শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১৮ জুন, ২০১৯ আপডেট:

বঙ্গবন্ধু লন্ডনে ইন্দিরার প্রতিনিধির সঙ্গে সশস্ত্র যুদ্ধের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
বঙ্গবন্ধু লন্ডনে ইন্দিরার প্রতিনিধির সঙ্গে সশস্ত্র যুদ্ধের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে বৈঠকে যাওয়ার আগে স্বাধীন বাংলার পতাকা গাড়িতে লাগাতে চাননি বলে যে বক্তব্য সিরাজুল আলম খান দিয়েছেন তা জঘন্য, মিথ্যাচার বলে তোফায়েল আহমেদ নাকচ করে দিয়েছেন। সিরাজুল আলম খানের জবানবন্দিতে লেখা ‘আমি সিরাজুল আলম খান’ বইয়ে বর্ণিত স্বাধীনতার ইতিহাস কীভাবে অসত্য তথ্যে ভরপুর ও বিকৃতির নির্লজ্জ মিথ্যাচার তোফায়েল আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া কয়েক পর্বের সাক্ষাৎকারে তথ্য-উপাত্তসহ তা তুলে ধরেছেন। আজ তার সাক্ষাৎকারের শেষ পর্বে দেওয়া বক্তব্যে ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের নায়ক, ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধে মুজিববাহিনীর অন্যতম প্রধান তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ’৭১-এর ১ মার্চের ঘটনাও সিরাজুল আলম খান অসত্য বলেছেন। যেমন বলেছেন ৭ মার্চসহ নানা ঘটনা। ১ মার্চ সিরাজুল আলম খান বলেছেন, শহীদ মিনারে ছাত্রসভা থেকে নিউক্লিয়াসের হয়ে তিনি পরদিন আ স ম রবকে পতাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। কিন্তু ইয়াহিয়া খানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিতের ঘোষণায় গোটা ঢাকা শহর তখন প্রতিবাদের আগুনে রাজপথে আছড়ে পড়ে মিছিলের নগরীতে পরিণত করে। হোটেল পূর্বাণীতে ও পল্টনে লাখো লাখো লোক সমবেত হয়। তখন পূর্বাণীর সংসদীয় দলের বৈঠক থেকে বঙ্গবন্ধু ইয়াহিয়া খানের বক্তব্যের তীব্র ভাষায় জবাব দেন। অন্যদিকে তোফায়েল আহমেদকে পল্টনে লাখো ছাত্র-জনতার সমাবেশে বক্তৃতা করতে পাঠান। পরদিনের ইত্তেফাকের সেই সংবাদ এখনো আছে। সেদিনই ছাত্রলীগ ও ডাকসু মিলে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিশ্বরাজনীতিতে আপসহীন চিরসংগ্রামী অসম সাহসী বিচক্ষণ ও নির্ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণের এক বিরল রাজনীতিবিদ ছিলেন আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জয়া বাংলা স্লোগান থেকে আমার সোনার বাংলা জাতীয় সংগীত করা এমনকি স্বাধীন দেশের নাম বাংলাদেশ হবে সবকিছুই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি ছিলেন স্বাধীনতার মহান নেতা। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর টার্গেট ছিল তার দিকে। তাকেই তারা ১৩ বছর জেলে রেখেছে। ফাঁসিতে ঝোলাতে চেয়েছে। তিনি ধীরে ধীরে স্বাধীনতার সংগ্রামকে মুক্তিযুদ্ধের দিকে নিয়ে যান। তিনি দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে যে কথা বলতে পারতেন না সেই কথা তার দলের নেতা-কর্মীদের দিয়ে বলাতেন। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তার নির্দেশের বাইরে, তার সিদ্ধান্তের বাইরে একচুল নড়েননি। একটি কথাও বলেননি। ’৬২ সালে আমরা স্লোগান তুলেছি, ‘জাগো জাগো বাঙালি জাগো’। ’৬৬ সালে স্লোগান তুলেছি, ‘পাঞ্জাব না বাংলা, বাংলা বাংলা’, ‘পিন্ডি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’। ’৬৯ সালে আমরা স্লোগান তুলেছি, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’, ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা’।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ঘটনাবহুল অগ্নিঝরা ’৭১-এর উত্তাল মার্চ দেশের মানুষের চোখের সামনে এখনো রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলন ঘোষণার পর পূর্ব বাংলায় তার নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়েছে। একদিকে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে সশস্ত্র যুদ্ধের প্রস্তুতি অন্যদিকে ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে সময় ক্ষেপণের আলোচনা চলছে। ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবস প্রতিরোধ দিবস ঘোষণা করা হয়েছিল। সবখানে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়েছে। তখন প্রতিদিন ছাত্র-জনতার মিছিলের স্রোত এসে ৩২ নম্বর বাড়িতে মিলিত হতো। আর মহান নেতা তাদের দিকনির্দেশনা দিতেন। বিদেশি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতেন। ২৩ মার্চ স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ নেতা নূরে আলম সিদ্দিকী, শাজাহান সিরাজ, আ স ম আবদুর রব ও আবদুল কুদ্দুস মাখনের নেতৃত্বে ছাত্রসমাজের মিছিল এসে ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর হাতে স্বাধীন বাংলার পতাকা তুলে দেয়। বঙ্গবন্ধু জনগণের অভিবাদনের জবাবে সেই পতাকা ওড়ান। তিনি ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে যাওয়ার সময় গাড়ির একদিকে আওয়ামী লীগের পতাকা আরেকদিকে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়িয়েছেন। সেখানে সিরাজুল আলম খানের বক্তব্য মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই নয়। এমনকি সেদিন ক্যান্টনমেন্ট, গভর্নর হাউস ছাড়া কোথাও পাকিস্তানের পতাকা ওড়েনি। উড়েছে স্বাধীন বাংলার পতাকা। উড়িয়েছে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ বাঙালি। সে সময় আসগর খান পূর্ব বাংলায় ছিলেন। তিনি সেদিনের ঘটনা উল্লেখ করতে গিয়ে তার বইয়ে লিখেছেন, ‘ক্যান্টনমেন্ট ও গভর্নর হাউস ছাড়া কোথাও আর পাকিস্তানের চিহ্নটুকু দেখতে পাইনি।’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, সিরাজুল আলম খান বলেছেন, ১৯৭০ সালের ১৮ ডিসেম্বর আমাদের মুজিববাহিনীর চার প্রধানকে বঙ্গবন্ধু তার বাসভবনে চিত্তরঞ্জন সুতারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে তার কলকাতা ঠিকানা মুখস্থ করিয়েছিলেন। প্রথম কথা হলো, ৭ ডিসেম্বর জাতীয় পরিষদ নির্বাচন হয়। আর ১৭ ডিসেম্বর প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন হয়। সেদিন এ ধরনের কোনো মিটিং হয়নি। আমি নিজে ছিলাম না। আর চিত্তরঞ্জন সুতার বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কারাবরণই করেননি, ’৭০ সালের নির্বাচনে স্বরূপকাঠি থেকে জাতীয় পরিষদ সদস্য হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর মনোনয়নে। নির্বাচনের পর বঙ্গবন্ধু তাকে কলকাতা পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। চিত্তরঞ্জন সুতারের উপস্থিতিতে কোনো বৈঠক হয়নি। সিরাজুল আলম খান আরও বলেছেন, ১৮ জানুয়ারি দুপুরবেলা আমাদের চারজনকে নিয়ে তাজউদ্দীন আহমদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেতে খেতে আবার কলকাতার ঠিকানাটি স্মরণ করিয়ে দেন। এটিও সত্য নয়। উপকূলীয় ঘূর্ণিঝড়ে যে কটি এলাকার নির্বাচন পরে হয় তার একটি ছিল আমার নির্বাচনী এলাকা। ১৭ জানুয়ারি ’৭১ আমার এলাকায় নির্বাচন হয়। ১৮ জানুয়ারি আমি ভোলাতেই ছিলাম। তাহলে সেই দুপুরের বৈঠকে থাকি কী করে?

