মঙ্গলবার, ৬ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনা চিকিৎসায় শুধুই সংকট

গ্রামেগঞ্জে বাড়ছে রোগী, আইসিইউর জন্য হাহাকার । সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট নেই ১৭ জেলায় । টেস্ট ভোগান্তি অব্যাহত বাড়ছে উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু । হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলারও ঘাটতি । জেলা-উপজেলা হাসপাতালে আরটিপিসিআর স্বল্পতা

মাহমুদ আজহার ও জয়শ্রী ভাদুড়ী

করোনা চিকিৎসায় শুধুই সংকট

কুমিল্লা সিএমসি হাসপাতালে গতকাল রোগীর উপচে পড়া ভিড় -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ভয়াবহ সংকটের আবর্তে বাংলাদেশ। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। কিন্তু দেড় বছরেও কাটেনি চিকিৎসা সংকট। যত দিন যাচ্ছে সংকট ততই বাড়ছে। এখন গ্রামগঞ্জও নিরাপদ নয়। আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে করোনা রোগী। কিন্তু চিকিৎসার বেহাল দশা কাটেনি। এখনো সব জেলায় নেই আরটি-পিসিআর। বিশেষ করে খুলনা, রাজশাহীসহ সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। এসব জেলায় আইসিইউ সংকট চরমে। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা চিকিৎসায় শুধুই সংকট। এ সংকট মোকাবিলায় নেই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও বাস্তবমুখী ব্যবস্থা।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ীই অন্তত ৩৭টি জেলায় নেই আইসিইউ। সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট নেই অন্তত ১৭ জেলায়। শুরু থেকেই ছিল টেস্ট ভোগান্তি। এখনো ভোগান্তি শেষ হয়নি করোনা পরীক্ষায়। বাড়েনি করোনা টেস্টের সংখ্যাও। হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলারও ঘাটতি আছে তৃণমূল পর্যায়ের হাসপাতালে। উপসর্গ নিয়েও মৃত্যুর হার শঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে।

এদিকে করোনা চিকিৎসার বেহাল দশা নিয়ে কয়েক          দিন ধরেই জাতীয় সংসদে হইচই হচ্ছে। প্রতিনিয়ত তোপের মুখে পড়ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি আশ্বাস দিচ্ছেন, কিন্তু সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চোখে করোনা চিকিৎসায় তেমন কোনো সংকট নেই। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। করোনা প্রতিরোধে পর্যাপ্ত টিকার ব্যবস্থা করতে পারেনি বাংলাদেশ। এ পর্যন্ত দেশে ১৮ কোটি জনগোষ্ঠীর শতকরা ২ ভাগ মানুষ টিকা দিতে পেরেছে। দেশজুড়ে চলছে সর্বাত্মক লকডাউন। দেশের অর্থনীতির বেহাল দশা। বাড়ছে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা। করোনার শুরু থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। সব ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষককে টিকা দেওয়া যায়নি। এ কারণে খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ৩১ জুলাই পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. লেলিন চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ব্যতিক্রম বাদে আমাদের তৃণমূল পর্যায়ে উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে কোনো অক্সিজেন সরবরাহ নেই। সিলিন্ডারের ব্যবস্থা থাকলেও খুবই অপ্রতুল। রোগী যখন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়, তখন তাকে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। ৬৪ জেলার মধ্যে কমবেশি ৩৫ জেলায় অক্সিজেন সরবরাহ আছে। বাকিগুলোতে নেই। আজ থেকে আট মাস আগেও দিনে করোনার ৩০ হাজার টেস্ট করেছি। এখনো আমরা টেস্ট বাড়াতে পারিনি। তৃণমূল পর্যায়ে এক দুই দিনের ট্রেনিং দিয়েও অ্যান্টিজেন টেস্ট করাতে পারি। সেটিও হচ্ছে না। তার মানে, আমাদের ঢাল-তলোয়ার যা ছিল সেখানেই দাঁড়িয়ে আছি। এ জন্য সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার দিন দিন বাড়ছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে অবশ্যই প্রতিরোধী লড়াইটাকে সঠিকভাবে করতে হবে। মানুষকে মাস্ক পরাতে হবে। আমরা একদিকে টেস্টের সংখ্যা বাড়াইনি, অন্যদিকে চিকিৎসার সুবিধা বাড়াইনি। গণমানুষকে এর সঙ্গে যুক্ত করতে পারিনি।’

৩ জুলাই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন ১৩ জন। এর মধ্যে উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আটজন, বাকি পাঁচজনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা পরীক্ষা ল্যাবে প্রতিদিনই বাড়ছে নমুনা জট। ল্যাবটিতে মাত্র তিনজন টেকনোলজিস্ট দিয়ে প্রতিদিন দুটি মেশিনে চার-পাঁচ শিফটে নমুনা পরীক্ষা করতে হচ্ছে। এতে টেকনোলজিস্টদের ওপর বাড়তি চাপ পড়ছে। রামেক ল্যাব সূত্র জানায়, প্রতিদিন গড়ে ৮০০ নমুনা এসে জমা পড়ছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে। রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার মধ্যে নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং রাজশাহীর নমুনা আসছে নিয়মিত।

২৮ জুন থেকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবের বায়োসেফটি কেবিনেটের ল্যামিনার ফ্লু মেশিন বিকল হওয়ায় করোনাভাইরাস নমুনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে করোনাভাইরাসের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। নওগাঁ সদর আধুনিক হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য আরটি-পিসিআর ল্যাব অনুমোদনের এক মাস অতিবাহিত হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। তবে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ব্যবস্থা হয়েছে।

ঝিনাইদহে করোনা রোগী শনাক্তের জন্য আরটি-পিসিআর ও আইসিইউ নেই। রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে পার্শ্ববর্তী জেলা যশোর ও কুষ্টিয়ায় পাঠাতে হয়। সেই নমুনার রিপোর্ট আসতে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগে। জেলায় প্রতিদিন করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। করোনা টেস্ট নিয়ে চরম ভোগান্তিতে নীলফামারীর মানুষ। সংক্রমণ যখন ঊর্ধ্বমুখী, তখন করোনা টেস্ট নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা। নমুনা দেওয়ার পাঁচ-সাত দিন দেরিতে ফলাফল পাওয়ায় বাড়ছে সংক্রমণ।

হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা সংকটে বগুড়ার সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে বৃহস্পতিবার ১৩ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনা গণমাধ্যমে উঠে এলে হইচই শুরু হয় দেশজুড়ে। ফুটে ওঠে করোনাকালে জেলা শহরের হাসপাতালগুলোর সংকটের চিত্র। পরবর্তী সময়ে বগুড়ার সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালসহ দুটি হাসপাতালে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ২৩টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে মোট ১৯টি এবং বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার সংখ্যা দাঁড়াল ২৫টি। এর মধ্যে একটি বিকল হয়ে আছে।

আইসিইউ, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা সংকটে দেশের জেলা ও বিভাগীয় শহরগুলোতে বাড়ছে করোনা রোগীদের মৃত্যু। পাঁচ দিন ধরে ১০০ জনের বেশি প্রাণহানি ঘটছে করোনায়। করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিতে অনেকের করতে হচ্ছে প্রাণান্তকর চেষ্টা। এই মুমূর্ষু সময়ে মিলছে না আইসিইউ। সীমান্ত ও আশপাশের জেলাগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ। কিন্তু এখনো দেশের ৩৭ জেলায় নেই করোনা রোগীদের জন্য আইসিইউর ব্যবস্থা। এ জন্য শত কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে রোগী নিয়ে বিভাগীয় শহরের হাসপাতালে ছুটছেন স্বজনরা। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৩৭টিতেই কভিড চিকিৎসার জন্য আইসিইউ নেই। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৫টি, চট্টগ্রামের ৮টি, রংপুরের ৬টি, সিলেটের ২টি, বরিশালের ৪টি, খুলনার ৪টি, রাজশাহীর ৬টি ও ময়মনসিংহের ২টি জেলা রয়েছে।

খুলনা বিভাগের ঝিনাইদহে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়লেও সেখানে মুমূর্ষু রোগীর চিকিৎসায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) নেই। ফলে এ জেলার রোগীদের জরুরি আইসিইউর প্রয়োজনে খুলনা ও যশোরে নেওয়া হয়। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় জানিয়েছে, বিভাগের ১০ জেলায় মোট ৪৯টি আইসিইউ শয্যা আছে। কিন্তু রোগীর চাপে হাসপাতালে গেলেও আইসিইউ শয্যা পাওয়া যায় না। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে আইসিইউ শয্যা পেতে সেখানে ভর্তি একজনের মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের! খুলনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের সমন্বয়কারী ডা. মো. খসরুল আলম জানান, হাসপাতালের নতুন অক্সিজেন প্লান্টটি দীর্ঘদিনেও চালু না হওয়ায় অক্সিজেন সরবরাহে চাপ বাড়ছে। করোনা রোগীর প্রায় প্রত্যেকের অক্সিজেন সাপোর্ট প্রয়োজন হচ্ছে এবং হঠাৎ করে শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে।

রাজশাহী মেডিকেলে একটি আইসিইউ বেডের আশায় দিনের পর দিন অপেক্ষা করছেন রোগীরা। অবস্থা এমন হয়েছে যে একটি আইসিইউ খালি পেতে অন্তত ৭৭ জন রোগী সিরিয়ালে আছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন করে আইসিইউ শয্যা বাড়ানোর মতো অবকাঠামো নেই বলে জানিয়েছেন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার শামীম ইয়াজদানী। তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমাদের আইসিইউ বাড়ানোর মতো আর স্ট্রাকচারাল ক্যাপাসিটি নেই। যা ছিল সবই করলাম। এখন আইসিইউ বেড ২০টি। এখানে বেড পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করার বিকল্প নেই। কারণ রোগীর চাপ অনেক বেশি। কেউ সুস্থ বা মারা না গেলে অন্য জনকে বেড দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

রংপুর বিভাগের আট জেলার মধ্যে দুটিতে আইসিইউ বেড রয়েছে মাত্র ২৬টি। এর মধ্যে রংপুরে ১০টি ও দিনাজপুরে ১৬টি। বিভাগের অন্য কোনো জেলায় আইসিইউ বেড নেই। এইচডিইউ বেড রয়েছে মাত্র ১১টি। প্রতিটি জেলা সদরে ১০টি করে আইসিইউ বেডের চাহিদা পাঠানো হলেও কয়েক মাস পার হলেও কোনো অগ্রগতি হয়নি।

রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. জাকিরুল ইসলাম বলেন, জেলা সদরের হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ বেডের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের ১০টি জেলায় আইসিইউ শয্যা অপ্রতুল হওয়ায় রোগীদের পোহাতে হয় দুর্ভোগ। বান্দরবান ১০০ শয্যা সদর হাসপাতালে আইসিইউ ও এইচডিইউ নেই। রাঙামাটি ১০০ শয্যা সদর হাসপাতাল ও খাগড়াছড়ি ১০০ শয্যা সদর হাসপাতালে আইসিইউ, এইচডিইউ ও ভেন্টিলেটর কিছুই নেই। নোয়াখালী শহীদ ভুলু হাসপাতালে করোনা সেন্টারে আইসিইউ ও এইচডিইউ নেই। লক্ষ্মীপুর ১০০ শয্যা সদর হাসপাতালে আইসিইউ ও এইচডিইউ নেই, ভেন্টিলেটর আছে দুটি। চাঁদপুর ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে আইসিইউ ও এইচডিইউ নেই, ভেন্টিলেটর ২৬টি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে আইসিইউ, এইচডিইউ ও ভেন্টিলেটর নেই।

সিলেটে আইসিইউর একটি বেডের জন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে ঘুরছেন রোগীর স্বজনরা। সিলেট বিভাগের একমাত্র কভিড ডেডিকেটেড ১০০ শয্যার শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালেও মিলছে না আইসোলেশন বেড। শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. সুশান্ত কুমার মহাপাত্র জানান, হাসপাতালটির আইসিইউর ১৬টি বেডের সব কটিই রোগীতে পূর্ণ। ফলে আইসিইউ সাপোর্ট লাগবে এমন গুরুতর অসুস্থ কোনো রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা সম্ভব হচ্ছে না।

জানা যায়, বর্তমানে দেশের অন্তত ১৭টি জেলায় সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট নেই। এসব এলাকায় প্লান্ট বসানোর কাজ করছে ইউনিসেফ। ইউনিসেফের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, মোট ৩০টি হাসপাতালে প্লান্ট বসানোর কাজ করছেন তারা। ইতিমধ্যে পাঁচটির কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে। এর মধ্যে দুটি চালু হয়েছে। বিস্ফোরক অধিদফতরের অনুমতি পেলে বাকি তিনটি এ সপ্তাহে চালু হবে। আর ১১টির কাজ প্রায় শেষের দিকে। বাকি ১৪টির পাইপলাইন বসানোর কাজ হয়েছে। ভারত থেকে ট্যাংক এলেই তা স্থাপনের কাজ শেষ হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতর তাদের কার্যাদেশ দিতে এক বছর দেরি না করলে অনেক আগেই কাজ শেষ হতো। এখন যেসব এলাকায় রোগী বাড়ছে, সেখানে আগে কাজ শেষ করছেন তারা।

এরই মধ্যে হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে করোনা রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরা ও বগুড়ায়। অক্সিজেন সরবরাহের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা বলছেন, অক্সিজেনের মজুদ থাকলেও তা সরবরাহে দক্ষ ব্যবস্থাপনা জরুরি। বর্তমানে অক্সিজেন পরিবহনের জন্য ট্যাংকারের অভাব আছে। অধিকাংশ হাসপাতালে সেন্ট্রাল পাইপলাইনে স্বাভাবিক সক্ষমতার চেয়ে এখন বাড়তি অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ না হলে সময়মতো অক্সিজেন পৌঁছানোর চ্যালেঞ্জ আছে। আছে দক্ষ জনশক্তির ঘাটতি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর