বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

রাশিয়া-চীনের টিকা দেশেই উৎপাদনের অনুমোদন : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাশিয়া-চীনের টিকা দেশেই উৎপাদনের অনুমোদন : অর্থমন্ত্রী

করোনাভাইরাসের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকর ভ্যাকসিন রাশিয়ার ‘স্পুটনিক-ভি’ ও চীনের তৈরি ‘সিনোফার্ম’ বাংলাদেশেই উৎপাদন করা হবে। গতকাল এর নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। ভ্যাকসিন দুটির কাঁচামাল ও যাবতীয় প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরকারি ক্রয় পদ্ধতিতে দেশে এনে ভ্যাকসিন উৎপাদন করা হবে।

গতকাল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে জুম প্লাটফরমে ব্রিফিং করেন অর্থমন্ত্রী। আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ভারত ছাড়াও বিকল্প সোর্স থেকে করোনার ভ্যাকসিন আনার চেষ্টা করছে সরকার। রাশিয়া ও চীন থেকে ভ্যাকসিন আনা হচ্ছে। এ দুই দেশের উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন বাংলাদেশেই উৎপাদন করা হবে। এর নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। পরে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার বলেন, ‘এই টিকা উৎপাদনে কত টাকা যুক্ত তা পরে যখন ক্রয় কমিটিতে প্রস্তাব আসবে তখন জানা যাবে। এখন শুধু নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’ তবে ভ্যাকসিন উৎপাদনের খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে ড. শাহিদা বলেন, এটা নিয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি। বিষয়টি যখন ক্রয় কমিটিতে অনুমোদনের জন্য আসবে তখন আমদানি বা উৎপাদন ব্যয়ের বিষয়ে আলোচনা হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের যে কারিগরি ও পরামর্শক কমিটি রয়েছে তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং আমাদের নীতিনির্ধারকরা রয়েছেন তারাও আলোচনা করেছেন। তার পরই এ বিষয়ে সম্মতি দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই কার্যক্রম শুরু হবে।’ বাংলাদেশের কোন কোম্পানির মাধ্যমে উৎপাদন হবে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা আলোচনায় উঠে আসেনি। তবে বাংলাদেশের কোম্পানিগুলো উৎপাদনে সক্ষম সেটা বলা হয়েছে। এই টিকা উৎপাদনের জন্য যে টাকা খরচ হবে সেটা পরবর্তী অর্থনৈতিক কমিটিতে অনুমোদন দেওয়া হবে। চীনও সিনোভ্যাক্স উৎপাদনের বিষয়ে আলাপ করেছে। বাংলাদেশ ও চীন দুপক্ষই এটি উৎপাদনে একমত হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে উৎপাদন হবে।’ এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘হেলথ মিনিস্ট্রি সম্পর্কে আপনারা ভালো জানেন। হেলথ মিনিস্ট্রির আস্তে আস্তে ইম্প্রুভ হচ্ছে, এটা আমাদের সবাইকে স্বীকার করতে হবে। আজকে দুটি প্রস্তাব ছিল, একটি হলো টিকা কেনা। আমাদের বিকল্প সোর্স থেকেও চেষ্টা করতে হবে। তার মানে এই নয় আমাদের প্রথম যে সোর্স সেটি বাতিল হয়ে গেছে। তবে আমাদের মাথায় সব সময় বিকল্প রাখতে হবে। তাই বিকল্প হিসেবে রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক-ভি ও চীনের ‘সিনোভ্যাক’ এর জন্য দুটি দেশের সংশ্লিষ্ট সংস্থা যারা আছে তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। এদিকে চলতি বছর শেষে ৫ দশমিক ৫ থেকে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে এডিবির এমন পূর্বাভাসের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, তাদের পূর্বাভাস সব সময় সঠিক হয় না। বাস্তবে কাজটা তো আমরা করি। ফলে আমাদেরটাই সঠিক হয়। এ ছাড়া ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হওয়ার কথা বলেছে, এটা কিন্তু ভালোই বলেছে। বেশিই বলেছে।

সর্বশেষ খবর