সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

যুদ্ধের প্রভাবে পণ্যবাজার উত্তাল

তেল গ্যাস নির্মাণসামগ্রীর কাঁচামাল গম চাল চিনির দাম বাড়ছেই । বিশ্ব অর্থনীতিতে এখন সবচেয়ে বড় শঙ্কার বিষয় খাদ্য ও জ্বালানি খাত । যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ভুগবে আমদানিনির্ভর নিম্নআয়ের দেশগুলো । আমদানি পণ্য নিয়ে শঙ্কায় সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

যুদ্ধের প্রভাবে পণ্যবাজার উত্তাল

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের পাশাপাশি খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে অব্যাহতভাবে। ইতোমধ্যে যুদ্ধের এক মাস পার হওয়ায় এ সংঘাত দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আতঙ্ক পেয়ে বসেছে বৈশ্বিক পণ্যবাজারে। এতে বাজার হয়ে উঠছে আরও অস্থিতিশীল। গত এক মাসে বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেল, গ্যাস, নির্মাণসামগ্রীর কাঁচামাল, গম, সয়াবিন ও পামতেলসহ প্রায় সব খাদ্যপণ্যের দাম।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘ হলে নিত্য ভোগ্যপণ্য, নির্মাণসামগ্রী ও ধাতু পণ্যের ভোক্তাদের উচ্চমূল্য পরিশোধের দুর্ভোগ আরও দীর্ঘ হবে। আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোর রাশিয়ার ওপর ক্রমাগত কঠোর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞায় বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি ও বাংলাদেশে তার প্রভাবে মূল্য বেড়ে মানুষের এ দুর্ভোগ বাড়িয়ে তুলছে।

দেশের অর্থনীতিবিদ, কূটনৈতিক ও ব্যবসায়ীরা জানান, পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এখন আন্তর্জাতিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর প্রধান কারণ রাশিয়া ও ইউক্রেনের অনাকাক্সিক্ষত যুদ্ধ শুরুর পর আমেরিকা ও পশ্চিমা ন্যাটো জোটের রাশিয়ার ওপর কঠোর বাণিজ্য ও সব ধরনের লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা। এটি না করলে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম লাগামহীন হতো না। আর আন্তর্জাতিক বাজারের এ সমস্যার উত্তাপ বাংলাদেশেও পড়ত না। তাদের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে রাশিয়া থেকে আমদানিনির্ভর পণ্যগুলোর দাম স্বাভাবিক কারণেই বাড়ছে। আর ইউক্রেন থেকে আমদানিনির্ভর পণ্যের দাম তো বাড়ছেই। দাম বাড়ার এ তালিকায় যোগ হচ্ছে বাংলাদেশের আমদানিনির্ভর তেল, সিমেন্ট, গ্যাস, রডসহ প্রায় নিত্য সব পণ্যের।

জ্বালানি তেলের দামে রেকর্ড : বাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং ইকোনমিকসের হিসাবে দেখা যায়, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি অস্থির হয়েছে জ্বালনি তেলের বাজার। আন্তর্জাতিক বাজারে গত এক মাসে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত ডব্লিউটিআই তেলের দাম প্রায় ২২ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল হয় প্রায় ১১৪ ডলার। এর পাশাপাশি লন্ডনের ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম এক মাসে ২২ শতাংশের বেশি বেড়ে প্রতি ব্যারেল হয় ১২০ ডলারের বেশি। একবছরে উভয় তেলের দামই ৮৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

খাদ্যপণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে : খাদ্যপণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে গমের দাম। গত এক মাসে বিশ্ববাজারে গমের দাম বেড়েছে ১৯ দশমিক ১৪ শতাংশ। আর এক বছরে বেড়েছে ৭৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। চলতি মাসের শেষ দিকে এসে শিকাগোর অগ্রিমবাজারে গম বিক্রি হচ্ছে প্রতি বুশেল ১১ ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) হিসাব অনুযায়ী বিশ্বে গম সরবরাহের ২৯ শতাংশ, ভুট্টার ১৯ শতাংশ এবং সূর্যমূখী তেলের ৮০ শতাংশ আসে ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে। ইউক্রেনের সব বন্দরে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ, অন্যদিকে রাশিয়ার পণ্য নিচ্ছে না জাহাজ কোম্পানিগুলো। ফলে বিশ্ববাজারে এ দুই দেশের গম না আসায় দাম বাড়ছে অস্থিরভাবে। ট্রেডিং ইকোনমিকসের হিসাবে আরও দেখা যায়, গত এক মাসে সয়াবিনের দাম বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ, পাম তেলের দাম বাড়লেও আবার কিছুটা কমে এসেছে। চিনির দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ১১ শতাংশ, চালের দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং ভূট্টার দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ। পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, ‘যুদ্ধ এবং রাশিয়ার ওপর তেলসহ বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার কারণে জ্বালানিসহ অন্যান্য পণ্য যেমন গম, সার ও খনিজ ধাতু পণ্যের দাম ব্যাপকভাবে বাড়ছে। মূল্যস্ফীতি যখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে তখন এ যুদ্ধ এলো, যা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন অঞ্চলে উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে।’

