শিরোনাম
শনিবার, ১৯ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা আগের চেয়ে খারাপ

-অধ্যাপক মাহফুজা খানম

নিজস্ব প্রতিবেদক

মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা আগের চেয়ে খারাপ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক মাহফুজা খানম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দেশের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য আগের চেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে। এর কারণ সবকিছুই এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আর শিক্ষার্থীরা আরও বেশি অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে। এই অধ্যাপক বলেন, কবে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা শেষ হবে, কবেই বা তারা ডিগ্রি পাবে, এরপর আদৌ তারা চাকরি পাবে কিনা এসব বিষয় অনিশ্চিত                হয়ে পড়ছে। আবার মহামারীর এই সময়ে পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাওয়া নিয়ে মানুষের মধ্যে এক ধরনের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সব মিলিয়ে এক ধরনের মানসিক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। আর মানুষ বেশি দিন মানসিক চাপ নিয়ে চলতে পারে না। কারণ মানসিক চাপ বেড়ে গেলে মানুষের হরমোনাল ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। এর পার্শ¦প্রতিক্রিয়ায় মানুষ অল্পতেই উত্তেজিত হয়ে পড়ে। তখন তারা রাগারাগী ও হিংস্র আচরণ করে। আর এসবই এক ধরনের মানসিক রোগের বহিঃপ্রকাশ। কেউ কেউ রাগের বহিঃপ্রকাশ করে নিজের মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করে। আবার কেউ তা পারে না। যারা পারে না তারা চূড়ান্ত পরিণতি হিসেবে আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটায়। সে সময় ভুক্তভোগী এত বেশি বিষণœ হয়ে পড়ে যে- কোনো কিছুই আর তার কাছে ইতিবাচক মনে হয় না। মাহফুজা খানম বলেন, পরিবারের কেউ মানসিক সমস্যায় পড়লে অভিভাবকদের নজরদারি বাড়াতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করতে হবে। পরিস্থিতি ভালো হয়ে যাবে বলে আশ্বস্ত করতে হবে। আবার সন্তানের পাশাপাশি মা-বাবা এবং অভিভাবকদের মানসিক চাপ থাকতে পারে। এক্ষেত্রে সন্তানদের নজরদারির বদলে তারা উল্টো তাদের ওপর রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারে। ফলে এ বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ছেলেমেয়েরা যাতে এই সময়টায় নিয়মিত পড়ালেখা করে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ একবার পড়ালেখায় বিরতি পড়ে গেলে তা আবার স্বাভাবিক গতিতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না। একই সঙ্গে শিশুদের বিনোদনের দিকেও নজর দিতে হবে। তাদের সঙ্গে অভিভাবকরা ক্রিকেট খেলতে বা একসঙ্গে টিভি দেখতে পারেন। আর উঠতি বয়সী কিশোররা এই বয়সে সমবয়সীদের সঙ্গে মিলে কিশোর গ্রুপ গড়ে তুলে। এটি যাতে তারা না করতে পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর