সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

নির্বাচনী রোডম্যাপ তৈরি করে দলের সঙ্গে সংলাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ তথা কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী বছরের ডিসেম্বরে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এসব কথা বলেন। এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের প্রধান স্টেকহোল্ডার হচ্ছে রাজনৈতিক দল। আমাদের ইচ্ছা আছে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসব। আমরা একটি পরিস্কার আইডিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসতে চাই।

 

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এ বছরে সংলাপে বসবেন কি না প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি কবে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসব। আমরা চাই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসব একটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বিষয় (রোডম্যাপ) নিয়ে, যে আমরা কী করতে চাচ্ছি। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল ছাড়া অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের চাওয়া এবং আমাদের যে সক্ষমতা আছে তা মিলে আমরা একটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পিকচার তথা আইডিয়া (রোডম্যাপ) তৈরি করব। আর সেই আইডিয়া নিয়েই আমরা নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসব।  রোডম্যাপ তৈরি করে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসবেন প্রশ্নে তিনি বলেন, অবশ্যই, অবশ্যই। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একা নির্বাচন করবে না। নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ থাকবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের সঙ্গে সংলাপ করবেন কি না প্রশ্নে তিনি বলেন, অবশ্যই সংলাপ করব। সংলাপে রাজনৈতিক দলের প্রত্যাখ্যানের ভয় আছে কি না প্রশ্নে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন তো অনেক দূরে। এখানো প্রত্যাখ্যানের বিষয় আসেনি। সংসদ নির্বাচন হবে ২০২৩ সালের শেষের দিকে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে। আমরা এই মুহূর্তে প্রত্যাখ্যান বা গ্রহণের বিষয় মনে করি না। প্রত্যাখ্যানের বিষয় আসবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে। তিনি বলেন, আমাদের ইচ্ছা আছে সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসার। তবে সেই সংলাপ হবে সবার শেষ। অনাস্থার কারণে অনেকেই সংলাপে আসছে না প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা তো এখনো শিশু। কাজই শুরু করিনি। এখনো তো আস্থা-অনাস্থা কোনোটাই আসার কথা নয়। আমাদের ভবিষ্যতের কাজকর্ম দেখে, তার পরে আস্থা-অনাস্থার বিষয় আসবে। আস্থা ফেরানোর জন্য সংলাপ কি না- প্রশ্নে তিনি বলেন, আস্থা ফেরানোর জন্য সংলাপকে প্রথম ধাপ বলতে পারেন। তারপরে তাদের সঙ্গে আরও আলাপ-আলোচনা হবে কর্মকৌশল নির্ধারণে। জাতীয় নির্বাচনের পরে আসবে আস্থার বিষয়টি। তিনি বলেন, আমরা সংলাপে অনেক সুন্দর সুন্দর পরামর্শ পেয়েছি। তা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। তিনি বলেন, আইনে যা আছে, তা যদি সব প্রয়োগ করা যেত, তবে তো ভোট করতে পুলিশও লাগত না। আইনে তো সবই আছে, প্রয়োগ করা যাচ্ছে না সব কিছু সঠিকভাবে। সমস্যা হচ্ছে জন্য তো মতামত নেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে। আসলে কী কারণে প্রয়োগ করা হচ্ছে না। কী কী অসুবিধা রয়েছে তাও সংলাপে জানা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর