গণস্বাস্থ্যের করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিট উৎপাদনে ল্যাবের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৬ এপ্রিলের মধ্যে ইংল্যান্ড থেকে কিট তৈরিতে কাঁচামাল ঢাকায় এসে পৌঁছাবে। তবে বিমান যোগাযোগ বন্ধ থাকায় কিট উৎপাদন এক সপ্তাহ পিছিয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে ১০ এপ্রিল সরকারের হাতে কিট তুলে দেবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাছে এমন আশাবাদের তথ্য জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে। কিন্তু বিমান যোগাযোগ বন্ধ থাকায় লন্ডন থেকে কিট তৈরির মূল ‘ইনগ্রেডিয়েন্ট (উপকরণ)’ যথাসময়ে আনা সম্ভব হয়নি।
আমরা আপাতত চীনের কাঁচামাল দিয়ে কিট তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এখন সরকারের কাছে ওইসব রোগীর রক্ত চাইব। পরীক্ষায় সফল হলে আমরা শিগগিরই কিট বাজারজাত করতে পারব। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এক্ষেত্রে আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করছেন। তাছাড়া কিট উৎপাদন সংশ্লিষ্ট ল্যাবটিকে চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে পরিদর্শন পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহববুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত ২৮ মার্চ ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিনের পরিচালকের নেতৃত্বে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের একটি দল ল্যাবটি পরিদর্শন করে। পরিদর্শনকালে তারা প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছে।’