বুধবার, ১ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

দিনমজুরের অ্যাকাউন্টে ২৯১১ কোটি রুপি!

কলকাতা প্রতিনিধি

চার-পাঁচ মাস ধরে ব্যাংকের চেকবইয়ে রুপি তোলা বা জমা দেওয়ার কাজ করেননি। কিন্তু রুপির প্রয়োজন পড়ায় দুই দিন আগে রবিবার একটি বেসরকারি ব্যাংকের (ইন্ডাসইন্ড ব্যাংক) ‘কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট’ (সিএসপি) থেকে ১ হাজার রুপি তুলতে গিয়ে বিপাকে পড়েন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হাবড়ার এক যুবক। ব্যাংকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত রুপি থাকায় তিনি তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ১ হাজার রুপি তুলতে ব্যর্থ হন। পরে সিএসপি থেকে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের একটি মিনি স্টেটমেন্ট বের করা হয়। তখনই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে ওঠে হাবড়ার নাংলা এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর সুদীপ্ত হাজরার। তার অ্যাকাউন্টে রয়েছে ২ হাজার ৯১১ কোটি ২১ লাখ ১০ হাজার রুপি। তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কীভাবে এ বিপুল অঙ্কের টাকা এলো, কিছুতেই বুঝতে পারছেন না সুদীপ্ত। রবিবার রাতেই হাবড়া থানার দ্বারস্থ হন ৩২ বছর বয়সী যুবক সুদীপ্ত। থানার তরফে তাকে ব্যাংকের প্রধান শাখায় যোগাযোগ করতে বলা হয়। যদিও সময়ের অভাবে এখনো তিনি তা করে উঠতে পারেননি। ওই ঘটনার খবর গতকাল এলাকায় জানাজানি হতেই সুদীপ্তের প্রতিবেশীরাও হতবাক। তার বাড়িতে ভিড় জমান তারা। সুদীপ্ত জানান, ওই বেসরকারি ব্যাংকে তার জমানো অর্থের পরিমাণ ছিল ৯ হাজার রুপি। এখন নিজের প্রয়োজনে সেই রুপিও তুলতে পারছেন না। যুবক চান তার অ্যাকাউন্ট আগের অবস্থায় করে দেওয়া হোক। নিজের যেটুকু রুপি তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে চান তিনি।

বর্তমানে যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছেন সুদীপ্ত ও তার বাবা কার্তিক হাজরা। চিন্তায় সুদীপ্তের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশীদেরও রাতের ঘুম উবে গেছে।

কীভাবে এত অর্থ তার ব্যাংকে এলো, সে প্রশ্নের উত্তরে সুদীপ্ত বলেন, ‘আমি বলতে পারব না। রবিবার রুপি তুলতে গিয়ে দেখি এত রুপি জমা আছে। কত রুপি তা-ও হিসাব করতে পারিনি। রাতেই থানায় গিয়েছিলাম সেখান থেকে আমাকে বই আপডেট করতে বলা হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই যে পরিমাণ রুপি আমার জমা ছিল, সেটাই থাকুক।’ গতকাল সুদীপ্তর বাড়ি আসেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য শিরীষ বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘ব্যাংকের ভুল বা যে কোনো কারণে ওর অ্যাকাউন্টে এতগুলো রুপি ঢুকেছে। প্রশাসন এর সুরাহা করুক।’

সর্বশেষ খবর