বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার হটানোর ‘যুগপৎ আন্দোলন’ বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই হবে। তাঁর নেতৃত্বে আন্দোলনেই এ সরকারের পতন হবে। গতকাল রাতে রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএসে নিজ বাসভবন কার্যালয়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতাদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এর আগে দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) নেতাদের সঙ্গে সংলাপ করেন মির্জা ফখরুল। এলডিপির সঙ্গে গত রাতের বৈঠকে নেতৃত্ব দেন বিএনপির পক্ষে মির্জা ফখরুল। এ ছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এতে অংশ নেন। অন্যদিকে এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ ও মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমদের নেতৃত্বে সংগঠনের সিনিয়র নেতারা অংশ নেন। বৈঠকে তাঁরা উভয় দলের পক্ষ থেকেই নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারব্যবস্থা ও সরকার পতনে যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়ে একমত পোষণ করেন বলে জানা যায়। বিএনপির এবারের যুগপৎ আন্দোলনের মূল নেতৃত্বে কে থাকবেন- সংলাপ শেষে সংবাদ ব্রিফিংকালে এ প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চলমান আন্দোলনের এ অবস্থায় ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আমরা এটা গঠন করেছি। আগেও আমরা ঘোষণা করেছি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের নেত্রী, তাঁর অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের (বিএনপি) নেতা।’

এর আগে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত জাতীয় পার্টির সঙ্গে এ সংলাপ হয়। সংলাপ শেষে মির্জা ফখরুল উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা গণ-আন্দোলনের দফা নির্ধারণ করার বিষয়ে মোস্তফা জামাল হায়দার সাহেবের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমাদের দাবিনামার মধ্যে যেগুলো কমন, সেগুলো হচ্ছে- এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বাতিল করতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে তাদের ক্ষমতা হস্তান্তর করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের পর তার অধীনে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান, বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তি।’

এর আগে রবিবার বেলা আড়াইটায় ২০-দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শুরু করে বিএনপি।