সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

মানি লন্ডারিং দূর করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

মানি লন্ডারিং দূর করতে হবে

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন আজ শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়। এখন এটি সারা বিশ্বের সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এই সমস্যা মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশ, জাতি ও সমাজ একযোগে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং ও জঙ্গিবাদ দূর করে জাতিকে মুক্তি দেব। গতকাল রাজধানীর শাহবাগে একটি হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

‘মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে প্রণীত জাতীয় কৌশলপত্র’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্ট ইউনিট (বিএফআইউ)। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফআইউ প্রধান আবু হেনা  মোহাম্মদ রাজী হাসান। সেমিনারে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. ফজলে কবির। এ ছাড়া পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরা উপস্থিত ছিলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থ পাচার এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন একদিকে যেমন অর্থনীতির ক্ষতি করে, অন্যদিকে দেশের সামাজিক ক্ষতি করে। এ সমস্যা মোকাবিলায় আমরা ‘জাতীয় কৌশল’ নিয়েছি। এখন এটি সারা বিশ্বের সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে সন্ত্রাসে অর্থায়ন করে একটি দেশকে, দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। একটি দেশকে দেশের মানুষকে মেরে ফেলার জন্য মানি লন্ডারিংই যথেষ্ট। তাই এ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করতে হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশ থেকে শতভাগ দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং ও জঙ্গিবাদ দূর করে জাতিকে মুক্তি দিবেন। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি। তিনি আরও বলেন, যে কোনো মূল্যে আমরা আমাদের দেশ থেকে মানি লন্ডারিং দূর করব। একই সঙ্গে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে যে সব সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে  অর্থায়ন হয় সেগুলো মোকাবিলা করব। আমি আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপকে অনুরোধ করব আসুন মানি লন্ডারিং, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে আমরা একসঙ্গে কাজ করি। সেমিনারে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, আমরা আশা করব বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্রগুলো আমাদের অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জগুলোকে ভালোভাবে বুঝতে পারছেন। আমরা পশ্চিমা বিশ্বের একটি রাষ্ট্রকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি, সে দেশে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা ধর্মীয় মূল্যবোধের অপব্যবহার করে টাকা সংগ্রহ করে বাংলাদেশের জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ উসকে দিচ্ছে। আমরা শত চেষ্টার পরেও সে দেশকে তা বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি। কিন্তু সম্প্রতি সে দেশটি নিজেদের কিছু সমস্যার মধ্যে পড়ে বিষয়গুলো অনেক দেরিতে উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু এদের উপলব্ধি যদি অনেক আগে আসত তাহলে আমরা অনেক ক্ষতি সামাল দিতে পারতাম।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর