মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

আইন প্রয়োগে ব্যর্থ কমিশন

এম সাখাওয়াত হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

আইন প্রয়োগে ব্যর্থ কমিশন

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন আইন প্রয়োগে ব্যর্থ হয়েছে। ইসি বিভিন্ন নির্বাচনে অ্যাকশন না নিতে না নিতে তাদের হাত থেকে নির্বাচনী ব্যবস্থা বের হয়ে গেছে। এখন চার বছরের পর তাদের হাতে এক বছর রয়েছে। এক বছরে কী করবেন তারা?      কোন মিরাকেল আমরা দেখব?’ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. এম সাখাওয়াত বলেন, বর্তমান ইসির নিজের ভিতরে ঐক্য নেই। ইসির যে ইন্টারনাল আইন আছে, তাও একটু সংস্কার করতে হবে, যাতে একক ক্ষমতা একজন নিতে না পারেন।

বর্তমান কমিশনের বক্তব্য দিয়ে টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘কমিশনের কাজ কী? তাদের কাজ তাদের সাব-অর্ডিনেটদের ট্রেনিং দেওয়া। আইন সম্পর্কে জানানো। সেখানে টাকা নেবেন কেন? তারা তো অতিথি বক্তা নন। তবে তারা কীভাবে টাকা নিয়েছেন, সেটা বলতে পারব না। এটা নিয়ে অডিট ডিপার্টমেন্ট অভিযোগ দিয়েছে।’

তিনি বলেন, প্রায় ৫ হাজার ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। আর পৌরসভা মাত্র কয়েক শ। ৫ হাজার ইউপি নির্বাচন যখন গ্রামেগঞ্জে হবে, সেন্ট্রাল কমিটি তো তাকে নমিনেশন দেবে না। সেন্ট্রাল কমিটি নিয়ন্ত্রণ করবে না। তবে যারা লোকাল লিডার রয়েছেন তারা তো মনে হয় সেন্টারের কথাও শোনেন না। তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি আইন তৈরি করার এবং তা প্রয়োগ করার। সেখানে বর্তমান কমিশনের দুর্বলতা রয়েছে। যথাযথ আইন প্রয়োগ হয়নি।’

গতকাল রাতে বেসরকারি টেলিভিশন নিউজ টোয়েন্টিফোরের এক আলোচনায় তিনি বলেন, বর্তমান কমিশনের আর এক বছর রয়েছে। এই এক বছরে তেমন কোনো বড় নির্বাচন নেই। তবে এরপর ইউপি নির্বাচন রয়েছে। আর ইউপি নির্বাচন হবে ‘জোর যার মুলুক তার’। কেননা ছোট পৌরসভাগুলো কন্ট্রোল করা যাচ্ছে না। সেখানে ইউনিয়ন পরিষদ তো এ রকমই হবে। আমরা দেখেছি প্রার্থীরা টাকার বস্তা নিয়ে ইউপি নির্বাচন করেন। অনেক কষ্ট করে সেগুলো বন্ধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ইসি একা কিছু করতে পারবে না। ইসি যদি সময়মতো অ্যাকশন নিত, অন্তত তখন ইসির ওপর মানুষের আস্থা তলানিতে যেত না।

সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘বেশির ভাগ ইসির ভিতরে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। কমিশনারদের ভিতরে গ-গোল। তার মানে হচ্ছে, যিনি টিম ক্যাপ্টেন তিনি সবাইকে একত্র করতে পারেন না। আমরা কমিশন সচিবালয়কে স্বাধীন করার জন্য যে আইনটা তৈরি করেছিলাম, সেই আইনের ভিতরে একটু গলদ রয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, বর্তমান সিইসি কারও কথা শোনেন না। সিইসি এবং সচিব মিলে কাজ করেন। এসব বিষয়ে একজন কমিশনার লিখিত দিচ্ছেন। কিন্তু বাকি কমিশনাররা লিখিত দেন না।

 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর