ভয়ঙ্কর রাতের সড়ক! অনেকেই মদ্যপ অবস্থায় গাড়ির রেস করেন ঢাকার রাস্তায়। কেউ বা বন্ধুদের নিয়ে কেবল মজা করতে অনিয়ন্ত্রিত গতিতে গাড়ি চালাতে থাকেন। এ ছাড়া রাতে ঢাকার রাস্তায় দূরপাল্লার বাসগুলো মহাসড়কের মতোই বেপরোয়া গতিতে ছুটে চলে। সারা দেশ থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ একই গতিতে ঢুকে পড়ে রাস্তায়। মধ্যরাতের পর বেপরোয়া গতিতে চলে কিছু কিছু প্রাইভেট কারও। কেউ কেউ গাড়ি চালনার প্রশিক্ষণও নেয়। কিন্তু তাদের বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ের শিকার হন পথচারী বা ফুটপাথের সাধারণ মানুষ। কিন্তু কে শোনে কার কথা? রাতের রাজপথের শৃঙ্খলায় নেওয়া হচ্ছে না কোনো কার্যকর পদক্ষেপ। দিন দিন বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। রাতে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) পরিচালক (প্রশাসন) ও যুগ্ম সচিব মো. ইলিয়াস ভূইয়া, কাজে গিয়ে আর জীবিত ফিরতে পারেননি বাসায়। বাসায় ফেরার পথে ঘাতক ট্রাক প্রাণ কেড়ে নেয় এই কর্মকর্তার। ইলিয়াস ভূইয়া থাকতেন রাজধানীর রমনা সার্কিট হাউসের তিন নম্বর বাসায়। গত ২০ সেপ্টেম্বর তিনি কাজে গিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জের ভুইঘর এলাকায়। কাজ শেষে বাড়ির পথে রওনা হলেও জীবিত ফিরতে পারেননি তিনি। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী কাজলা এলাকায় ফ্লাইওভারের ঢালে ঘাতক ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ হারাতে হয় তাকে। জানা গেছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাত ১২টায় নারায়ণগঞ্জ থেকে মোটরসাইকেলে ঢাকায় ফিরছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন মোটরসাইকেলের চালক ইলিয়াস। কাজলা হানিফ ফ্লাইওভারে ওঠার সময় একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে দুজন ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাদের ঢামেকে নিয়ে এলে চিকিৎসক ইলিয়াস ভূইয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। রাতে ভয়ঙ্কর ঢাকার সড়কের বিষয়ে একজন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য বলেন, রাতে চালকের বেপরোয়া মনোভাবের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। বেপরোয়া চালকদের বেশিরভাগই উচ্চবিত্তের ‘বখে যাওয়া’ সন্তান। তাদের কেউ কেউ দুর্ঘটনার পর আটক হলেও শেষ পর্যন্ত কিছুই হয় না। এ ছাড়া ট্রাফিক বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম না করার শর্তে বলেন, ক্রসিংগুলোয় ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই), সার্জেন্ট (এসআই), এএসআইসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করেন। রাত সাড়ে ১০টার পর সিগন্যাল পয়েন্টগুলো ফাঁকা হয়ে যায়। এরপরই বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। কারণ ফাঁকা রাস্তায় অসচেতন, অনেক ক্ষেত্রে আনাড়ি চালকরা মনমতো গাড়ি চালায়। এখানে আমাদের আসলেই কিছু করার নেই। রাতে রাজধানীর শাহবাগ চত্বরে সরেজিমন গিয়ে দেখা যায় কোনো ট্রাফিক পুলিশ নেই। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রক বাতিগুলোর বেশ কয়েকটি নিভে আছে। চালকরা নিজেরাই দেখেশুনে রাস্তায় মোড় নিচ্ছেন। এক লেনের গাড়ি পার হতে না হতেই ঢুকে পড়ছে অন্য লেনের গাড়ি। এ ছাড়া রাত ১১টা থেকে আড়াইটার মধ্যে বাংলামোটর, কারওয়ান বাজারের সোনারগাঁও মোড়, পান্থপথ, ফার্মগেট, বিজয় সরণি, মহাখালী, কাকলী, মিরপুর রোড ও গাবতলীতে গিয়ে দেখা গেছে একই চিত্র। প্রতিটি বাস ও ট্রাক ৭০-৮০ থেকে ১১০ কিলোমিটার গতিতে ছুটে চলে। গতি নিয়ন্ত্রণ না করেই বিভিন্ন মোড় পার হচ্ছে সেসব গাড়ি। মিরপুর সেনপাড়ার বাসিন্দা মুকুল প্রধান বলেন, রাতে ট্রাক যেভাবে চলে তাতে রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে ভয় লাগে। মনে হয় ড্রাইভাররা চোখ বুজে গাড়ি চালাচ্ছেন।
শিরোনাম
- বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী
- আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
- রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
- ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
- ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
- নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
- যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
- রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
- ‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
- পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
- একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
- হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
- ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
- রাজশাহীতে বদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- ‘ঢাকার পুরনো ভবনগুলোর ৯০ শতাংশ বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মিত’
- ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
- ধানের শীষে দেশের মানুষের আস্থা রয়েছে: দুলু
- ডেঙ্গুতে মৃত্যুহীন দিনে হাসপাতালে আরও ৪৩৬ জন
- যেভাবে স্মার্টফোনেই মিলবে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা
- এমন ভূমিকম্প আগে কখনও অনুভব করিনি : ফারুকী
অনিয়ন্ত্রিত গাড়ি রাতের রাস্তায়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর