দীর্ঘ তিন বছর পর খুলতে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। কর্মী নিয়োগের জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে আগামীকাল (রবিবার) মালয়েশিয়ায় যাচ্ছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হলে চলতি ডিসেম্বরেই মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২১’ উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।
মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, ‘মালয়েশিয়ার বাজার নিয়ে অতীতে অনেক কিছু হয়েছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর অতীতকে দূর করার চেষ্টা করছি। আমি সফল হব কি হব না সেটা নির্ভর করবে সমঝোতা স্বাক্ষরের পর। তবে আমার আগের যে প্রতিশ্রুতি ছিল সেটা এখনো আছে। আমি কোনো সিন্ডিকেটের পক্ষপাতী না। আমরা যেটা প্রস্তাব করেছি, সেখানে সিন্ডিকেটের কোনো বিষয় নেই। সেক্ষেত্রে অভিবাসন ব্যয় হতে পারে সাড়ে তিন লাখের কম টাকা।’
তিনি আরও বলেন, বিদেশে যেতে বিমানবন্দরে কর্মীদের ভোগান্তির জন্য কোনোভাবেই প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় দায়ী নয়। মালয়েশিয়া ছাড়াও নতুন শ্রমবাজার হিসেবে কম্বোডিয়া, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, উজবেকিস্তান, আফ্রিকা মহাদেশের কয়টি দেশ, জাপান, চীন, ক্রোয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানো শুরু হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে আড়াই লাখের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং নভেম্বর মাসে এক লাখ ২৮ হাজার ৬৩জন কর্মী বিদেশে গেছেন। কর্মী পাঠানোর ধারা অব্যাহত থাকলে এই অর্থবছরের সাত-আট লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে।
মালয়েশিয়ার বাজার চালু হলে বিএমইটির ডাটাব্যাংক থেকে কর্মী পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। তিনি বলেন, ‘শুধু মালয়েশিয়া না, অদূর ভবিষ্যতে সব কর্মী ডাটাব্যাংক থেকে যাবে। মালয়েশিয়া দিয়ে সেটা শুরু হবে বলে আশা করছি।’ এ সময় ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, বিএমইটি মহাপরিচালক শহীদুল আলম, এনডিসিসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মূলত ২০১৬ সাল থেকে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ আছে। ২০১৮ সালে অল্প কিছু কর্মী পাঠানোর পর আবার বন্ধ হয়ে যায়।