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ইয়াহিয়া ও ভুট্টো যখন টালবাহানা শুরু করেন, তখন ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭১ সালে মুজিববাহিনীর আমাদের চার প্রধানকে চিত্তরঞ্জন সুতারের ২১ রাজেন্দ্র রোড, নর্দার্ন পার্ক, ভবানীপুর, কলকাতার ঠিকানা মুখস্থ করিয়েছিলেন। শেখ ফজলুল হক মণি, কামারুজ্জামান, ডা. আবু হেনাসহ আমরা ’৭১-এর ৩১ মার্চ এই ঠিকানায় যখন পৌঁছেছি তখনো সিরাজুল আলম খান যাননি। তিনি যেভাবে বলেছেন দিল্লি বার বার বার্তা দিচ্ছিল তার জন্য, সেটি সত্য নয়। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ’৭০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের সভা চলাকালে আফতাব আহমদ জয় বাংলার স্লোগান দিয়েছেন বলে সিরাজুল আলম খান যে দাবি করেছেন তাও মিথ্যাচার। ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে সেদিন তিনি সভাপতিত্ব করেছিলেন। কোনো স্লোগান ওঠেনি। আর আফতাব আহমদ ছাত্রলীগের কোনো দায়িত্বেও ছিলেন না।

সিরাজুল আলম খান তার পরামর্শে নিউক্লিয়াসের ২০০ তরুণকে বঙ্গবন্ধু ’৭০ সালের নির্বাচনে প্রার্থী করেছিলেন বলে যে দাবি করেছেন তা একটি আষাঢ়ে গল্প। ইতিহাস ও সত্যের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। ছাত্রলীগ থেকে বিদায় নেওয়া আমরা মাত্র পনের জনের মতো মনোনয়ন পেয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু তার মাঠের আওয়ামী লীগ সংগঠক ও কর্মীদের মধ্য থেকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, সে নির্বাচনে নিউক্লিয়াসের প্রতিনিধিরা সব আসনে কাজ করেছেন। এও সত্য নয়। তিনি তার এলাকায় নির্বাচনে কাউকে দেখেননি। এমনকি বঙ্গবন্ধু এত আসনে জয়লাভ করবেন জানতেন না। কিন্তু তিনি নিউক্লিয়াসের মাধ্যমে জানতেন বলে যে বড়াই করেছেন তা পাঠ করে নিজের বিবেকের কাছে লজ্জিত হওয়া ছাড়া আর কিছু নেই। নিজেকে বড় করতে গিয়ে কীভাবে এতটা ছোট করলেন বুঝতে পারি না। ’৭০ সালের নির্বাচনে বাঙালি জাতি আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের ভোট দেয়নি, ভোট দিয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে। প্রার্থীরা কেবল ছিলেন তার প্রতীকী প্রতিনিধি। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ঢাকায় নিযুক্ত সে সময়ের ব্রিটিশ কনস্যুলার জেনারেল আর্চার ব্লাড তার বইতে লিখেছেন, ৭ ডিসেম্বরের নির্বাচনের দুই দিন আগে তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করে জানতে চেয়েছিলেন আপনার দল কতটি আসনে জয়লাভ করবে? তখন বঙ্গবন্ধু তাকে বলেছিলেন, দুটি আসন ছাড়া বাকি সব আসনে তার প্রার্র্থীরা জয়লাভ করবেন। সেই দুটি আসনের মধ্যে ছিল রাজা ত্রিদিব রায় ও নূরুল আমিনের আসন। বঙ্গবন্ধু নির্বাচনে ভোট দিয়ে যখন পুরানা পল্টন আওয়ামী লীগের অফিসে এলেন, তখন বিদেশি সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, তিনি কতটি আসনে জয়লাভ করবেন বলে মনে করেন? বঙ্গবন্ধুর জবাব ছিল, ‘আমার দল যদি দুটি আসনের বেশি পরাজিত হয় তাহলে আমি অবাক হব।’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘অনেক নির্বাচনী এলাকায় তিনি বঙ্গবন্ধুর সফরসঙ্গী হয়েছেন। নান্দাইলে বঙ্গবন্ধুর নির্বাচনী সভায় লাখো মানুষের ঢল নামল। সফরসঙ্গীরা যখন বললেন, এ আসনে নৌকা বিজয়ী হবে তখন তিনি বললেন, না এখানে নূরুল আমিন বিজয়ী হবেন। আর জনগণ আমাকে দেখতে এসেছিল।’

তোফায়েল আহমেদ জানান, গোলটেবিল বৈঠক থেকে ফিরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ ও নূরুল আমিন তাকে সমর্থন দিয়েছেন। তা তাদের ধারণা বঙ্গবন্ধুর সেই বক্তব্য নূরুল আমিনের প্রতি মানুষকে সহানুভূতিশীল করেছিল। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ৩ মার্চ পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ অধিবেশন থাকায় বঙ্গবন্ধু ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম, প্রফেসর রেহমান সোবহান, ড. মোজাফফর আহমদ, নূরুল ইসলামসহ কয়েকজনকে খসড়া সংবিধান প্রণয়নের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সিরাজুল আলম খান দাবি করেছেন, বঙ্গবন্ধু তার এক প্রশ্নের জবাবে তাকে তাদের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করে দেন। এ বক্তব্য যাচাই করতে তিনি ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন। ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম তাকে পরিষ্কার বলেছেন, তাদের সঙ্গে কোনো বৈঠকেই সিরাজুল আলম খান উপস্থিত হননি এবং তাদের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ ছিল না। বঙ্গবন্ধু ৩ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শপথ অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে পরিষ্কার বলেছেন, ছয় দফা আজ আর আমার নয়। ছয় দফা আমার দলের নয়। এই নির্বাচনের মাধ্যমে এটা জনগণের সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে। কেউ ছয় দফার সঙ্গে বেইমানি করলে জ্যান্ত কবর দেওয়া হবে। এমনকি আমি করলে আমাকেও। তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, ছয় দফা প্রশ্নে আপস করলে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। ’৭০ সালের নির্বাচনের আগে এলএফও দেওয়া হয়েছিল। যার ২৫-২৭ অনুচ্ছেদে ছিল, মেজরিটি পার্টি সংবিধান প্রণয়ন করলে প্রেসিডেন্ট অনুমোদন দেবেন। অনেকে বঙ্গবন্ধুকে নির্বাচন না করার পরামর্শ দিলে তিনি পরিষ্কার বলেছিলেন, এই নির্বাচন ক্ষমতায় যাওয়ার নির্বাচন নয়। মানুষ আমার পক্ষে না পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর পক্ষে- তার গণভোট হবে নির্বাচন। সিদ্দিক সালিকের ‘উইকনেস টু সারেন্ডার’ বইয়ে লেখা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু বলেছেন, নির্বাচনের পর এলএফও টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলবেন। স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানকে উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ সংবিধান বলা হলেও সিরাজুল আলম খান তখন দল ছেড়ে জাসদ গঠন করে বলেছেন, এটা নাকি আধা খেচড়া সংবিধান। সিরাজুল আলম খান ১৯৭০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পুনর্মিলনী সভায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রধান অতিথি ছিলেন বলে লিখেছেন। সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রধান অতিথি থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সত্য হচ্ছে সেদিন সৈয়দ নজরুল নয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধান অতিথি ছিলেন। সেই সভার সভাপতি ছিলেন ছাত্রলীগ সভাপতি তোফায়েল আহমেদ। তখন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আ স ম আবদুর রব। ৫ জানুয়ারির ইত্তেফাকে দেখা যায়, সেই পুনর্মিলনীর রিপোর্ট পড়লে সিরাজুল আলম খানের বক্তব্য মনগড়া, মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই নয়। সেদিন সিরাজুল আলম খান নিজেই সেই সভায় ছিলেন না। তাই ৫ জানুয়ারির খবরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের অনেকের নাম থাকলেও তার নাম ছিল না। বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন, ‘ছয় দফার দাবিতে যখন বাংলার মানুষ গুলি খেয়ে রাজপথে লুটিয়ে পড়েছে তখন তারা কোথায় ছিলেন?’ প্রতিপক্ষের নিকট এটি ছিল বঙ্গবন্ধুর জিজ্ঞাসা। বঙ্গবন্ধু সেদিন আরও বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচনী ঐক্যে বিশ্বাসী নয়। নির্বাচনী ঐক্যে ক্ষমতায় যাওয়া যায়, মানুষের কল্যাণ করা যায় না। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, দেশের সাধারণ নির্বাচন হবেই। আইয়ুবের পতনের সঙ্গে দালালিরও পতন হয়েছে। কোনো স্বার্থান্বেষী মহল সাধারণ নির্বাচন বানচাল করতে চাইলে জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার রাখতে সেই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে। কোনো কোনো দল রাজনৈতিক ঐক্যফ্রন্ট গঠনের ধূম্রজাল সৃষ্টির উল্লেখ কররে তিনি যুক্তফ্রন্টের জগাখিচুড়ি অবস্থা ও কোনো কোনো নেতার গণবিরোধী কর্মকান্ডে র কথা মনে করিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ নিজস্ব কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাবে। জনগণের ঐক্য কর্মসূচির ভিত্তিতে হবে। ১১ দফায় ছয় দফাও আছে। এটি জনগণ ও ছাত্রসমাজের ঐক্য তৈরি করেছে। ১১ দফাকে আমিও সমর্থন করি। ৫ জানুয়ারির ইত্তেফাকের রিপোর্ট অনুযায়ী সেদিনের সভায় তাজউদ্দীন আহমদ, কামারুজ্জামান, এম এ ওয়াদুদ, কাজী গোলাম মাহবুব, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, শেখ ফজলুল হক মণি, কে এম ওবায়দুর রহমান, আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দ মাজহারুল হক বাকী ও খালেদ মোহাম্মদ আলী উপস্থিত থাকলেও সিরাজুল আলম খান ছিলেন না। সিরাজুল আলম খান মনগড়া বাংলাদেশ নামকরণের কাহিনী তৈরি করে বলেছেন, ১৯৭০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমির আলোচনা সভায় তাদের নিউক্লিয়াস তত্ত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশ নামকরণের ঘোষণা দেন। এই মিথ্যাচারের বিপরীতে পরদিনের গণমাধ্যমই বড় প্রমাণ। বঙ্গবন্ধু ’৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনায় বক্তৃতা শেষে স্লোগান তুলেছিলেন, ‘আমার দেশ তোমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’। পরদিনের ইত্তেফাক দেখে নিতে পারেন, কারও মনে সংশয় থাকলে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ইয়াহিয়ার মার্শাল লর মধ্যে ’৬৯ সালের সেপ্টেম্বরে বঙ্গবন্ধু লন্ডন যান। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তখন স্বামীর সঙ্গে ইতালি ছিলেন। সেখান থেকে লন্ডন গিয়ে পিতার সঙ্গে মিলিত হন। বঙ্গবন্ধু সেই লন্ডন সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বিশেষ প্রতিনিধি ও বিশেষ সংস্থার শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা ফণীন্দ্রনাথ ব্যানার্জির সঙ্গে বৈঠক করেন এবং স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ট্রেনিং, অস্ত্র ও অর্থ সহযোগিতার আশ্বাস মেলে। ফণীন্দ্রনাথ ব্যানার্জি তার পুরো নাম সবাইকে বলতেন না। নাথবাবু নামেই তাকে সবাই চিনতেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তার সঙ্গে মুজিববাহিনীর চার প্রধান যুক্ত হয়েছিলেন। চিত্তরঞ্জন সুতারের বাড়িতে থাকতেন তোফায়েল আহমেদ। শিলিগুড়ি থাকতেন সিরাজুল আলম খান। রাজশাহী বিভাগ ছিল তার দায়িত্বে। তোফাফেল আহমেদের দায়িত্বে সাত জেলা। আবদুর রাজ্জাকের দায়িত্বে ছিল বৃহত্তর ময়মনসিংহ। শেখ ফজলুল হক মণির দায়িত্বে ছিল ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো বৃহত্তর এলাকা। কলকাতার হিন্দুস্থান হোটেলে মুজিববাহিনীর চার প্রধান ফণীন্দ্রনাথ ব্যানার্জির সঙ্গে বৈঠক করতেন। তিনি ছিলেন ইস্টার্ন জোনের প্রধান। দেরাদুনে মেজর উবান ট্রেনিং পরিচালনা করেন। হাসানুল হক ইনু ও শরীফ নুরুল আম্বিয়া প্রশিক্ষক ছিলেন। অস্ত্র, ট্রেনিং ও অর্থ সহায়তা নাথবাবুর মাধ্যমে ইন্দিরা গান্ধী তাদের দিতেন। মুজিববাহিনীর চার প্রধান মাসে একবার গিয়ে দেরাদুনে সশস্ত্র যোদ্ধাদের মোটিভেশনাল বক্তৃতা দিতেন। বঙ্গবন্ধুর বড় বোনের ছেলে ও বর্তমান চিফ হুইপ লিটন চৌধুরীর পিতা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ছিলেন মুজিববাহিনীর ট্রেজারার। কলকাতার ব্যারাকপুরে আমির হোসেন আমু, আবদুর রাজ্জাক, কাজী আরেফ আহমেদও থাকতেন। স্বাধীনতার পর ফণীন্দ্রনাথ ব্যানার্জি ঢাকায় এসে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে বঙ্গবন্ধুসহ আমরা সবাই ব্যথিত হয়েছিলাম। তার মরদেহ আমরা ভারতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলাম। [শেষ]।

বি : দ্র : আগামীকাল পড়ুন আমির হোসেন আমুর সাক্ষাৎকার।

এই বিভাগের আরও খবর
স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
চুক্তি বাতিল দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ
চুক্তি বাতিল দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ
ঢাকায় ব্যস্ত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
ঢাকায় ব্যস্ত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়
আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়
প্রার্থীদের বিদেশের সম্পদ বিবরণীও দিতে হবে
প্রার্থীদের বিদেশের সম্পদ বিবরণীও দিতে হবে
ভোটের আগে আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা নেই
ভোটের আগে আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা নেই
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
ইমামদের এই সমাজের দায়িত্ব নিতে হবে
ইমামদের এই সমাজের দায়িত্ব নিতে হবে
সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে
সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে
আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন শুনানি ৩ ও ৭ ডিসেম্বর
আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন শুনানি ৩ ও ৭ ডিসেম্বর
সর্বশেষ খবর
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার
ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল
এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ
মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ

৪ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান
বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা
সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক
ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল
সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?
মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক
বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স
উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স

৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা
বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা

৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ

৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?
আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!
চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ
পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবনের ওপর
৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবনের ওপর

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রেলপথ অবরোধ, ৫ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
রেলপথ অবরোধ, ৫ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে মিলল রহস্যময় বরফগুচ্ছের ইঙ্গিত
নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে মিলল রহস্যময় বরফগুচ্ছের ইঙ্গিত

৭ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর
টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

১৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

১৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়
বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়

২১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হেডের বিধ্বংসী ইনিংসে বড় ক্ষতি অস্ট্রেলিয়ার
হেডের বিধ্বংসী ইনিংসে বড় ক্ষতি অস্ট্রেলিয়ার

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা
স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত
মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত

মাঠে ময়দানে

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা
যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা

পূর্ব-পশ্চিম

দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা
দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের প্রথম নারী সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা
বাংলাদেশের প্রথম নারী সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা

মাঠে ময়দানে

শুল্কের হুমকি দিয়ে আট যুদ্ধের পাঁচটি থামিয়েছি : ট্রাম্প
শুল্কের হুমকি দিয়ে আট যুদ্ধের পাঁচটি থামিয়েছি : ট্রাম্প

পূর্ব-পশ্চিম

অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের
অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের

পূর্ব-পশ্চিম

টাইটানিক যাত্রীর ঘড়ি নিলামে বিক্রি
টাইটানিক যাত্রীর ঘড়ি নিলামে বিক্রি

পূর্ব-পশ্চিম

সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’
সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’

শোবিজ