প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, ‘অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হঠাৎ করেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। যেসব বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে তা আগে কখনই শুনিনি বা দেখিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনেক পুরনো। ব্রিটিশ বা পাকিস্তান আমলেও বিশ্ববিদ্যালয় এমন বিতর্কিত হয়নি। ছাত্রনেতাদের ব্যক্তিগত পর্যায়ে চাঁদাবাজির ঘটনা আগেও টুকটাক ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব এগুলো বন্ধ করা। এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনই এই চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। এটা বিস্ময়কর! সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠকে এভাবে বিতর্কিত করার ফলাফল খুবই খারাপ।’ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে মুঠোফোনে তিনি এসব কথা বলেন। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, অবাধ চাঁদাবাজি, লুটপাট ও কমিশন-বাণিজ্যের সুযোগ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের একটি পদের এখন অনেক মূল্য। এই পদের জন্য ছাত্ররা লাখ লাখ টাকা খরচ করছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েই এমনটা দেখলাম। যে টাকা খরচ করে, এর কয়েক গুণ তোলার টার্গেট নিয়ে মাঠে নামে তারা। ক্যাম্পাসে একক আধিপত্য বিস্তার করে। সব ধরনের চাঁদাবাজিতে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে। রাস্তার পাশের ক্ষুদ্র দোকান থেকেও চাঁদা তোলে তারা। মূলত কোনো ধরনের জবাবদিহি না থাকায় এই প্রবণতা বাড়ছে। তাদের অপকর্মে বাধা দেওয়ার মতো কোনো প্রতিপক্ষও ক্যাম্পাসগুলোতে দাঁড়াতে পারছে না। তিনি বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ছাত্রলীগকে প্রকল্পের টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে দিয়েছেন বলে খবরে জানলাম। ঘটনা ফাঁস হওয়ায় আমরা এটা জানতে পেরেছি। নিশ্চয় এমন ঘটনা এই একটাই নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনই যদি এগুলোতে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে এখানে আর বলার কিছু থাকে না। এখন জরুরি বিষয় হচ্ছে, ঘটনা তদন্ত করে দ্রুত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তবে এসব বন্ধ করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সুষ্ঠু ও নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিকল্প নেই। ডাকসুর মতো বিতর্কিত নির্বাচন করা যাবে না, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। তখন ছাত্র প্রতিনিধিরাই এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলবে। তারাই নজরদারি করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকান্ডে ছাত্র অংশীদারি বাড়াতে হবে। এটাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি হওয়া উচিত। প্রবীণ এই শিক্ষাবিদ বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একাডেমিক বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। গবেষণা করবে। অথচ তারা আধিপত্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, কমিশন-বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় জনগণের টাকায় চলে। মানের বিবেচনায় এগুলোই এখন পর্যন্ত আসল বিশ্ববিদ্যালয়। সেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ ধরনের ঘটনার অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভীষণ খারাপ অবস্থায় চলে গেছে।
শিরোনাম
- ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রুশ ন্যাশনাল গার্ডের সদসসহ নিহত ৩
- চীন-ভারতসহ ব্রিকস সদস্যদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি
- এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী
- আফ্রিকা-জিম্বাবুয়ের সঙ্গে যুবাদের ত্রিদেশীয় সিরিজের সূচি ঘোষণা
- গণমাধ্যমকে হুমকি বন্ধে হস্তক্ষেপ কামনা মার্কিন কংগ্রেসের
- বৃষ্টিতে মোংলা পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা, জনজীবন বিপর্যস্ত
- ভিন্নমত দমনের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতারা
- রাজধানীতে দুই বাসের মাঝে চাপা পড়ে একজন নিহত
- একজনের নামে সর্বোচ্চ ১০ সিম, কার্যকর ১৫ আগস্ট থেকে
- চীনে সীসা বিষক্রিয়ায় অসুস্থ ২৩৩ শিশু
- দেশজুড়ে পুলিশি অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১৬০৭
- পেদ্রোর জোড়া গোলে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে চেলসি
- ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি, আজও বৃষ্টির আভাস
- অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলে ফেরার তাড়া নেই ডেভিডের
- ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার
- দীপিকার ‘৮ ঘন্টা কাজ’ প্রসঙ্গ নিয়ে রাশমিকার খোঁচা!
- জিম্বাবুয়ে হোয়াইটওয়াশ, প্রোটিয়াদের টানা ১০ জয়ের রেকর্ড
- যাত্রাবাড়ীতে ১০ হাজার ইয়াবাসহ দুইজন গ্রেফতার
- শাহজালালে ৮৯৬ গ্রাম সোনাসহ দুইজন আটক
- মুরাদনগরের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা: তদন্তভার ডিবিতে, ঘটনাস্থলে তদন্ত কর্মকর্তা
এমন অনিয়ম আগে কখনই দেখিনি : সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর