেন। এই মিথ্যাচারের বিপরীতে পরদিনের গণমাধ্যমই বড় প্রমাণ। বঙ্গবন্ধু ’৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনায় বক্তৃতা শেষে স্লোগান তুলেছিলেন, ‘আমার দেশ তোমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’। পরদিনের ইত্তেফাক দেখে নিতে পারেন, কারও মনে সংশয় থাকলে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ইয়াহিয়ার মার্শাল লর মধ্যে ’৬৯ সালের সেপ্টেম্বরে বঙ্গবন্ধু লন্ডন যান। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তখন স্বামীর সঙ্গে ইতালি ছিলেন। সেখান থেকে লন্ডন গিয়ে পিতার সঙ্গে মিলিত হন। বঙ্গবন্ধু সেই লন্ডন সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বিশেষ প্রতিনিধি ও বিশেষ সংস্থার শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা ফণীন্দ্রনাথ ব্যানার্জির সঙ্গে বৈঠক করেন এবং স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ট্রেনিং, অস্ত্র ও অর্থ সহযোগিতার আশ্বাস মেলে। ফণীন্দ্রনাথ ব্যানার্জি তার পুরো নাম সবাইকে বলতেন না। নাথবাবু নামেই তাকে সবাই চিনতেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তার সঙ্গে মুজিববাহিনীর চার প্রধান যুক্ত হয়েছিলেন। চিত্তরঞ্জন সুতারের বাড়িতে থাকতেন তোফায়েল আহমেদ। শিলিগুড়ি থাকতেন সিরাজুল আলম খান। রাজশাহী বিভাগ ছিল তার দায়িত্বে। তোফাফেল আহমেদের দায়িত্বে সাত জেলা। আবদুর রাজ্জাকের দায়িত্বে ছিল বৃহত্তর ময়মনসিংহ। শেখ ফজলুল হক মণির দায়িত্বে ছিল ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো বৃহত্তর এলাকা। কলকাতার হিন্দুস্থান হোটেলে মুজিববাহিনীর চার প্রধান ফণীন্দ্রনাথ ব্যানার্জির সঙ্গে বৈঠক করতেন। তিনি ছিলেন ইস্টার্ন জোনের প্রধান। দেরাদুনে মেজর উবান ট্রেনিং পরিচালনা করেন। হাসানুল হক ইনু ও শরীফ নুরুল আম্বিয়া প্রশিক্ষক ছিলেন। অস্ত্র, ট্রেনিং ও অর্থ সহায়তা নাথবাবুর মাধ্যমে ইন্দিরা গান্ধী তাদের দিতেন। মুজিববাহিনীর চার প্রধান মাসে একবার গিয়ে দেরাদুনে সশস্ত্র যোদ্ধাদের মোটিভেশনাল বক্তৃতা দিতেন। বঙ্গবন্ধুর বড় বোনের ছেলে ও বর্তমান চিফ হুইপ লিটন চৌধুরীর পিতা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ছিলেন মুজিববাহিনীর ট্রেজারার। কলকাতার ব্যারাকপুরে আমির হোসেন আমু, আবদুর রাজ্জাক, কাজী আরেফ আহমেদও থাকতেন। স্বাধীনতার পর ফণীন্দ্রনাথ ব্যানার্জি ঢাকায় এসে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে বঙ্গবন্ধুসহ আমরা সবাই ব্যথিত হয়েছিলাম। তার মরদেহ আমরা ভারতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলাম। [শেষ]।

বি : দ্র : আগামীকাল পড়ুন আমির হোসেন আমুর সাক্ষাৎকার।

এই বিভাগের আরও খবর
নিবন্ধন পেল এনসিপি ও বাসদ মার্কসবাদী
নিবন্ধন পেল এনসিপি ও বাসদ মার্কসবাদী
বাংলাদেশ-কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চুক্তি স্বাক্ষর
বাংলাদেশ-কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চুক্তি স্বাক্ষর
প্রতি ১০ শিশুর ৪ জনের রক্তে সিসার মাত্রা উদ্বেগজনক
প্রতি ১০ শিশুর ৪ জনের রক্তে সিসার মাত্রা উদ্বেগজনক
নারী কাবাডি বিশ্বকাপের ট্রফি উন্মোচন
নারী কাবাডি বিশ্বকাপের ট্রফি উন্মোচন
নৈরাজ্য রুখে দাঁড়াতে হবে
নৈরাজ্য রুখে দাঁড়াতে হবে
আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য নয়
আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য নয়
অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি
অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি
ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি
ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি
গণতন্ত্রের লড়াইয়ে ভাসানী পথপ্রদর্শক
গণতন্ত্রের লড়াইয়ে ভাসানী পথপ্রদর্শক
ইসিকে শক্ত থাকার পরামর্শ দলগুলোর
ইসিকে শক্ত থাকার পরামর্শ দলগুলোর
সরকারকে নিরপেক্ষতার আহ্বান আট দলের
সরকারকে নিরপেক্ষতার আহ্বান আট দলের
আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ
আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ
সর্বশেষ খবর
যে বনে এলিয়েন নামে!
যে বনে এলিয়েন নামে!

এই মাত্র | বিজ্ঞান

১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি,
মুখোমুখি ভারত-চীন
১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি, মুখোমুখি ভারত-চীন

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শাড়ি-নিয়ে ঝগড়া, বিয়ের এক ঘণ্টা আগে হবু স্ত্রীকে হত্যা!
শাড়ি-নিয়ে ঝগড়া, বিয়ের এক ঘণ্টা আগে হবু স্ত্রীকে হত্যা!

৩৪ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশের নাগরিকরা গ্রিন কার্ডও পাবে না?
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশের নাগরিকরা গ্রিন কার্ডও পাবে না?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?
কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

তোলগা আকাশ প্রতিরক্ষার সফল পরীক্ষা চালাল তুরস্ক
তোলগা আকাশ প্রতিরক্ষার সফল পরীক্ষা চালাল তুরস্ক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দারুণ জয়ে বাছাইপর্ব শেষ করল ফ্রান্স
দারুণ জয়ে বাছাইপর্ব শেষ করল ফ্রান্স

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কেইনের জোড়া গোলে শেষ ম্যাচেও জয় ইংল্যান্ডের
কেইনের জোড়া গোলে শেষ ম্যাচেও জয় ইংল্যান্ডের

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইস্তিগফার পাপ মোচন ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যম
ইস্তিগফার পাপ মোচন ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যম

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

যুক্তরাজ্যে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পেতে থাকতে হবে ২০ বছর!
যুক্তরাজ্যে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পেতে থাকতে হবে ২০ বছর!

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেরানীগঞ্জে ডাম্পিং এলাকায় অগ্নিসংযোগ
কেরানীগঞ্জে ডাম্পিং এলাকায় অগ্নিসংযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মেসির চোখ এখনও বিশ্বকাপে!
মেসির চোখ এখনও বিশ্বকাপে!

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ধামরাইয়ে পার্কিং করা বাসে দুর্বৃত্তদের আগুন
ধামরাইয়ে পার্কিং করা বাসে দুর্বৃত্তদের আগুন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন সেই কারানির্যাতিত খাদিজা
জবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন সেই কারানির্যাতিত খাদিজা

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ
রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

টঙ্গীতে সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ
টঙ্গীতে সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ
আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তুরস্ক গাজার দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত: হাকান ফিদান
তুরস্ক গাজার দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত: হাকান ফিদান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উপদেষ্টা রিজওয়ানার বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ
উপদেষ্টা রিজওয়ানার বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ মোদি প্রশাসনের বিরুদ্ধে!
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ মোদি প্রশাসনের বিরুদ্ধে!

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খুলনায় যুবককে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা
খুলনায় যুবককে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৫৭ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা
সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৫৭ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মধ্য বাড্ডায় বাসে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ
মধ্য বাড্ডায় বাসে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকায় ১৪তম কমিউনিকেশন সামিট  অনুষ্ঠিত
ঢাকায় ১৪তম কমিউনিকেশন সামিট  অনুষ্ঠিত

৫ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

শার্লটে ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসী বিরোধী অভিযান, জনমনে আতঙ্ক
শার্লটে ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসী বিরোধী অভিযান, জনমনে আতঙ্ক

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিইউপিতে প্রাইম ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
বিইউপিতে প্রাইম ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

৫ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

বাংলাদেশ পেনাং রোডশোর মাধ্যমে দক্ষিণ-দক্ষিণ সেমিকন্ডাক্টর সেতুবন্ধন গড়ে তুলছে
বাংলাদেশ পেনাং রোডশোর মাধ্যমে দক্ষিণ-দক্ষিণ সেমিকন্ডাক্টর সেতুবন্ধন গড়ে তুলছে

৬ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আর্মেনিয়াকে ৯ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপে পর্তুগাল, নেভেস ও ফার্নান্দেসের হ্যাটট্রিক
আর্মেনিয়াকে ৯ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপে পর্তুগাল, নেভেস ও ফার্নান্দেসের হ্যাটট্রিক

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিআরটিএ শিশু ও তরুণদের রক্ষায় কাজ করছে: চেয়ারম্যান
বিআরটিএ শিশু ও তরুণদের রক্ষায় কাজ করছে: চেয়ারম্যান

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কমওয়ার্ড’র সেরার স্বীকৃতি পেল মাস্টহেড পিআর
কমওয়ার্ড’র সেরার স্বীকৃতি পেল মাস্টহেড পিআর

৬ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

সর্বাধিক পঠিত
মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা
মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার
স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড
আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর
রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী
কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী
'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা
বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর
পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি
রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি
স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের
আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অনিয়মের প্রমাণ পায়নি বিসিবি
অনিয়মের প্রমাণ পায়নি বিসিবি

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন
প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন

২০ ঘণ্টা আগে | পরবাস

আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!
আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি
ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে: অমিতাভ বচ্চন
সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে: অমিতাভ বচ্চন

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি
অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি

১২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান
হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে
সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে

২০ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি
শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু
২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুর মহানগর পুলিশে নতুন কমিশনার, ৬ জেলার এসপি বদলি
গাজীপুর মহানগর পুলিশে নতুন কমিশনার, ৬ জেলার এসপি বদলি

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১২৪ রানের ছোট লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ ভারত, ঘরের মাঠেই লজ্জার হার
১২৪ রানের ছোট লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ ভারত, ঘরের মাঠেই লজ্জার হার

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সোমবার সারা দেশে যানবাহন চলবে : পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন
সোমবার সারা দেশে যানবাহন চলবে : পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চীনা বিনিয়োগে বৈশ্বিক রপ্তানিকেন্দ্র হওয়ার বিশাল সম্ভাবনা বাংলাদেশের
চীনা বিনিয়োগে বৈশ্বিক রপ্তানিকেন্দ্র হওয়ার বিশাল সম্ভাবনা বাংলাদেশের

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ

সম্পাদকীয়

শেখ হাসিনার রায় আজ
শেখ হাসিনার রায় আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

অপেক্ষা ৬৩ আসনে
অপেক্ষা ৬৩ আসনে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটের আগে পদোন্নতি নয়
ভোটের আগে পদোন্নতি নয়

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা
সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা

প্রথম পৃষ্ঠা

কারসাজির ‘অক্টোপাস’ চসিক নির্বাহী
কারসাজির ‘অক্টোপাস’ চসিক নির্বাহী

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি
ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি

প্রথম পৃষ্ঠা

কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন : সেনাপ্রধান
কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন : সেনাপ্রধান

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি
সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

নগর জীবন

ক্লোজডোর অনুশীলনে ভারত
ক্লোজডোর অনুশীলনে ভারত

মাঠে ময়দানে

এবার নতুন শাকিব খান
এবার নতুন শাকিব খান

শোবিজ

হামজার বাকি শুধু গোল কিপিং!
হামজার বাকি শুধু গোল কিপিং!

মাঠে ময়দানে

দেখা মিলল বকফুলের
দেখা মিলল বকফুলের

পেছনের পৃষ্ঠা

নতুন বাংলাদেশে পুরোনো দুর্নীতি
নতুন বাংলাদেশে পুরোনো দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

এনএসসিতে চিঠি পাঠানোর কথা অস্বীকার শিখার
এনএসসিতে চিঠি পাঠানোর কথা অস্বীকার শিখার

মাঠে ময়দানে

দর্শক মাতালেন কনা
দর্শক মাতালেন কনা

শোবিজ

রুনা লায়লা সুরের ইন্দ্রজালে জীবন্ত কিংবদন্তি
রুনা লায়লা সুরের ইন্দ্রজালে জীবন্ত কিংবদন্তি

শোবিজ

নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ
নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চুক্তি স্বাক্ষর
বাংলাদেশ-কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চুক্তি স্বাক্ষর

প্রথম পৃষ্ঠা

দলবদ্ধ ধর্ষণে গ্রেপ্তার
দলবদ্ধ ধর্ষণে গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

লিবিয়া উপকূলে ফের নৌকাডুবি
লিবিয়া উপকূলে ফের নৌকাডুবি

পেছনের পৃষ্ঠা

নগদ-ডিআরইউ সেরা রিপোর্টিং পুরস্কার জিতলেন ডেইলি সানের তিন সাংবাদিক
নগদ-ডিআরইউ সেরা রিপোর্টিং পুরস্কার জিতলেন ডেইলি সানের তিন সাংবাদিক

নগর জীবন

গ্যাস সংকটে নাকাল দেশ
গ্যাস সংকটে নাকাল দেশ

নগর জীবন

বকেয়া ৫ হাজার কোটি টাকা
বকেয়া ৫ হাজার কোটি টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলবে
সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলবে

নগর জীবন

তিন মাসে পাঁচ বার চুরি
তিন মাসে পাঁচ বার চুরি

দেশগ্রাম

তথ্যনির্ভর বাংলাদেশ গঠনে ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচনা সভা
তথ্যনির্ভর বাংলাদেশ গঠনে ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচনা সভা

দেশগ্রাম

বার অ্যাসোসিয়েশনের বিক্ষোভ
বার অ্যাসোসিয়েশনের বিক্ষোভ

দেশগ্রাম

শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা
শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা

শোবিজ