শনিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

যমুনা সার কারখানার ২০ হাজার টন ইউরিয়া সার গায়েব

জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরের সরিষাবাড়ীর যমুনা সার কারখানা থেকে ২০ হাজার টন ইউরিয়া সার গায়েব হয়েছে। এ ঘটনায় যমুনা সার কারখানার তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্তসহ বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সার গায়েব ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তারা হলেন সাবেক মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) খোকন চন্দ্র দাস, জেএফসিএল রসায়নবিদ নজরুল ইসলাম ও বাণিজ্যিক শাখার (বিক্রয় বিভাগ) ব্যবস্থাপক ওয়ায়েছুর রহমান।

যমুনা সার কারখানার এক সূত্র জানান, কারখানায় উৎপাদিত সারের গুদাম-১ ও আমদানি সারের গুদাম-২সহ বিভিন্ন স্থানে রক্ষিত সারের ব্যাগ রক্ষণাবেক্ষণ ও বিতরণের দায়িত্বে আছেন ওয়ায়েছুর রহমান। হঠাৎ কারখানায় উৎপাদিত মজুদের হিসাবে ২০ হাজার টন সারের গরমিল পাওয়া যায়।

যার আর্থিক ক্ষতি ধরা হয় ৩০ কোটি ২৬ লাখ ৬৩৬ টাকা। সার আত্মসাতের অভিযোগে বিসিআইসি ২৬ সেপ্টেম্বর ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রাথমিক তদন্ত কমিটি গঠন করে। ২৯ সেপ্টেম্বর এ কমিটি সরেজমিন তদন্ত শুরু করে। ওই সময় কারখানার গুদামে রক্ষিত উৎপাদিত সারের ব্যাগ ও বাল্ক স্টোরে লুজ সারের পরিমাপ করা হয়। পরে হিসাবে ১৯ হাজার ১৩৩ দশমিক ১৩ টন সার ঘাটতি পাওয়া যায়। প্রায় ২০ হাজার টন সার আত্মসাতের দায়ে কারখানার বিক্রয় শাখার প্রধান ওয়ায়েছুর রহমানকে অভিযুক্ত করে তদন্ত কমিটি।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ওয়ায়েছুর রহমান বলেন, ‘যমুনা সার কারখানা থেকে সার আত্মসাতের কোনো সুযোগ নেই। কারখানায় গোডাউন না থাকায় বিভিন্ন সময় রোদ-বৃষ্টিতে বিপুল পরিমাণ সার নষ্ট হওয়ায় প্রকৃত হিসাবে গরমিল হয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর