বুধবার, ২৫ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

অবশেষে ছাড়া পাচ্ছেন খালেদা

আইন মন্ত্রণালয়ের শর্তসাপেক্ষ সুপারিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, পরিবারের স্বস্তি, মুক্তি মিলতে পারে আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

অবশেষে ছাড়া পাচ্ছেন খালেদা

দুর্নীতি মামলায় দন্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দন্ড স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে তাকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ-সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায় মানবিক কারণে সরকার সদয় হয়ে দন্ডাদেশ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শর্ত হলো- এই সময়ে খালেদা জিয়াকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। অন্যদিকে বেগম জিয়ার মুক্তির খবরে দেশজুড়ে করোনো আতঙ্কের মধ্যেও স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই নেতা-কর্মীরা ভিড় জমান শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ^বিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সামনে। দলীয় নেত্রীর মুক্তির অপেক্ষায় তারা কেবিন ব্লকের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন। তবে বিএসএমএমইউ হাসপাতাল ও খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনের সামনে দলীয় নেতা-কর্মীদের জড়ো না হওয়ার জন্য বিবৃতি দিয়েছে বিএনপি।

২ বছর ১ মাস ১৫ দিন সাজা ভোগের পর এমন এক সময়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলো, যখন নভেল করোনাভাইরাসের মহামারীতে পুরো বিশ্বজুড়ে চলেছে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা। নানা বিধিনিষেধে বাংলাদেশও রয়েছে প্রায় অবরুদ্ধ অবস্থায়। কারা তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া ‘করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছেন’ বলে শঙ্কা প্রকাশ করে আইনজীবীদের সংবাদ সম্মেলনের এক দিন পর সরকার এ সিদ্ধান্ত জানাল। তবে এর বেশ কিছুদিন আগেই খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিল তার পরিবার। গতকাল সাজা স্থগিতের ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম। গতকালই খালেদা মুক্তি পাচ্ছেন এমন খবরে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ছুটে যান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ ডেজ এম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, শিরিন সুলতানা, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সাবেক এমপি এম আখতারুজ্জামানসহ কয়েক শ নেতা-কর্মী। বিকালেই গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ে চলে যান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একে একে স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও গুলশান কার্যালয়ে যান। এ সময় লন্ডন থেকে স্কাইপিতে যুক্ত হন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলন করেন মির্জা ফখরুল। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে বিএনপির নেতা-কর্মীরা স্বস্তি বোধ করছেন জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা ম্যাডামের মুক্তির জন্য আন্দোলন করেছি, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করেছি। দেশনেত্রীর পরিবার উন্নত চিকিৎসার্থে তার সাময়িক মুক্তির জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু তার মুক্তির ক্ষেত্রে দুটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। এটা আমাদের কাছে ঠিক বোধগম্য নয়। কারণ পরিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য আবেদন করেছেন। যা-ই হোক, দেশের মানুষ এবং বিএনপির নেতা-কর্মীরা আজ স্বস্তি বোধ করছেন। দীর্ঘকাল পরে আজকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আইনগতভাবে, সাংবিধানিকভাবে তার যেটা প্রাপ্য, সেই মুক্তি তিনি পেয়েছেন। আমরা আশা করি, ঠিক সময়েই কারাগার থেকে বেরোতে পারবেন তিনি।’ বিএসএমএমইউ হাসপাতাল ও ম্যাডামের বাসভবনের সামনে ভিড় না করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য। তিনি আজ মুক্তি পাচ্ছেন এ জন্য আপনারা আবেগাপ্লুত হবেন। তাকে এক নজর দেখার জন্য কাছে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। কিন্তু আজকে সমগ্র বিশ্বে যে ভয়ংকর মহামারী করোনাভাইরাস, যাতে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে, এ অবস্থায় খালেদা জিয়া যদি বেরিয়ে আসেন, তাহলে নেতা-কর্মীদের আবেগের বশবর্তী না হয়ে সবার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে শান্ত থাকতে হবে, দূরে থাকতে হবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আগে থেকেই খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা তাকে দেখছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। কীভাবে বাসায় চিকিৎসা শুরু করা যায় এরও আমরা ব্যবস্থা রাখছি। তবে ম্যাডামের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করবে তিনি কি হাপাতালে চিকিৎসা নেবেন, নাকি বাসায় চিকিৎসা নেবেন।’ খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এটি একটি স্বস্তির বিষয়। ম্যাডামের শরীর ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুরো জাতির মধ্যে একটা শঙ্কা কাজ করছিল। এর ওপর এখন করোনার ভীতি তৈরি হয়েছে। খালেদা জিয়ার ঝুঁকি এবং জাতি যে ঝুঁকিতে পড়েছে, তা থেকে একটা স্বস্তি মিলবে। এখন মানুষ নিজের অস্তিত্ব নিয়েই চিন্তা করছে। দেরিতে হলেও তিনি চিকিৎসার সুযোগটা পেয়েছেন। এটা সমগ্র জাতির প্রত্যাশা ছিল।’

খালেদা জিয়ার মুক্তিতে খুশি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘আমরা তো মুক্তি চাইছিলাম। এটা ভালো সিদ্ধান্ত। আমি খুশি। বিষয় হলো, বাসায় থাকতে হবে। বাইরে যেতে পারবেন না। সরকার এটা কেন করল, বুঝতে পারছি না। তিনি অসুস্থ তা সবাই জানেন। অসুস্থ মানুষের চিকিৎসার দরকার হলে যেতে পারবেন না, এ ধরনের বিধিনিষেধ কি যুক্তসংগত? যদি দরকার হয় তিনি পারবেন না কেন?’

নিজের জীবন বাঁচান, ভিড় জমাবেন না- রিজভী : খালেদা জিয়ার মুক্তির সিদ্ধান্তের খবর পেয়ে বিএসএমএমইউতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা জড়ো হওয়ায় নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে ভিড় না করার অনুরোধ জানিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। বিএসএমএমইউর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় গণমাধ্যমের কর্মীরাও সেখানে ভিড় জমান। হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ভিড় দেখে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ ভিড় না করার অনুরোধ জানিয়ে মাইকিং শুরু করে। সবাইকে মূল ফটকের বাইরে যেতে অনুরোধ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে রিজভীও নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা নিজেদের স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দিন।’ রিজভী আহমেদ বলেন, ‘নিজের জীবন বাঁচানোর দিকে দেখতে হবে। এখানে অহেতুক ভিড় করবে০ন না। নেতা-কর্মীদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা আইসোলেশনে থাকুন, ভিড় করবেন না।’ সরকারের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘গণমাধ্যমে তার মুক্তির যতটুকু সংবাদ পেয়েছি, সেখানে আমরা অনেকটা আশ্বস্ত হয়েছি। শ্বাসরুদ্ধকর যে পরিস্থিতি, সেই পরিস্থিতিকে উত্তরণের একটা ধাপ তৈরি হয়েছে।’ পরবর্তী সময়ে বিএসএমএমইউ হাসপাতাল ও খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনের সামনে দলীয় নেতা-কর্মীদের জড়ো না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিএনপি। দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

সরকারকে খালেদার বোন সেলিমার ধন্যবাদ : দীর্ঘদিন কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তার বোন সেলিমা ইসলাম। মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেওয়ায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘এখনো সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে তারা নিশ্চিত হয়েছেন।’ আর কারাগার থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান সেলিমা ইসলাম।

প্রস্তুত খালেদার নিঃসঙ্গ ‘ফিরোজা’ বাসভবন : দুই বছরেরও বেশি সময় কারাগারে থাকার পর মুক্তির সুবাতাস মিলেছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। যে কোনো সময় মুক্তি পেয়ে যাবেন তিনি। এত দিন রাজধানীর গুলশান এভিনিউয়ে ৭৯ নম্বর রোডের ১ নম্বর ডুপ্লেক্স ‘ফিরোজা’ বাসভবনটিও ছিল নিঃসঙ্গ, ছিল শুনশান নীরবতা। সেই নীরবতা ভাঙতে যাচ্ছে। এখন প্রস্তুত হচ্ছে ‘ফিরোজা’ নামের বাসভবনটি। বেগম খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাস স্থগিত রেখে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যে কোনো সময় তাকে মুক্তি দেওয়া হবে। গতকাল বিকালে গুলশানের নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ সংবাদ শোনার পর ‘ফিরোজা’ বাসভবনে ধোয়া মোছার কাজ শুরু হয়েছে। তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। অনুরোধ জানানো হয়েছে সবাইকে দায়িত্বে ফেরার। সেখানে বর্তমানে তিনজন সিএসএফ দায়িত্ব পালন করছেন। আনিসুর রহমান নামে একজন সিএসএফ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ফিরোজা ভবন প্রস্তুত। আমরা ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) গ্রহণ করতে প্রস্তুত।’

৪০১(১) ধারায় সাজা স্থগিত : গতকাল গুলশানের নিজের আবাসিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা ১ অনুযায়ী, খালেদা জিয়ার সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে। তাকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়ার সুপারিশ পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যখন তাকে মুক্তি দেবে, তখন থেকেই তা কার্যকর হবে।’ বাসায় রেখে চিকিৎসার শর্তের বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘এখানে কিন্তু বলা হচ্ছে না যে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারবেন না। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে কন্ডিশন দেখতে হবে। সে জন্য কথাটি উল্লেখ করা হয়েছে, বাসায় থেকে তিনি চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। হাসপাতালে যদি ভর্তি হতে হয়, তাহলে বাংলাদেশের সবচেয়ে মানসম্পন্ন হাসপাতাল, সেখানে তো তিনি আছেনই। এই সময়ে দেশের বাইরে তিনি গমন করতে পারবেন না।’ ‘আজকের প্রেক্ষিতে কাউকে বিদেশে পাঠানো মানে তাকে সুইসাইড করতে বলা’- যোগ করেন আইনমন্ত্রী।

নথি পেলেই মুক্তির ব্যবস্থা : নথি পেলে খালেদা জিয়ার ?মুক্তির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। শর্ত সাপেক্ষে সরকার খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দিচ্ছে- আইনমন্ত্রীর দেওয়া এমন তথ্যের পর তাৎক্ষণিকভাবে এ কথা জানান তিনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান বলেছেন, ‘কাগজপত্রের কাজ শেষ করা গেলে আগামীকাল (আজ) খালেদা জিয়া মুক্তি পেতে পারেন। আইন মন্ত্রণালয় থেকে মুক্তি-সংক্রান্ত সুপারিশ আমরা পেয়েছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন আইন দেখে একটি সামারি তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সে সামারি অনুমোদন হয়ে আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফিরে আসবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সে নির্দেশনা অনুযায়ী কারাগারে কাগজপত্র পাঠালে কারা কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যবস্থা নেবে।’

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদন্ড নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে বন্দী খালেদা জিয়া। প্রথমে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হলেও গত বছর ১ এপ্রিল থেকে তাকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে বিএসএমএমইউতে বেগম জিয়ার সুচিকিৎসা হচ্ছে না দাবি করা আসছিল বিএনপি। বেগম জিয়ার আইনজীবীরা এ নিয়ে গত দুই বছরে বহুবার আদালতে গেলেও সব সময়ই তা খারিজ হয়ে যায়। সর্বেেশষ মার্চের শুরুতে খালেদার জিয়ার সাময়িক মুক্তি চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়।

সর্বশেষ খবর