মিয়ানমার সরকার এরই মধ্যে তাদের আক্রমণাত্মক ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। কিন্তু বিষয়টিকে আমাদের পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখতে হবে। আমি মনে করি জাতিসংঘে বিষয়টি উপস্থাপন করা বাংলাদেশের জন্য সঠিক কাজ হবে। আমাদের অবশ্যই এ বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘে যেতে হবে। আর এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ যেন আমাদের না থাকে। সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এবার জাতিসংঘের সাধারণ যে অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আমি মনে করি এ বিষয়টিকে জাতিসংঘে নিয়ে যাওয়া উচিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে ইউক্রেনের ইস্যুটিকে জাতিসংঘে নিয়ে গিয়েছিল আমাদেরও উচিত একটি শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ওপরে মিয়ানমার যে আক্রমণাত্মক ব্যবহার করেছে তা জাতিসংঘে তুলে ধরা। মিয়ানমার একই সঙ্গে একটি জাতিকেও ধ্বংস করছে।
সাবেক এ রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, আমি আমাদের সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলব। আমাদের অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে, যাতে মিয়ানমার কোনোভাবে আমাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করতে না পারে। তবে এখনো সীমান্তে সেনাবাহিনী যাওয়ার প্রয়োজন ও সময় আসেনি। একই সঙ্গে আমাদের এজেন্সিগুলোকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এ মুহূর্তে আর কোনো সমস্যা আছে বলে আমি মনে করি না।
ওয়ালিউর রহমান বলেন, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত এরই মধ্যে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলেছেন, সীমান্তে যা হয়েছে তা ইচ্ছাকৃতভাবে নয়, অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়েছে। এ ব্যাপারে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত দুঃখও প্রকাশ করেছেন। আমাদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য আনসার ও বিজিবি সদস্যদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। যাতে কোনো ধরনের ভায়োলেশন না হয়।