শিরোনাম
শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

বাইডেনের এশিয়ানীতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে

------- শমসের মবিন চৌধুরী

মাহমুদ আজহার

বাইডেনের এশিয়ানীতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী বীরবিক্রম বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের এশিয়ার ভূরাজনীতি কী হবে সে সময় পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আমরা কেন এত উদ্বিগ্ন যে জো বাইডেন এখনই ঢাকার দিকে নজর দেবেন। আমাদের দেখতে হবে বাইডেনের এশিয়া নীতি কী হচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান কী হবে তা দেখার জন্য আরও কিছু সময় লাগবে। আর বাংলাদেশই বা কী ধরনের নীতিতে যাবে তাও দেখার বিষয়। বাংলাদেশ সরকারকে ঠিক করতে হবে নতুন প্রশাসনের সঙ্গে কেমন বাণিজ্যিক সম্পর্ক চাই, অভিবাসন নীতি কেমন চাই। মনে রাখতে হবে এশিয়ার প্রভাবশালী দেশের তালিকায় চীন, জাপান, ভারত রয়েছে। গত সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক কেমন হবে জানতে চাইলে এসব কথা বলেন সাবেক এই কূটনীতিক। বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, বাইডেন কখন বাংলাদেশের দিকে তাকানোর সময় পাবেন তা এখনই বলা যাবে না। তাঁর দেশের ভিতরে যে বড় বড় সমস্যা রয়েছে সেগুলো মোকাবিলা করতেই তাঁর বেশ দীর্ঘ সময় চলে যাবে। তাদের পুরনো মিত্র মেক্সিকো, কানাডার সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতেও সময় লাগবে। বাইডেনের এশিয়া নীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান কী হবে তা-ই দেখার বিষয়। এ নিয়ে রাতারাতি কিছু বলা যাবে না। বেশ কিছু সময় লাগবে। সাবেক সেনা কর্মকর্তা শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন যে কয়েকটি মুসলিম দেশের প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তা জো বাইডেন তুলে নিয়েছেন। কিন্তু অভিবাসনের বৈধতা দেওয়ার জন্য এখনো এমন কোনো আকর্ষণীয় নীতি তিনি ঘোষণা করেননি। তবে ২০ থেকে ৩০ লাখ মেক্সিকান অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তাদের ক্ষেত্রে জো বাইডেনের অভিবাসন নীতি আগে কার্যকর হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশকেও বুঝতে হবে বাইডেনের এশিয়ার ভূরাজনীতিতে অংশ নিতে চাই, না বাইরে থাকতে চাই। সামরিক সম্পর্ক নতুনভাবে গড়ে তুলতে চাই কি না তাও দেখার বিষয়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এখনো স্থিতিশীল রয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতেও ট্রাম্প প্রশাসনও ইতিবাচক ছিল। এখন কি তারই ধারাবাহিকতা থাকবে, না আরও উন্নত হবে তা বোঝা যাবে বাইডেনের দক্ষিণ এশিয়ার নীতি কী হবে তার ওপর।

এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাইডেন প্রশাসন যদি সারা বিশ্বের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন নিয়ে সামনে এগোতে চায় তাহলে তাদের মিসরসহ যেসব দেশে একেবারেই গণতন্ত্র নেই সেগুলোর দিকে আগে নজর দিতে হবে। অনেক দেশে নির্বাচনই হয় না। সেগুলোয় আগে নজর দিতে হবে। কিন্তু ওইসব দেশও যুক্তরাষ্ট্রকে পরোয়া করে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর