রবিবার, ২০ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

ভারতে সুরক্ষা বলয় হারিয়েছে টুইটার

ব্যবহারকারীর পোস্টের জন্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলাসহ ব্যবস্থা নেওয়া যাবে

প্রতিদিন ডেস্ক

ভারতে সুরক্ষা বলয় হারিয়েছে টুইটার

ভারতে এত দিন সুরক্ষিত ছিল টুইটার। কোনো ব্যবহারকারীর পোস্টের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে দায়বদ্ধ করে মামলা করা যেত না। এবার সে সুরক্ষা বলয় হারিয়েছে মাধ্যমটি। টুইটারসহ একাধিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সংস্থার সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিতর্ক চলছে।

ভারতের তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ অভিযোগ করেছেন, চালু করা নতুন আইটি নীতিমালা ইচ্ছাকৃতভাবে মেনে চলছে না টুইটার। কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার কথা ছিল টুইটারের। কিন্তু তারা তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। কিছুদিন আগে গুরুগাঁওয়ে টুইটারের অফিসে রেডও দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রের বক্তব্য, সোশ্যাল নেটওয়ার্কের ডেটা প্রয়োজনে সরকারকে দিতে হবে। কিন্তু টুইটার স্পষ্ট জানিয়েছিল, এ কাজ বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। তারা সে কাজ করতে পারবে না। প্রতিটি সংস্থাকে বলা হয়েছিল, ভারতে তাদের একজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ করতে হবে, কেন্দ্র যার কাছে জবাবদিহি চাইতে পারবে।

সুরক্ষা বলয় কী : টুইটার, ইউটিউব, ফেসবুকের মতো সংস্থাগুলোকে আইনি ভাষায় মধ্যস্থতাকারী সংস্থা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অর্থাৎ, এ প্ল্যাটফরম ব্যবহার করে সাধারণ মানুষ তাদের নিজেদের বক্তব্য প্রকাশ করতে পারে। মধ্যস্থতাকারী সংস্থাগুলোকে এক ধরনের আইনি রক্ষাকবচ দেওয়া হয়। যার ফলে যে কেউ যে কোনো সময় তাদের বিরুদ্ধে যে কোনো ধারায় মামলায় করতে পারে না। টুইটারের ক্ষেত্রে সেই আইনি রক্ষাকবচ তুলে নেওয়া হয়েছে।

বিরোধের সূত্রপাত : দিনকয়েক আগে উত্তরপ্রদেশে এক ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। দৃশ্যত মুসলিম ওই ভদ্রলোককে প্রথমে কয়েকজন ঘিরে ধরে প্রবল মারধর করে। পরে তার দাড়ি কেটে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। টুইটারে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়। বিষয়টিকে সাম্প্রদায়িক বলে মন্তব্য করেন কিছু ব্যক্তি। উত্তরপ্রদেশ সরকারের বক্তব্য, ওই ঘটনার সঙ্গে সাম্প্রদায়িক বিষয় জড়িত নয়। টুইটারকে ওই মন্তব্যগুলো সরিয়ে দিতে বলা হয়। কিন্তু টুইটার তা করেনি। তারপরই এ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

সরকারের দাবি : উত্তরপ্রদেশ সরকারের দাবি, সাম্প্রদায়িক কারণে ওই ব্যক্তিকে মারধর করা হয়নি। ওই ব্যক্তি তাবিজ-কবচ বিক্রি করতেন। তা নিয়েই স্থানীয় মানুষের সঙ্গে তার বচসা হয়। যারা মারধর করেছে, তাদের মধ্যে হিন্দু-মুসলিম সবাই আছে।

সর্বশেষ খবর