শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১৮ জুন, ২০১৯ আপডেট:

বঙ্গবন্ধু লন্ডনে ইন্দিরার প্রতিনিধির সঙ্গে সশস্ত্র যুদ্ধের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
বঙ্গবন্ধু লন্ডনে ইন্দিরার প্রতিনিধির সঙ্গে সশস্ত্র যুদ্ধের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে বৈঠকে যাওয়ার আগে স্বাধীন বাংলার পতাকা গাড়িতে লাগাতে চাননি বলে যে বক্তব্য সিরাজুল আলম খান দিয়েছেন তা জঘন্য, মিথ্যাচার বলে তোফায়েল আহমেদ নাকচ করে দিয়েছেন। সিরাজুল আলম খানের জবানবন্দিতে লেখা ‘আমি সিরাজুল আলম খান’ বইয়ে বর্ণিত স্বাধীনতার ইতিহাস কীভাবে অসত্য তথ্যে ভরপুর ও বিকৃতির নির্লজ্জ মিথ্যাচার তোফায়েল আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া কয়েক পর্বের সাক্ষাৎকারে তথ্য-উপাত্তসহ তা তুলে ধরেছেন। আজ তার সাক্ষাৎকারের শেষ পর্বে দেওয়া বক্তব্যে ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের নায়ক, ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধে মুজিববাহিনীর অন্যতম প্রধান তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ’৭১-এর ১ মার্চের ঘটনাও সিরাজুল আলম খান অসত্য বলেছেন। যেমন বলেছেন ৭ মার্চসহ নানা ঘটনা। ১ মার্চ সিরাজুল আলম খান বলেছেন, শহীদ মিনারে ছাত্রসভা থেকে নিউক্লিয়াসের হয়ে তিনি পরদিন আ স ম রবকে পতাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। কিন্তু ইয়াহিয়া খানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিতের ঘোষণায় গোটা ঢাকা শহর তখন প্রতিবাদের আগুনে রাজপথে আছড়ে পড়ে মিছিলের নগরীতে পরিণত করে। হোটেল পূর্বাণীতে ও পল্টনে লাখো লাখো লোক সমবেত হয়। তখন পূর্বাণীর সংসদীয় দলের বৈঠক থেকে বঙ্গবন্ধু ইয়াহিয়া খানের বক্তব্যের তীব্র ভাষায় জবাব দেন। অন্যদিকে তোফায়েল আহমেদকে পল্টনে লাখো ছাত্র-জনতার সমাবেশে বক্তৃতা করতে পাঠান। পরদিনের ইত্তেফাকের সেই সংবাদ এখনো আছে। সেদিনই ছাত্রলীগ ও ডাকসু মিলে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিশ্বরাজনীতিতে আপসহীন চিরসংগ্রামী অসম সাহসী বিচক্ষণ ও নির্ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণের এক বিরল রাজনীতিবিদ ছিলেন আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জয়া বাংলা স্লোগান থেকে আমার সোনার বাংলা জাতীয় সংগীত করা এমনকি স্বাধীন দেশের নাম বাংলাদেশ হবে সবকিছুই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি ছিলেন স্বাধীনতার মহান নেতা। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর টার্গেট ছিল তার দিকে। তাকেই তারা ১৩ বছর জেলে রেখেছে। ফাঁসিতে ঝোলাতে চেয়েছে। তিনি ধীরে ধীরে স্বাধীনতার সংগ্রামকে মুক্তিযুদ্ধের দিকে নিয়ে যান। তিনি দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে যে কথা বলতে পারতেন না সেই কথা তার দলের নেতা-কর্মীদের দিয়ে বলাতেন। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তার নির্দেশের বাইরে, তার সিদ্ধান্তের বাইরে একচুল নড়েননি। একটি কথাও বলেননি। ’৬২ সালে আমরা স্লোগান তুলেছি, ‘জাগো জাগো বাঙালি জাগো’। ’৬৬ সালে স্লোগান তুলেছি, ‘পাঞ্জাব না বাংলা, বাংলা বাংলা’, ‘পিন্ডি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’। ’৬৯ সালে আমরা স্লোগান তুলেছি, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’, ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা’।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ঘটনাবহুল অগ্নিঝরা ’৭১-এর উত্তাল মার্চ দেশের মানুষের চোখের সামনে এখনো রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলন ঘোষণার পর পূর্ব বাংলায় তার নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়েছে। একদিকে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে সশস্ত্র যুদ্ধের প্রস্তুতি অন্যদিকে ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে সময় ক্ষেপণের আলোচনা চলছে। ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবস প্রতিরোধ দিবস ঘোষণা করা হয়েছিল। সবখানে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়েছে। তখন প্রতিদিন ছাত্র-জনতার মিছিলের স্রোত এসে ৩২ নম্বর বাড়িতে মিলিত হতো। আর মহান নেতা তাদের দিকনির্দেশনা দিতেন। বিদেশি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতেন। ২৩ মার্চ স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ নেতা নূরে আলম সিদ্দিকী, শাজাহান সিরাজ, আ স ম আবদুর রব ও আবদুল কুদ্দুস মাখনের নেতৃত্বে ছাত্রসমাজের মিছিল এসে ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর হাতে স্বাধীন বাংলার পতাকা তুলে দেয়। বঙ্গবন্ধু জনগণের অভিবাদনের জবাবে সেই পতাকা ওড়ান। তিনি ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে যাওয়ার সময় গাড়ির একদিকে আওয়ামী লীগের পতাকা আরেকদিকে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়িয়েছেন। সেখানে সিরাজুল আলম খানের বক্তব্য মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই নয়। এমনকি সেদিন ক্যান্টনমেন্ট, গভর্নর হাউস ছাড়া কোথাও পাকিস্তানের পতাকা ওড়েনি। উড়েছে স্বাধীন বাংলার পতাকা। উড়িয়েছে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ বাঙালি। সে সময় আসগর খান পূর্ব বাংলায় ছিলেন। তিনি সেদিনের ঘটনা উল্লেখ করতে গিয়ে তার বইয়ে লিখেছেন, ‘ক্যান্টনমেন্ট ও গভর্নর হাউস ছাড়া কোথাও আর পাকিস্তানের চিহ্নটুকু দেখতে পাইনি।’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, সিরাজুল আলম খান বলেছেন, ১৯৭০ সালের ১৮ ডিসেম্বর আমাদের মুজিববাহিনীর চার প্রধানকে বঙ্গবন্ধু তার বাসভবনে চিত্তরঞ্জন সুতারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে তার কলকাতা ঠিকানা মুখস্থ করিয়েছিলেন। প্রথম কথা হলো, ৭ ডিসেম্বর জাতীয় পরিষদ নির্বাচন হয়। আর ১৭ ডিসেম্বর প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন হয়। সেদিন এ ধরনের কোনো মিটিং হয়নি। আমি নিজে ছিলাম না। আর চিত্তরঞ্জন সুতার বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কারাবরণই করেননি, ’৭০ সালের নির্বাচনে স্বরূপকাঠি থেকে জাতীয় পরিষদ সদস্য হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর মনোনয়নে। নির্বাচনের পর বঙ্গবন্ধু তাকে কলকাতা পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। চিত্তরঞ্জন সুতারের উপস্থিতিতে কোনো বৈঠক হয়নি। সিরাজুল আলম খান আরও বলেছেন, ১৮ জানুয়ারি দুপুরবেলা আমাদের চারজনকে নিয়ে তাজউদ্দীন আহমদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেতে খেতে আবার কলকাতার ঠিকানাটি স্মরণ করিয়ে দেন। এটিও সত্য নয়। উপকূলীয় ঘূর্ণিঝড়ে যে কটি এলাকার নির্বাচন পরে হয় তার একটি ছিল আমার নির্বাচনী এলাকা। ১৭ জানুয়ারি ’৭১ আমার এলাকায় নির্বাচন হয়। ১৮ জানুয়ারি আমি ভোলাতেই ছিলাম। তাহলে সেই দুপুরের বৈঠকে থাকি কী করে?

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ইয়াহিয়া ও ভুট্টো যখন টালবাহানা শুরু করেন, তখন ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭১ সালে মুজিববাহিনীর আমাদের চার প্রধানকে চিত্তরঞ্জন সুতারের ২১ রাজেন্দ্র রোড, নর্দার্ন পার্ক, ভবানীপুর, কলকাতার ঠিকানা মুখস্থ করিয়েছিলেন। শেখ ফজলুল হক মণি, কামারুজ্জামান, ডা. আবু হেনাসহ আমরা ’৭১-এর ৩১ মার্চ এই ঠিকানায় যখন পৌঁছেছি তখনো সিরাজুল আলম খান যাননি। তিনি যেভাবে বলেছেন দিল্লি বার বার বার্তা দিচ্ছিল তার জন্য, সেটি সত্য নয়। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ’৭০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের সভা চলাকালে আফতাব আহমদ জয় বাংলার স্লোগান দিয়েছেন বলে সিরাজুল আলম খান যে দাবি করেছেন তাও মিথ্যাচার। ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে সেদিন তিনি সভাপতিত্ব করেছিলেন। কোনো স্লোগান ওঠেনি। আর আফতাব আহমদ ছাত্রলীগের কোনো দায়িত্বেও ছিলেন না।

সিরাজুল আলম খান তার পরামর্শে নিউক্লিয়াসের ২০০ তরুণকে বঙ্গবন্ধু ’৭০ সালের নির্বাচনে প্রার্থী করেছিলেন বলে যে দাবি করেছেন তা একটি আষাঢ়ে গল্প। ইতিহাস ও সত্যের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। ছাত্রলীগ থেকে বিদায় নেওয়া আমরা মাত্র পনের জনের মতো মনোনয়ন পেয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু তার মাঠের আওয়ামী লীগ সংগঠক ও কর্মীদের মধ্য থেকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, সে নির্বাচনে নিউক্লিয়াসের প্রতিনিধিরা সব আসনে কাজ করেছেন। এও সত্য নয়। তিনি তার এলাকায় নির্বাচনে কাউকে দেখেননি। এমনকি বঙ্গবন্ধু এত আসনে জয়লাভ করবেন জানতেন না। কিন্তু তিনি নিউক্লিয়াসের মাধ্যমে জানতেন বলে যে বড়াই করেছেন তা পাঠ করে নিজের বিবেকের কাছে লজ্জিত হওয়া ছাড়া আর কিছু নেই। নিজেকে বড় করতে গিয়ে কীভাবে এতটা ছোট করলেন বুঝতে পারি না। ’৭০ সালের নির্বাচনে বাঙালি জাতি আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের ভোট দেয়নি, ভোট দিয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে। প্রার্থীরা কেবল ছিলেন তার প্রতীকী প্রতিনিধি। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ঢাকায় নিযুক্ত সে সময়ের ব্রিটিশ কনস্যুলার জেনারেল আর্চার ব্লাড তার বইতে লিখেছেন, ৭ ডিসেম্বরের নির্বাচনের দুই দিন আগে তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করে জানতে চেয়েছিলেন আপনার দল কতটি আসনে জয়লাভ করবে? তখন বঙ্গবন্ধু তাকে বলেছিলেন, দুটি আসন ছাড়া বাকি সব আসনে তার প্রার্র্থীরা জয়লাভ করবেন। সেই দুটি আসনের মধ্যে ছিল রাজা ত্রিদিব রায় ও নূরুল আমিনের আসন। বঙ্গবন্ধু নির্বাচনে ভোট দিয়ে যখন পুরানা পল্টন আওয়ামী লীগের অফিসে এলেন, তখন বিদেশি সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, তিনি কতটি আসনে জয়লাভ করবেন বলে মনে করেন? বঙ্গবন্ধুর জবাব ছিল, ‘আমার দল যদি দুটি আসনের বেশি পরাজিত হয় তাহলে আমি অবাক হব।’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘অনেক নির্বাচনী এলাকায় তিনি বঙ্গবন্ধুর সফরসঙ্গী হয়েছেন। নান্দাইলে বঙ্গবন্ধুর নির্বাচনী সভায় লাখো মানুষের ঢল নামল। সফরসঙ্গীরা যখন বললেন, এ আসনে নৌকা বিজয়ী হবে তখন তিনি বললেন, না এখানে নূরুল আমিন বিজয়ী হবেন। আর জনগণ আমাকে দেখতে এসেছিল।’

তোফায়েল আহমেদ জানান, গোলটেবিল বৈঠক থেকে ফিরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ ও নূরুল আমিন তাকে সমর্থন দিয়েছেন। তা তাদের ধারণা বঙ্গবন্ধুর সেই বক্তব্য নূরুল আমিনের প্রতি মানুষকে সহানুভূতিশীল করেছিল। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ৩ মার্চ পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ অধিবেশন থাকায় বঙ্গবন্ধু ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম, প্রফেসর রেহমান সোবহান, ড. মোজাফফর আহমদ, নূরুল ইসলামসহ কয়েকজনকে খসড়া সংবিধান প্রণয়নের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সিরাজুল আলম খান দাবি করেছেন, বঙ্গবন্ধু তার এক প্রশ্নের জবাবে তাকে তাদের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করে দেন। এ বক্তব্য যাচাই করতে তিনি ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন। ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম তাকে পরিষ্কার বলেছেন, তাদের সঙ্গে কোনো বৈঠকেই সিরাজুল আলম খান উপস্থিত হননি এবং তাদের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ ছিল না। বঙ্গবন্ধু ৩ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শপথ অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে পরিষ্কার বলেছেন, ছয় দফা আজ আর আমার নয়। ছয় দফা আমার দলের নয়। এই নির্বাচনের মাধ্যমে এটা জনগণের সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে। কেউ ছয় দফার সঙ্গে বেইমানি করলে জ্যান্ত কবর দেওয়া হবে। এমনকি আমি করলে আমাকেও। তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, ছয় দফা প্রশ্নে আপস করলে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। ’৭০ সালের নির্বাচনের আগে এলএফও দেওয়া হয়েছিল। যার ২৫-২৭ অনুচ্ছেদে ছিল, মেজরিটি পার্টি সংবিধান প্রণয়ন করলে প্রেসিডেন্ট অনুমোদন দেবেন। অনেকে বঙ্গবন্ধুকে নির্বাচন না করার পরামর্শ দিলে তিনি পরিষ্কার বলেছিলেন, এই নির্বাচন ক্ষমতায় যাওয়ার নির্বাচন নয়। মানুষ আমার পক্ষে না পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর পক্ষে- তার গণভোট হবে নির্বাচন। সিদ্দিক সালিকের ‘উইকনেস টু সারেন্ডার’ বইয়ে লেখা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু বলেছেন, নির্বাচনের পর এলএফও টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলবেন। স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানকে উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ সংবিধান বলা হলেও সিরাজুল আলম খান তখন দল ছেড়ে জাসদ গঠন করে বলেছেন, এটা নাকি আধা খেচড়া সংবিধান। সিরাজুল আলম খান ১৯৭০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পুনর্মিলনী সভায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রধান অতিথি ছিলেন বলে লিখেছেন। সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রধান অতিথি থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সত্য হচ্ছে সেদিন সৈয়দ নজরুল নয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধান অতিথি ছিলেন। সেই সভার সভাপতি ছিলেন ছাত্রলীগ সভাপতি তোফায়েল আহমেদ। তখন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আ স ম আবদুর রব। ৫ জানুয়ারির ইত্তেফাকে দেখা যায়, সেই পুনর্মিলনীর রিপোর্ট পড়লে সিরাজুল আলম খানের বক্তব্য মনগড়া, মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই নয়। সেদিন সিরাজুল আলম খান নিজেই সেই সভায় ছিলেন না। তাই ৫ জানুয়ারির খবরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের অনেকের নাম থাকলেও তার নাম ছিল না। বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন, ‘ছয় দফার দাবিতে যখন বাংলার মানুষ গুলি খেয়ে রাজপথে লুটিয়ে পড়েছে তখন তারা কোথায় ছিলেন?’ প্রতিপক্ষের নিকট এটি ছিল বঙ্গবন্ধুর জিজ্ঞাসা। বঙ্গবন্ধু সেদিন আরও বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচনী ঐক্যে বিশ্বাসী নয়। নির্বাচনী ঐক্যে ক্ষমতায় যাওয়া যায়, মানুষের কল্যাণ করা যায় না। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, দেশের সাধারণ নির্বাচন হবেই। আইয়ুবের পতনের সঙ্গে দালালিরও পতন হয়েছে। কোনো স্বার্থান্বেষী মহল সাধারণ নির্বাচন বানচাল করতে চাইলে জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার রাখতে সেই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে। কোনো কোনো দল রাজনৈতিক ঐক্যফ্রন্ট গঠনের ধূম্রজাল সৃষ্টির উল্লেখ কররে তিনি যুক্তফ্রন্টের জগাখিচুড়ি অবস্থা ও কোনো কোনো নেতার গণবিরোধী কর্মকান্ডে র কথা মনে করিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ নিজস্ব কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাবে। জনগণের ঐক্য কর্মসূচির ভিত্তিতে হবে। ১১ দফায় ছয় দফাও আছে। এটি জনগণ ও ছাত্রসমাজের ঐক্য তৈরি করেছে। ১১ দফাকে আমিও সমর্থন করি। ৫ জানুয়ারির ইত্তেফাকের রিপোর্ট অনুযায়ী সেদিনের সভায় তাজউদ্দীন আহমদ, কামারুজ্জামান, এম এ ওয়াদুদ, কাজী গোলাম মাহবুব, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, শেখ ফজলুল হক মণি, কে এম ওবায়দুর রহমান, আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দ মাজহারুল হক বাকী ও খালেদ মোহাম্মদ আলী উপস্থিত থাকলেও সিরাজুল আলম খান ছিলেন না। সিরাজুল আলম খান মনগড়া বাংলাদেশ নামকরণের কাহিনী তৈরি করে বলেছেন, ১৯৭০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমির আলোচনা সভায় তাদের নিউক্লিয়াস তত্ত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশ নামকরণের ঘোষণা দেন। এই মিথ্যাচারের বিপরীতে পরদিনের গণমাধ্যমই বড় প্রমাণ। বঙ্গবন্ধু ’৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনায় বক্তৃতা শেষে স্লোগান তুলেছিলেন, ‘আমার দেশ তোমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’। পরদিনের ইত্তেফাক দেখে নিতে পারেন, কারও মনে সংশয় থাকলে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ইয়াহিয়ার মার্শাল লর মধ্যে ’৬৯ সালের সেপ্টেম্বরে বঙ্গবন্ধু লন্ডন যান। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তখন স্বামীর সঙ্গে ইতালি ছিলেন। সেখান থেকে লন্ডন গিয়ে পিতার সঙ্গে মিলিত হন। বঙ্গবন্ধু সেই লন্ডন সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বিশেষ প্রতিনিধি ও বিশেষ সংস্থার শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা ফণীন্দ্রনাথ ব্যানার্জির সঙ্গে বৈঠক করেন এবং স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ট্রেনিং, অস্ত্র ও অর্থ সহযোগিতার আশ্বাস মেলে। ফণীন্দ্রনাথ ব্যানার্জি তার পুরো নাম সবাইকে বলতেন না। নাথবাবু নামেই তাকে সবাই চিনতেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তার সঙ্গে মুজিববাহিনীর চার প্রধান যুক্ত হয়েছিলেন। চিত্তরঞ্জন সুতারের বাড়িতে থাকতেন তোফায়েল আহমেদ। শিলিগুড়ি থাকতেন সিরাজুল আলম খান। রাজশাহী বিভাগ ছিল তার দায়িত্বে। তোফাফেল আহমেদের দায়িত্বে সাত জেলা। আবদুর রাজ্জাকের দায়িত্বে ছিল বৃহত্তর ময়মনসিংহ। শেখ ফজলুল হক মণির দায়িত্বে ছিল ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো বৃহত্তর এলাকা। কলকাতার হিন্দুস্থান হোটেলে মুজিববাহিনীর চার প্রধান ফণীন্দ্রনাথ ব্যানার্জির সঙ্গে বৈঠক করতেন। তিনি ছিলেন ইস্টার্ন জোনের প্রধান। দেরাদুনে মেজর উবান ট্রেনিং পরিচালনা করেন। হাসানুল হক ইনু ও শরীফ নুরুল আম্বিয়া প্রশিক্ষক ছিলেন। অস্ত্র, ট্রেনিং ও অর্থ সহায়তা নাথবাবুর মাধ্যমে ইন্দিরা গান্ধী তাদের দিতেন। মুজিববাহিনীর চার প্রধান মাসে একবার গিয়ে দেরাদুনে সশস্ত্র যোদ্ধাদের মোটিভেশনাল বক্তৃতা দিতেন। বঙ্গবন্ধুর বড় বোনের ছেলে ও বর্তমান চিফ হুইপ লিটন চৌধুরীর পিতা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ছিলেন মুজিববাহিনীর ট্রেজারার। কলকাতার ব্যারাকপুরে আমির হোসেন আমু, আবদুর রাজ্জাক, কাজী আরেফ আহমেদও থাকতেন। স্বাধীনতার পর ফণীন্দ্রনাথ ব্যানার্জি ঢাকায় এসে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে বঙ্গবন্ধুসহ আমরা সবাই ব্যথিত হয়েছিলাম। তার মরদেহ আমরা ভারতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলাম। [শেষ]।

বি : দ্র : আগামীকাল পড়ুন আমির হোসেন আমুর সাক্ষাৎকার।

এই বিভাগের আরও খবর
ব্যবসার পরিবেশ তেমন উন্নত হয়নি
ব্যবসার পরিবেশ তেমন উন্নত হয়নি
শুরু হচ্ছে ইসির সিরিজ বৈঠক
শুরু হচ্ছে ইসির সিরিজ বৈঠক
চার ক্যান্টনমেন্টে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত
চার ক্যান্টনমেন্টে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত
উৎসবমুখর রাকসু নির্বাচন, ভোট পড়েছে ৬৯.৮৩ শতাংশ
উৎসবমুখর রাকসু নির্বাচন, ভোট পড়েছে ৬৯.৮৩ শতাংশ
মানবিকের ফলে ধস ইংরেজিতেও বিপর্যয়
মানবিকের ফলে ধস ইংরেজিতেও বিপর্যয়
মৃত্যুকূপে এখনো বিষাক্ত ধোঁয়া
মৃত্যুকূপে এখনো বিষাক্ত ধোঁয়া
হাসিনা অনুকম্পার অযোগ্য, ১৪০০ বার ফাঁসি হওয়া উচিত
হাসিনা অনুকম্পার অযোগ্য, ১৪০০ বার ফাঁসি হওয়া উচিত
স্বাক্ষর করবে না এনসিপি ও চার বাম দল
স্বাক্ষর করবে না এনসিপি ও চার বাম দল
জুলাইয়ে কেউ মাস্টারমাইন্ড ছিল না
জুলাইয়ে কেউ মাস্টারমাইন্ড ছিল না
ইতিহাস রক্ষা করাই আমাদের কাজ
ইতিহাস রক্ষা করাই আমাদের কাজ
ক্ষমতার জন্য দীনকে ব্যবহার না করি
ক্ষমতার জন্য দীনকে ব্যবহার না করি
খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে
খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে
সর্বশেষ খবর
নাইক্ষ্যংছড়িতে ১ লাখ পিস ইয়াবা জব্দ
নাইক্ষ্যংছড়িতে ১ লাখ পিস ইয়াবা জব্দ

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাজায় সহিংসতা অব্যাহত থাকলে হামাসকে হামলার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
গাজায় সহিংসতা অব্যাহত থাকলে হামাসকে হামলার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ
সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ

১১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

সেনাবাহিনীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতেই হবে
সেনাবাহিনীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতেই হবে

৩১ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

মেঘলা থাকতে পারে ঢাকার আকাশ, বৃষ্টির আভাস নেই
মেঘলা থাকতে পারে ঢাকার আকাশ, বৃষ্টির আভাস নেই

৩৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সিইপিজেডের আগুন, ধসে গেছে ভবনের ছাদ
প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সিইপিজেডের আগুন, ধসে গেছে ভবনের ছাদ

৪৪ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইসরায়েল সমর্থকরা নিষিদ্ধ হলো ইউরোপা লিগের ম্যাচে
ইসরায়েল সমর্থকরা নিষিদ্ধ হলো ইউরোপা লিগের ম্যাচে

৫১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সংসদ ভবন এলাকায় সব ধরনের ড্রোন ওড়ানো নিষেধ
সংসদ ভবন এলাকায় সব ধরনের ড্রোন ওড়ানো নিষেধ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্প-পুতিনের দীর্ঘ ফোনালাপ, হাঙ্গেরিতে বৈঠকের ঘোষণা
ট্রাম্প-পুতিনের দীর্ঘ ফোনালাপ, হাঙ্গেরিতে বৈঠকের ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভিপি-এজিএস শিবিরের মোস্তাকুর-সালমান, জিএস আম্মার
ভিপি-এজিএস শিবিরের মোস্তাকুর-সালমান, জিএস আম্মার

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর আজ
জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর আজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেনিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর লাশ দেখতে গিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত ৪
কেনিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর লাশ দেখতে গিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত ৪

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নভেম্বরে সেনেগাল ও তিউনিসিয়ার বিপক্ষে খেলবে ব্রাজিল
নভেম্বরে সেনেগাল ও তিউনিসিয়ার বিপক্ষে খেলবে ব্রাজিল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কেনিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা রাইলা ওডিঙ্গা মারা গেছেন
কেনিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা রাইলা ওডিঙ্গা মারা গেছেন

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাকসু নির্বাচনে জয়ের পথে শিবির
রাকসু নির্বাচনে জয়ের পথে শিবির

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৭ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৭ অক্টোবর)

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খেলায় ফিরলেন টেম্বা বাভুমা
খেলায় ফিরলেন টেম্বা বাভুমা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইনসাফ কায়েমে মহানবী (সা.)-এর আদর্শ
ইনসাফ কায়েমে মহানবী (সা.)-এর আদর্শ

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বল ‘আফগান তালেবানের কোর্টে’: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বল ‘আফগান তালেবানের কোর্টে’: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাজ্যে অভিবাসনে ভাষাগত দক্ষতার নতুন নিয়ম
যুক্তরাজ্যে অভিবাসনে ভাষাগত দক্ষতার নতুন নিয়ম

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনের প্রস্তুতি : ছুটির দিনেও ইসি কর্মকর্তাদের অফিস করার নির্দেশ
নির্বাচনের প্রস্তুতি : ছুটির দিনেও ইসি কর্মকর্তাদের অফিস করার নির্দেশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপির
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপির

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নেত্রকোনায় প্রধান শিক্ষকের রহস্যজনক মৃত্যু, স্ত্রী গ্রেফতার
নেত্রকোনায় প্রধান শিক্ষকের রহস্যজনক মৃত্যু, স্ত্রী গ্রেফতার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাঙ্গাইলে পিকআপ ভ্যান-মাহিন্দ্রা সংঘর্ষে নিহত ২
টাঙ্গাইলে পিকআপ ভ্যান-মাহিন্দ্রা সংঘর্ষে নিহত ২

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধর্ম অবমাননা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ফল
ধর্ম অবমাননা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ফল

৮ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা
ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা

৮ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া
বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যেভাবে মিলবে একীভূত পাঁচ ব্যাংকের আমানত
যেভাবে মিলবে একীভূত পাঁচ ব্যাংকের আমানত

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

লাখো মানুষের হাতে মশাল, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তাল উত্তরাঞ্চল
লাখো মানুষের হাতে মশাল, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তাল উত্তরাঞ্চল

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাকসুতে বিজয়ীদের সংবর্ধনা দিলেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক
চাকসুতে বিজয়ীদের সংবর্ধনা দিলেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
শনিবার খোলা থাকবে ব্যাংক
শনিবার খোলা থাকবে ব্যাংক

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘কিছুদিনের মধ্যে জাতীয় বেতন স্কেল’
‘কিছুদিনের মধ্যে জাতীয় বেতন স্কেল’

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড বাংলাদেশের
ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড বাংলাদেশের

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তিনটি শর্ত না মানলে জুলাই সনদে সই করবে না এনসিপি
তিনটি শর্ত না মানলে জুলাই সনদে সই করবে না এনসিপি

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় কোন বোর্ডে পাসের হার কত?
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় কোন বোর্ডে পাসের হার কত?

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রাম ইপিজেডে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৭ ইউনিট
চট্টগ্রাম ইপিজেডে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৭ ইউনিট

১৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

২০২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজনও পাস করেনি
২০২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজনও পাস করেনি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনা-কামালের ১৪০০ বার মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত: চিফ প্রসিকিউটর
শেখ হাসিনা-কামালের ১৪০০ বার মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত: চিফ প্রসিকিউটর

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিআইএকে অভিযানের অনুমতি দিলেন ট্রাম্প, ভেনেজুয়েলায় সরাসরি মার্কিন হামলা?
সিআইএকে অভিযানের অনুমতি দিলেন ট্রাম্প, ভেনেজুয়েলায় সরাসরি মার্কিন হামলা?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-তুরস্ক-ফ্রান্স থেকে ১৩২ যুদ্ধবিমান কিনছে ইন্দোনেশিয়া
চীন-তুরস্ক-ফ্রান্স থেকে ১৩২ যুদ্ধবিমান কিনছে ইন্দোনেশিয়া

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেন সমুদ্রে বিস্ফোরিত হয় আলোচিত ডুবোযান টাইটান, জানাল যুক্তরাষ্ট্র
কেন সমুদ্রে বিস্ফোরিত হয় আলোচিত ডুবোযান টাইটান, জানাল যুক্তরাষ্ট্র

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩৬ দিন অন্ধকারে থাকবে কানাডার যে এলাকা
১৩৬ দিন অন্ধকারে থাকবে কানাডার যে এলাকা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানাল ঐকমত্য কমিশন
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানাল ঐকমত্য কমিশন

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০২৬ সালের ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছেন জ্যোতির্বিদরা
২০২৬ সালের ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছেন জ্যোতির্বিদরা

১২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে ছাত্রীরা
পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে ছাত্রীরা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ভারত-সমর্থিত’ ৩৪ সন্ত্রাসীকে হত্যা করল পাকিস্তান
‘ভারত-সমর্থিত’ ৩৪ সন্ত্রাসীকে হত্যা করল পাকিস্তান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘এবার এইচএসসির ফলের বাস্তব চিত্র সামনে এসেছে’
‘এবার এইচএসসির ফলের বাস্তব চিত্র সামনে এসেছে’

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলি হামলায় হুথির সামরিক প্রধান নিহত
ইসরায়েলি হামলায় হুথির সামরিক প্রধান নিহত

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ওয়ানডে দলে ফিরলেন সৌম্য, বাদ নাঈম-নাহিদ
ওয়ানডে দলে ফিরলেন সৌম্য, বাদ নাঈম-নাহিদ

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেট্রোরেল চলাচলের নতুন সময়সূচি প্রকাশ
মেট্রোরেল চলাচলের নতুন সময়সূচি প্রকাশ

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যশোর বোর্ডে ২০ কলেজে শতভাগ ফেল
যশোর বোর্ডে ২০ কলেজে শতভাগ ফেল

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপির
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপির

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বসুন্ধরা কমিউনিটি পার্ক উদ্বোধন
বসুন্ধরা কমিউনিটি পার্ক উদ্বোধন

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন আহমেদের রাষ্ট্রীয় ফিউনারেল প্যারেড অনুষ্ঠিত
বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন আহমেদের রাষ্ট্রীয় ফিউনারেল প্যারেড অনুষ্ঠিত

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাখো মানুষের হাতে মশাল, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তাল উত্তরাঞ্চল
লাখো মানুষের হাতে মশাল, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তাল উত্তরাঞ্চল

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শতাব্দীর সেরা ডিভোর্সে ১ বিলিয়ন ডলার থেকে মুক্তি পেলেন দ. কোরিয়ার ধনকুবের
শতাব্দীর সেরা ডিভোর্সে ১ বিলিয়ন ডলার থেকে মুক্তি পেলেন দ. কোরিয়ার ধনকুবের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাকসুতে বিজয়ীদের সংবর্ধনা দিলেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক
চাকসুতে বিজয়ীদের সংবর্ধনা দিলেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নিয়ন্ত্রণে আসেনি সিইপিজেডের আগুন, ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে কারখানার ভবন
নিয়ন্ত্রণে আসেনি সিইপিজেডের আগুন, ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে কারখানার ভবন

১৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এইচএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণে নতুন নিয়ম, জেনে নিন কীভাবে
এইচএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণে নতুন নিয়ম, জেনে নিন কীভাবে

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রুশ তেল কেনা বন্ধ, ট্রাম্পের দাবির জবাবে যা বললো ভারত
রুশ তেল কেনা বন্ধ, ট্রাম্পের দাবির জবাবে যা বললো ভারত

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
গাজায় ফের যুদ্ধের শঙ্কা
গাজায় ফের যুদ্ধের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির মনোনয়ন চান নারী নেত্রীসহ চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান নারী নেত্রীসহ চারজন

নগর জীবন

নিখোঁজ হবিগঞ্জের ৩৫ যুবক থামছে না স্বজনদের কান্না
নিখোঁজ হবিগঞ্জের ৩৫ যুবক থামছে না স্বজনদের কান্না

পেছনের পৃষ্ঠা

ছোট হয়েছে রুটি, বেড়েছে দাম
ছোট হয়েছে রুটি, বেড়েছে দাম

পেছনের পৃষ্ঠা

নিগারদের পাত্তাই দিল না অস্ট্রেলিয়া
নিগারদের পাত্তাই দিল না অস্ট্রেলিয়া

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিইপিজেডে ভয়াবহ আগুন
সিইপিজেডে ভয়াবহ আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির অর্ধডজন জামায়াতের একক প্রার্থী
বিএনপির অর্ধডজন জামায়াতের একক প্রার্থী

নগর জীবন

মালেক পরিবারের সবাই মিলে লুটপাট
মালেক পরিবারের সবাই মিলে লুটপাট

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাইয়ে কেউ মাস্টারমাইন্ড ছিল না
জুলাইয়ে কেউ মাস্টারমাইন্ড ছিল না

প্রথম পৃষ্ঠা

ডাকসু-জাকসু-চাকসুর প্রতিচ্ছবি আগামীতে জাতি দেখবে
ডাকসু-জাকসু-চাকসুর প্রতিচ্ছবি আগামীতে জাতি দেখবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐকমত্য কমিশন জাতিকে বিভক্ত করেছে
ঐকমত্য কমিশন জাতিকে বিভক্ত করেছে

নগর জীবন

পাকিস্তানের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির ধ্বংসাবশেষ অপসারণ
পাকিস্তানের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির ধ্বংসাবশেষ অপসারণ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা
ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা

সম্পাদকীয়

ইতিহাস রক্ষা করাই আমাদের কাজ
ইতিহাস রক্ষা করাই আমাদের কাজ

প্রথম পৃষ্ঠা

মানবিকের ফলে ধস ইংরেজিতেও বিপর্যয়
মানবিকের ফলে ধস ইংরেজিতেও বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে
খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে

প্রথম পৃষ্ঠা

শতভাগ পাসে নেই নামিদামি কলেজ
শতভাগ পাসে নেই নামিদামি কলেজ

নগর জীবন

আয়ুপথ
আয়ুপথ

সাহিত্য

ধর্ম অবমাননা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ফল
ধর্ম অবমাননা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ফল

সম্পাদকীয়

জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার অবশ্যই হবে
জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার অবশ্যই হবে

নগর জীবন

নৌবাহিনীতে চাকরির নামে প্রতারণায় দুজন গ্রেপ্তার
নৌবাহিনীতে চাকরির নামে প্রতারণায় দুজন গ্রেপ্তার

নগর জীবন

হাসিনার আমলে অনেক নেতার নামে মামলাও হয়নি
হাসিনার আমলে অনেক নেতার নামে মামলাও হয়নি

নগর জীবন

নতজানু
নতজানু

সাহিত্য

শুরু হচ্ছে ইসির সিরিজ বৈঠক
শুরু হচ্ছে ইসির সিরিজ বৈঠক

প্রথম পৃষ্ঠা

‘ভারত-সমর্থিত’ ৩৪ সন্ত্রাসীকে হত্যা করল পাকিস্তান
‘ভারত-সমর্থিত’ ৩৪ সন্ত্রাসীকে হত্যা করল পাকিস্তান

পূর্ব-পশ্চিম

সমাজমাধ্যমে প্রচার প্রচারণায় মানতে হবে সাত নির্দেশনা
সমাজমাধ্যমে প্রচার প্রচারণায় মানতে হবে সাত নির্দেশনা

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট নিয়ে কোনো আপস নয়
ভোট নিয়ে কোনো আপস নয়

নগর জীবন

১৬ দিনেই হাসপাতালে ভর্তি ১০ হাজার ডেঙ্গু রোগী
১৬ দিনেই হাসপাতালে ভর্তি ১০ হাজার ডেঙ্গু রোগী

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্যাপিটাল ড্রামায় ‘খুঁজি তোকে’
ক্যাপিটাল ড্রামায় ‘খুঁজি তোকে’

শোবিজ