শিরোনাম
সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

স্বপ্ন পূরণ হলো না সাকিবদের

সেমিতে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড, ভারত-ইংল্যান্ড

আসিফ ইকবাল

স্বপ্ন পূরণ হলো না সাকিবদের

উৎসবের মঞ্চ তৈরি ছিল। ব্যাট ও বলের জম্পেস লড়াইয়ের ক্ষেত্রও তৈরি ছিল। প্রতিপক্ষ অচেনা, অজানা কিংবা অপরিচিত নয়। খুবই পরিচিত। বেশ কিছুদিন আগে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ২২ গজের ময়দানে ব্যাট ও বলের লড়াই করেছে। সেই অভিজ্ঞতাটুকু ছিল। কিন্তু পরিচিতি, কিংবা অভিজ্ঞতা-কোনো কিছুই কাজে লাগেনি। কাজে লাগাতে পারেননি সাকিব, লিটন, মুস্তাফিজরা। টি-২০ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন পূরণের চাপ নিতে পারেনি টাইগাররা। ইয়ারা নদীর পাড়ের অ্যাডিলেড ওভালে স্বপ্ন পূরণের হাতছানি দেওয়া পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার হেভিওয়েট ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত                 হেরে গেছে বাংলাদেশ। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১১ বল আগে ৫ উইকেটে হেরে বিশ্বকাপ মিশণ শেষ করেছে সাকিব বাহিনী সেমিফাইনাল খেলতে না পারলেও কোনো সন্দেহ নেই, বাংলাদেশের ইতিহাসে এটাই সেরা। এই প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে দুই দুটি ম্যাচ জিতেছে টাইগাররা। ৯ নভেম্বর বুধবার সিডনিতে প্রথম সেমিফাইনালে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। ১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় সেমিফাইনালের প্রতিপক্ষ ভারত ও ইংল্যান্ড। ফাইনাল ১৩ নভেম্বর মেলবোর্নে।    

সকালে সাকিবদের উৎসবের মঞ্চ উপহার দিয়েছিলেন টম কুপার, কলিন অ্যাকারম্যান, ব্রেন্ডন গ্লোভাররা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৩ রানে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দিয়ে বাংলাদেশের সেমিতে খেলার পথ মসৃণ করে দিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। হঠাৎ পাওয়া সেই উপহার কাজে লাগাতে পারেননি সাকিবরা। দক্ষিণ আফ্রিকার হারের পর বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচটি রূপ নেয় অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনালে। সেমিতে খেলতে দুই দলকেই জিততে হবে। এমন সমীকরণের ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং করে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৭ রান করেন। ভারতের বিপক্ষে ২৭ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলা লিটন দাস বড় কোনো স্কোর করতে ব্যর্থ হন। সাজঘরে ফেরেন মাত্র ১০ রানে। তবে আসরে দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে হঠাৎ সুযোগ পাওয়ায় সমালোচনায় এফোর-ওফোর হয়েছিলেন তিনি। গতকাল ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন ৪৮ বলে ৭ চারে। ব্যক্তিগত শূন্য রানে সাকিব লেগ বিফোর হন শাদাব খানের বলে। রিভিউ নেওয়ার পরও টিভি আম্পায়ার আউট দেন। তবে বল প্যাডে লাগার আগে ব্যাটে লেগেছিল। তাই আউটটি ছিল বিতর্কিত! সৌম্য সরকার ২০ রান করেন ১৭ বলে। শেষ দিকে আফিফ ২০ বলে ২৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। পাকিস্তানের সফর বোলার শাহিন আফ্রিদি ২২ রানের খরচে নেন ৪ উইকেট। ১২৮ রান টি-২০ ক্রিকেটে সহজ টার্গেট। তবে অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনাল বলে চাপেও ছিলেন বাবর আজমরা। ইনিংস শুরুর ওভারে তাসকিনের বলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচ ফেলে দেন নুরুল হাসান সোহান। এরপর আরও দুটি ক্যাচ মিস করে সাকিব বাহিনী। যার খেসারত গুনেছে হারে। দলীয় ১১ ওভারের তৃতীয় বলে পাক অধিনায়ক বাবরকে সাজঘরে ফেরান বাঁ হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। রান করেন ২৫। পরের ওভারে আসরে প্রথমবার খেলতে নামা ইবাদতের বলে রিজওয়ানকে পয়েন্টে তালুবন্দী করেন শান্ত। ১৪ বলে ২ চারে ২৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে শান মাসুদ পাকিস্তানকে সেমিফাইনালে উন্নীত করেন।

সর্বশেষ খবর