বুধবার, ১৮ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ-ভারতসহ চার দেশের বাণিজ্য যোগাযোগ জরুরি : ড. আতিউর

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ-ভারতসহ চার দেশের বাণিজ্য যোগাযোগ জরুরি : ড. আতিউর

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেছেন, বাণিজ্য যোগাযোগ কেবল ব্যবসায়ীদের জন্য নয়, ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার চার দেশের বৃহত্তর জনস্বার্থেও জরুরি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আন্তদেশীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য অবকাঠামো উন্নয়নসহ অন্যান্য উদ্যোগ বাণিজ্য বাড়াতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। কর্মসংস্থান, অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং সামষ্টিক অর্থনীতির গতিশীলতাও বাড়বে।

গতকাল বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয় ও ভারতীয় গবেষণা সংস্থা কনজিউমার ইউনিটি অ্যান্ড ট্রাস্ট সোসাইটি (কাটস) ইন্টারন্যাশনালের যৌথ আয়োজনে ‘বিবিআইএন দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য সহজীকরণের  জন্য মাল্টি-মোডাল কানেক্টিভিটি’ শীর্ষক অনলাইন আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

এতে আরও বক্তব্য দেন ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-আইবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান, কমোডর গোলাম সাদেক, সড়ক পরিবহন ও মহাড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আক্তার, সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সিইও আহসান খান চৌধুরী প্রমুখ। এতে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের লিড ইকোনমিস্ট রবার্ট শুভ্র গুদা।

ড. আতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল নিয়ে গঠিত বিবিআইএন দেশগুলোর অংশীজনদের করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে সামনে রেখে আরও বেশি সহযোগিতামূলক মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। আইবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, টেকসইভাবে আন্তদেশীয় বাণিজ্য সহজীকরণের জন্য সব অংশীজনের অংশগ্রহণের আরও বেশি গবেষণা ও সংলাপের প্রয়োজন। সড়ক পরিবহন ও মহাড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আক্তার বলেন, আন্তদেশীয় বাণিজ্য সহজীকরণের ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি কর ব্যবস্থাপনার দিকে আরও নীতি-মনোযোগ দরকার রয়েছে।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাংলাদেশে আন্তদেশীয় বাণিজ্যের অবকাঠামো উন্নয়নে প্রতিবেশী দেশ (যেমন : ভারত, নেপাল ও ভুটান)-এর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা দরকার। কারণ, এতে বাংলাদেশের পাশাপাশি এই প্রতিবেশী দেশগুলোও উপকৃত হবে। মূল নিবন্ধে রবার্ট শুভ্র গুদা বাংলাদেশে চারটি স্থলবন্দর, চারটি নদীবন্দর, তিনটি সমুদ্রবন্দর এবং একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্রের ওপর পরিচালিত জরিপের ভিত্তিতে এসব স্থানে আন্তদেশীয় বাণিজ্য সহজীকরণের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনাগুলো তুলে ধরেন।

সর্বশেষ খবর