এদিকে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা দ্য সেন্টার ফর গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট (সিজিডিইভি) জানায়, যুদ্ধে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় ৪ কোটির বেশি মানুষ চরম দারিদ্র্যসীমায় নামবে। এক বিশ্লেষণ ব্লগে ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক জানায়, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকে খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পূর্বের অভিজ্ঞতাকে ছাড়িয়ে গেছে। ২০০৭ এবং ২০১০ সালে খাদ্যের যে মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছিল বর্তমানে তার চেয়ে অনেক বেশি হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের উদ্ধৃতি দিয়ে সংস্থা জানায়, ২০০৭ সালে খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে ১৫৫ মিলিয়ন মানুষ চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমেছিল। আরেকটি গবেষণায় দেখা যায়, ২০১০ সালের ঘটনায় ৪৪ মিলিয়ন মানুষ চরম দারিদ্র্যে পড়েছিল। সিজিডিইভির গবেষণায় বলা হয়, ‘২০১০ সালে যে হারে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছিল বর্তমানেও একই মাত্রায় বাড়ছে। তাই আমাদের বিশ্লেষণ বলছে, ২০২২ সালের এ মূল্যবৃদ্ধি ৪০ মিলিয়ন বা ৪ কোটি মানুষকে চরম দারিদ্র্যসীমায় ঠেলে দেবে।’ বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞা অনুযায়ী চরম দারিদ্র্যসীমা হচ্ছে দিনে ১ দশমিক ৯০ ডলারের কম আয় করা।

গবেষকরা আরও বলেন, ‘এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হচ্ছে যেসব দেশ রাশিয়া ও ইউক্রেনের গমের ক্রেতা তাদের জন্য। এ দুই দেশ মিলে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ গম রপ্তানি করে। এ দুই দেশের ক্রেতার মধ্যে রয়েছে মিসর, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আজারবাইজান, তুরস্ক এবং আরও অনেক দেশ। এ অবস্থায় আমদানিকারকরা যখন বিকল্প বাজার থেকে গম কিনতে প্রতিযোগিতা করবে তখন পণ্যের দাম আরও বেড়ে যাবে। সম্প্রতি জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার (আঙ্কটাড) এক প্রতিবেদন বলছে, যুদ্ধের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে এখন সবচেয়ে বড় শঙ্কার বিষয় হচ্ছে খাদ্য ও জ্বালানি খাত। কারণ রাশিয়া ও ইউক্রেন কৃষি খাদ্যের বাজারে গুরুত্বপূর্ণ দুটি দেশ। রাশিয়ার উৎপাদন কমে যেতে পারে, এমন আশঙ্কায় এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি পণ্যের দাম বেড়েছে। আঙ্কটাডের হিসাবে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভুগবে নিম্নআয়ের দেশগুলো। এ দেশগুলোর যেসব খাদ্যপণ্য আমদানি করে তার ৫ শতাংশের দাম বেড়ে যেতে পারে। অবশ্য ধনী দেশগুলোর ক্ষেত্রে এই হার এক শতাংশের নিচে।

আমদানি পণ্য নিয়ে শঙ্কায় সরকার : বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্যের দাম ব্যাপক বাড়ায় সতর্ক পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে একাধিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে তার আলোকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নির্দেশনা পাওয়ার কথা স্বীকার করে সংকট মোকাবিলায় ছয়টি সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। নির্দেশনায় বলা হয়, চলমান যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আগেই বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যাপ্ত গম ও ভুট্টা আমদানি করে মজুদ করা, রাশিয়া ও ইউক্রেন ছাড়া নতুন নতুন দেশে তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য রপ্তানি পণ্যের বাজার তৈরি করা, রাশিয়ার ব্যবস্থাপনা ও অর্থায়নে দেশে চলমান প্রকল্পগুলোর কাজ চালিয়ে নিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া, ওই অঞ্চলে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে কৃষ্ণ সাগরের আশপাশের দেশগুলোর আকাশপথ ব্যবহার করা, গম ও ভুট্টা আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতে দেশে উৎপাদন বাড়ানো এবং রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে অপপ্রচার বা গুজব ছড়িয়ে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে সেদিকে নজরদারি বাড়ানো।

দেশের বাজারে প্রভাব নিয়ে বিশ্লেষকরা যা বলেন : দেশের বাজারে খাদ্যপণ্যের প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআইবি) নির্বাহী পরিচালক ও ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, এটা মোটেই দেশীয় ব্যবসায়ীদের সৃষ্টি করা সমস্যা না। যুদ্ধের কারণে পুরো বিশ্বে এখন একই অবস্থা। ইউরোপের অবস্থাও এখন অনেক খারাপ। ব্যবসায়ীদের বেশি দামে কিনতে হলে বেশি দামেই বিক্রি করতে হবে, এটা স্বাভাবিক। বাংলাদেশে পণ্যের দাম বরং অনেক দেশের তুলনায় কিছুটা হলেও কম আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি পণ্যের দাম বাড়লে তার চেইনে যতগুলো পণ্য উৎপাদন হয় সেগুলোর দাম বাড়বে এটা স্বাভাবিক। তবে গমসহ রাশিয়া থেকে আমদানি করা পণ্যের বিকল্প দেশ দ্রুত খুঁজতে হবে বাংলাদেশকে। কারণ রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যে পশ্চিমা জোটের কঠোর বিধিনিষেধ আছে। সুতরাং বিকল্প বাজার না ধরলে দেশের মানুষের এ দুর্ভোগ আরও দীর্ঘ হবে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ এবি মির্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর পৃথিবীতে পণ্যের সরবরাহ চেইনের ব্রেক ডাউন হয়েছে। ইউরোপের অনেক দেশেও পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। এসব কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বাড়ছে। এ কারণে দেশের বাজারে পণ্যের দাম বাড়ছে। পশ্চিমা জোটের রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশের সরকারের ওইসব উন্নত দেশের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া ছাড়া কিছুই করার নেই। সুতরাং সরকারের ক্ষতি হলেও দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে। দরকার হলে ভর্তুকি বাড়াতে হবে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর আমেরিকা ও পশ্চিমা ন্যাটো জোট রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে। আর এ বিধিনিষেধের আওতায় প্রায় পুরো বিশ্বকে আনে তারা। অথচ রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ প্রধান ভোগ্যপণ্য উৎপাদনের কাঁচামাল ও রড-সিমেন্টের কাঁচামালসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে। ইউরোপও উল্লিখিত পণ্যগুলোর জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভর ছিল। তাই পশ্চিমা জোটের নিষেধাজ্ঞার কারণে এসব পণ্যের দাম একদিকে বিশ্ববাজারে লাফিয়ে বাড়ছে, আবার অন্যদিকে বাংলাদেশ চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়া থেকে আনতেও পারছে না। বাধ্য হয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরের দেওয়া তথ্যে দেখা যায়, গত অর্থ বছরে বাংলাদেশের আমদানি হওয়া গমের ৪১ শতাংশ আসে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে। এরমধ্যে ২৬ শতাংশ রাশিয়া ও ১৫ শতাংশ আসে ইউক্রেন থেকে। সব মিলিয়ে বছরটিতে ৫৪ লাখ ৫৫ হাজার টন গম আমদানি হয়। গম আমদানিকারকরা জানান, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইজারল্যান্ডসহ তৃতীয় দেশে ঋণপত্র খুলে দেশ দুটি থেকে পণ্য আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় তৃতীয় দেশগুলোর সরবরাহকারীরা জটিলতা এড়াতে ঋণপত্র (এলসি) নিচ্ছে না। অতীতে যেসব ঋণপত্র নেওয়া হয়েছে এবং পণ্য জাহাজিকরণের অপেক্ষায় ছিল, সেগুলোও আসে না। এ অবস্থা শুধু বাংলাদেশের নয়। রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে ব্যবসা করা সবারই একই দশা। তাই ২০০৮ সালের পর বিশ্ববাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম বর্তমানে সর্বোচ্চ এখন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর