বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় বজ্রপাতে ১৭ জন নিহতের ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চলছে মাতম। স্বজনরা বুধবার রাতেই নিহতদের দাফন সম্পন্ন করেছেন। গতকাল সকালে সদর উপজেলার সূর্যনারায়ণপুর গ্রামে বর আল মামুনের নানাবাড়ি গিয়ে দেখা যায় নানা তবজুল ইসলামসহ পরিবারের ছয়জনের মৃত্যুতে চলছে মাতম। এ বাড়ির সামনেই ছয়জনের লাশ দাফন করা হয়েছে। তবজুলের নাতনি সেলিনা খাতুন জানান, মর্মান্তিক এ ঘটনায় তার স্বামী সইবুর, তার বাবা শরিফুল ইসলাম পাতু, নানা-নানি, মামা-মামি ও খালা নিহত হয়েছেন। স্বামী মারা যাওয়ায় দুই শিশু সন্তান নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন তিনি। তার আশ্রয়স্থল না থাকায় তিনি তার পরিবারের জন্য সরকারি সহায়তা কামনা করেছেন। তবজুলের ছেলে সাদিকুলের মেয়ে ১০ বছরের সোনিয়া মা-বাবাকে হারিয়েছে। ১৪ বছরের এক ভাই ও ছোট তিন বোন রয়েছে। বাবা-মা ও দাদা-দাদি মারা যাওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েছে তারা। তাদের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে সবার সহায়তা চাওয়া হয়েছে। পুরো এলাকায় বিরাজ করছে শোকের ছায়া। এলাকাবাসী শোকে পাথর। একই ইউনিয়নের ডাইলপাড়া গ্রামে বর আল মামুনের বাড়ি গিয়ে দেখা যায় সেখানেও চলছে মাতম। আল মামুন তার বাবাসহ ১৭ জনকে হারিয়ে পাগলপ্রায়। জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ জানান, ঘটনাটি সরকারের ওপর মহলে জানানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হবে। উল্লেখ্য, বুধবার নৌকাযোগে সদর উপজেলার নারায়ণপুর থেকে পাশের শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা এলাকায় বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় বজ্রপাতে পাঁচ মহিলাসহ ১৭ জন নিহত হন, আহত হন আরও ১৩ জন। সবার বাড়ি সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
