সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় ভোটের হার কম

নিজস্ব প্রতিবেদক

শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় ভোটের হার কম

শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় উপনির্বাচনে তুলনামূলক ভোটের হার কম হয়েছে বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। গতকাল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। শনিবার  ফরিদপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনে ২৬ দশমিক ২৪ শতাংশ ভোট পড়ে। এ বিষয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘কত শতাংশ ভোট পড়লে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে এ ধরনের কোনো শর্ত নেই। তাই ভোট যদি শান্তিপূর্ণ হয়, নিয়ম মতো হয় এবং কোনো অনিয়ম না হয়- সমস্ত নিয়মকানুন যদি ফলো করে, তাহলে অবশ্যই তো গ্রহণযোগ্য ভোট বলতে হবে।’ মো. আলমগীর জানান, ফরিদপুরের ক্ষেত্রে তো তেমন বেশি প্রার্থী ছিলেন না। মাত্র দুজন ছিলেন। একজন ছিলেন এক দলের। আর একজন ছিলেন এক দলের। এ কারণেও নির্বাচনে যে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা সেটা তো ছিল না। ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে তিনি মনে করেন,   যেহেতু সাধারণ নির্বাচনের আর অল্প সময় আছে, তাই স্বাভাবিকভাবেই ভোটাররা মনে করেন যে এখানে তো সরকারের কোনো পরিবরর্তন হবে না। আর যিনি নির্বাচিত হবেন, তিনিও কাজ করার তেমন একটা সময় পাবেন না। তাই ভোটারদের আগ্রহ কম। প্রার্থীদেরও তেমন আগ্রহ নেই।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে এই কমিশনার জানান, কুমিল্লায় দেখবেন যে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। সেখানে কিন্তু ভোটের হার অনেক বেশি। পৌরসভার ভোটের হার অনেক বেশি। কারণ সেখানে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। সেখানে পাঁচ বছরের জন্য মেয়াদ। স্বাভাবিকভাবেই যেখানে মেয়াদ বেশি থাকে, শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি থাকে, স্বাভাবিকভাবেই সেখানে ভোটার উপস্থিতি বেশি থাকে। এটিই আমরা মনে করি। হয়তো গবেষণা করলে সঠিকটা বোঝা যাবে। শান্তিপূর্ণ ও কোনো ধরনের অনিয়ম না থাকায় এ উপ নির্বাচনকে গ্রহণেযোগ্য ভোট বলতে হবে বলে মত দেন তিনি। কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন ইসির অধীনে এটি দ্বিতীয় সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচন হলো। এর আগে ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা উপ-নির্বাচন অনিয়মের কারণে বন্ধ করে দেয় ইসি।

সর্বশেষ খবর