স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাঙালি জাতিকে বিশ্বসভায় আত্মপরিচয় নিয়ে চলার পথ তৈরি করে দিয়েছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ও আন্দোলনের মূল দর্শন। তাঁর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ আজ ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত। গতকাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া ও মুনাজাত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। সংসদ ভবনে এমপিদের শপথকক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আবদুস সালাম। আলোচনায় অংশ নেন চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ আতিকুর রহমান ও ইকবালুর রহিম। সঞ্চলানা করেন পরিচালক তারিক মাহমুদ ও উপপরিচালক সামিয়া রুবাইয়াত হোসাইন। সভায় বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পাঠ করা হয়। বক্তব্য দেন সংসদ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক আসিফ হাসান প্রমুখ।
সভার শুরুতে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ, লাল-সবুজের পতাকা, ১৯৭২-এর সংবিধান দিয়ে গেছেন এই বিশ্ববরেণ্য ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত জীবনে বঙ্গবন্ধুর চাওয়া-পাওয়ার কিছু ছিল না, সারা জীবন বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা, দেশের মানুষের অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে গেছেন।