মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

অ্যান্টিজেন পরীক্ষা সীমিত আকারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনাভাইরাস শনাক্তে ‘সীমিত আকারে’ অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু করা হবে। তবে এখন অ্যান্টিবডি টেস্টের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া বিদেশগামীদের জন্য করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফি সাড়ে তিন হাজার থেকে কমিয়ে দেড় হাজার টাকা করা হয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তাইওয়ানের দেওয়া চিকিৎসা-সরঞ্জাম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অ্যান্টিজেন এবং র‌্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে বলছি, র‌্যাপিড টেস্ট আমরা এ মুহূর্তে করব না, করছি না। এটার সিদ্ধান্ত এখনো নেগেটিভ। অ্যান্টিজেন টেস্ট যেটি আছে, সেটি আমরা এখন অ্যালাউ করব সীমিত আকারে। সেটি হবে আমাদের হাসপাতালগুলোতে (সরকারি হাসপাতাল) এবং আমাদের যে সরকারি ল্যাব আছে সেখানে। যেখানে আমাদের ল্যাব নেই, সরকারের তত্ত্বাবধানে আমরা সেখানে অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা আগামীতে করব। অর্থাৎ অ্যান্টিজেন টেস্ট আমরা সরকারিভাবে অ্যালাউ করব। কিন্তু অ্যান্টিবডি টেস্ট আমরা এখন অ্যালাউ করব না।’ তিনি বলেন, ‘এখন ঘরে ঘরে টেস্ট করা উচিত। নমুনা সংগ্রহের পর কোনো পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করিয়ে এনে তারপর রিপোর্ট দেওয়া লং প্রসেস। এর চেয়ে আমরা অ্যান্টিজেন টেস্টটা ঘরেই করতে পারব। যাকে ট্রেস করা দরকার, টেস্ট করা দরকার, তাকে আমরা ওই জায়গায় বসেই টেস্ট করতে পারি।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস শনাক্তে একটি হলো পিসিআর টেস্ট, যেটা আমরা করে যাচ্ছি। আর দুটি টেস্ট- একটি অ্যান্টিজেন এবং অপরটি র‌্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট। এখন প্রায় ৮৮টি ল্যাবে পিসিআর টেস্ট হয়। কিন্তু টেস্টের সংখ্যা সেভাবে বাড়ে না। কারণ কিছু লোকের অনীহা দেখা দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘২০০ টাকার টেস্ট ১০০ টাকা, ঘরে বসে টেস্ট ৫০০ থেকে ৩০০ টাকা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমাদের কাছে অনুরোধ এসেছে, যারা টেস্ট করে বিদেশে যায়, তাদের সাড়ে ৩ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এ সবই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করে নির্দেশনা পেয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর