সোমবার, ৯ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

উপচে পড়া ভিড় টিকা কেন্দ্রে

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণ রোধে সারা দেশে শুরু হয়েছে গণটিকাদান কর্মসূচি। প্রথম দিনের মতো গতকাল দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। টিকা নিতে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে অনেককেই। এই গণটিকা কার্যক্রমে সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যায়নি কাউকেই। অনেকের মুখে ঠিকভাবে মাস্কও ছিল না।

কিছুদিন আগেও টিকা নিতে মানুষের এত আগ্রহ দেখা যায়নি। কিন্তু বর্তমানে চারপাশে করোনার ভয়ানক পরিস্থিতি দেখে টিকা নিতে এসেছেন বলে জানান অনেকে। গতকাল যত মানুষ টিকা নিতে এসেছিলেন কম-বেশি তার এক-তৃতীয়াংশ মানুষ টিকা দিতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তরা।

গতকাল রাজধানীর দনিয়া, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, খিলগাঁও ও ভাটারা এলাকার কয়েকটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল ৯টা থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হলেও সকাল ৬টা থেকেই মানুষ দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। দীর্ঘ চার ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকে টিকা নিতে পারেননি। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হয়েছে। ভাটারায় টিকার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা সুফিয়া খাতুন বলেন, আমি গতকালও (শনিবার) লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নিতে পারিনি। আজ (রবিবার) সকাল পৌনে ৭টা থেকে দাঁড়িয়ে আছি। লাইন এগোচ্ছে না। জানি না আজও টিকা নিতে পারব কি না। এই সময়ে আমি সংক্রমিত হচ্ছি কিনা এখন সেই ভয় পাচ্ছি। দনিয়া এলাকার আকলিমা বেগম বলেন, আগে অনেকেই বলেছিলেন টিকা নিতে তখন ভয় পেয়েছিলাম। বিভিন্ন মানুষ টিকা নিয়ে নানা ধরনের কথা বলত। তাই আগে নেওয়া হয়নি। এখন চারদিকের যে অবস্থা দেখছি, যেভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে, তাই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে হলেও টিকা নিয়ে ফিরব। সারা দেশে ২৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে প্রাধান্য দিয়ে শনিবার সকাল ৯টা থেকে করোনার গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে, যা চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত। শনিবার প্রথম দিনে দেশে ২৭ লাখেরও বেশি মানুষ টিকা নিয়েছেন। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় দেশের ৪ হাজার ৬০০টি ইউনিয়নে ১ হাজার ৫৪টি পৌরসভায় এবং সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৩৩টি ওয়ার্ডে একযোগে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এতে ৩২ হাজার ৭০৬ জন কর্মী ও ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন।

সর্বশেষ খবর