মঙ্গলবার, ৭ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা
করোনা চিকিৎসা জালিয়াতি

রিজেন্ট হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছয় বছর আগেই শেষ হয়েছিল লাইসেন্সের মেয়াদ। তবুও চলছিল রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরে রিজেন্ট হাসপাতাল। এভাবেই তারা স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে বাগিয়ে নিয়েছে কভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালের সনদ। এর বাইরে কভিড-১৯ এর টেস্ট ফ্রি করার থাকলেও অভিযোগ ছিল রোগীদের কাছ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা আদায়ের। হাসপাতালের বাইরে থেকেও সংগ্রহ করেছিল ৫ হাজারের মতো নমুনা। একই সঙ্গে রোগীদের দেওয়া হয়েছে ভুয়া প্রতিবেদন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল বিকালে অভিযান চালায় র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আটজনকে প্রাথমিকভাবে আটক করেছে র‌্যাবের মোবাইল কোর্ট। র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ২০১৪ সালে অর্থাৎ ছয় বছর আগে হাসপাতালটির লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবুও তারা স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে কভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে কীভাবে সনদ নিয়েছে বোধগম্য নয়। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। তিনি আরও বলেন, উত্তরার এই হাসপাতালে আমরা দেখেছি কভিড আক্রান্ত মাত্র ২০০ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। তবে এরা ৫ হাজারের ওপরে নমুন সংগ্রহ করেছিল। সরকারিভাবে যে টেস্টগুলো ফ্রি করার কথা সেই টেস্টের জন্য রিজেন্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাড়ে তিন হাজার টাকা করে নিচ্ছে। সেগুলো নিপসম থেকে টেস্ট করার কথা। সবচাইতে জঘন্য কাজ হলো টেস্ট না করেই এরা রিপোর্ট দিয়েছে। ব্যবহার করেছে ভুয়া সিল ও প্যাড। তারা সরকারের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে আবার রোগীদের কাছ থেকেও মোটা অঙ্কের বিল নিচ্ছে।

উত্তরা শাখায় অভিযান চলার সময়ই তিনি বলছিলেন এরপর আমরা মিরপুর যাব। আটক করার আটজনের মধ্যে আমরা দেখতে পেয়েছি তিনজনকে কৌশল করে আগের তারিখ দেখিয়ে ছাঁটাই করা হয়েছিল। এরা ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করত। গতকালও তারা ৪৫টি ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে। প্রসঙ্গত, মার্চ মাসের শেষ দিকে উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে কভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা শুরু হয়। সেখানে করোনা চিকিৎসার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। গত ২৩ মার্চ রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় এলাকার লোকজনের ওপর হামলারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সর্বশেষ খবর