রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

এ কেমন পরাজয়!

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এ কেমন পরাজয়!

হলকার স্টেডিয়ামে টেস্ট শুরুর আগে খেলা নিয়ে যে উচ্ছ্বাস, উদ্দীপনা ছিল মুমিনুল, মাহমুদুল্লাহ, মুশফিকদের- প্রথম দিন শেষে ভাটা পড়ে সেখানে। দ্বিতীয় দিনে ইন্দোরের বাতাসে ভেসে যায় সেই উৎসব, উচ্ছ্বাস। গতকাল তৃতীয় দিনে তার করুণ সমাপ্তি ঘটে ইনিংস ও ১৩০ রানের লজ্জাজনক হারে। মোহাম্মদ শামী, উমেশ যাদব, ঈশান্ত শর্মার গতি, বাউন্স ও সুইংয়ে অসহায় হয়ে ১৫ সেশনের টেস্ট আট সেশনেই হেরে যান মুমিনুলরা। শুধু তাই নয়, আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরাক্রমশালী দল ভারতের বিপক্ষে অসহায় আত্মসমর্পণে চরম সমালোচনায় পড়েছে মুমিনুলদের পারফরম্যান্স। ২২ নভেম্বর ‘নন্দনকানন’ ইডেন গার্ডেনে শুরু হবে গোলাপি বলে দিবা-রাত্রির টেস্ট। তার প্রস্তুতি নিতে দুই দলের পরের গন্তব্যস্থল ‘সিটি অব জয়’ বা ‘আনন্দনগরী’ কলকাতা। এ নিয়ে ভারতের বিপক্ষে ১০ টেস্টে অষ্টমবার হারল বাংলাদেশ এবং চতুর্থবার ইনিংস ব্যবধানে।

ইন্দোর টেস্ট দিয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু বাংলাদেশের। কিন্তু ব্যাটিং, বোলিংয়ের দুর্বল পারফরম্যান্সে শুরুটা হলো যাচ্ছেতাই। প্রথম সেশন থেকেই বিরাট কোহলির ভারতের বিপক্ষে লড়াই করতে পারেনি এক চুল পরিমাণ। শুরুতে টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনায় বিদ্ধ হন বাংলাদেশের ১১ নম্বর টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষিক্ত মুমিনুল হক। কুয়াশা ভেজা সবুজ ঘাসের উইকেটে টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে টাইগার ব্যাটসম্যানরা তোপের মুখে পড়েন ভারতীয় বোলারদের। প্রথম দিনেই ১৫০ রানে গুটিয়ে ছিটকে পড়ে ম্যাচ থেকে। দ্বিতীয় দিন মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ডাবল সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৪৯৩ রান তুলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের করে নেয় ভারত। গতকাল তৃতীয় দিন সকালের উইকেটের সুবিধা নিতে ব্যাটিংয়ে না নেমে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায়। উইকেটের গতি ও বাউন্সকে কাজে লাগিয়ে শামী, ঈশান্ত ও যাদবদের ত্রিমুখী আক্রমণে বেসামাল হয়ে মুমিনুল বাহিনী লাঞ্চ বিরতিতে যায় ৬০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে। এরপর দ্বিতীয় সেশনে সাবেক অধিনায়ক মুশফিক একাই লড়াই করেছেন বুক চিতিয়ে। সাবেক অধিনায়কের সেই লড়াইয়ে সঙ্গী হতে পারেনি অপরাপর ব্যাটসম্যানরা। যদিও লিটন দাস আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করেন এবং দৃঢ়তার পরিচয় দেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তারপরও ২১৩ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। মুশফিক ৬৪ রানের ইনিংসটি খেলেন ১৫০ বলে ৭ চারে। ৬৮ টেস্ট ক্যারিয়ারে এটা তার ২০ নম্বর হাফসেঞ্চুরি। প্রথম ইনিংসেও দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেছিলেন মুশফিক। লিটন ৩৯ বলে ৩৫ এবং মিরাজ ৩৮ রান করেন ৫৫ বলে। স্বাগতিকদের সফল বোলার শামী ৪ উইকেট নেন ৩১ রানের খরচে। প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। এই টেস্টে ভারতীয় পেসাররা ১৪ উইকেট নেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর