নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদের হিসাব দাখিল না করায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের মালিক ও মেসার্স সাহরিশ কম্পোজিট টাওয়াল লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) তিন মালিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল কমিশনের এক বৈঠকে এই চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন শিগগিরই আদালতে চার্জশিট জমা দেবেন। যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- বিসমিল্লাহ গ্রুপের মালিক ও মেসার্স সাহরিশ কম্পোজিট টাওয়াল লিমিটেডের এমডি খাজা সোলেমান চৌধুরী, একই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান খাজা সোলেমানের স্ত্রী নওরীন হাসিব এবং পরিচালক খাজা সোলেমানের পিতা সফিকুল আনোয়ার চৌধুরী। দুদক সূত্র জানায়, বিসমিল্লাহ গ্রুপের মালিক ও মেসার্স সাহরিশ কম্পোজিট টাওয়াল লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও এমডিসহ তিন মালিকের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানকালে তাদের সম্পদ বিবরণী চায় দুদক। তারা নির্ধারিত সময়ে সম্পদ বিবরণী দুদকে দাখিল না করায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ৩ মার্চ দুদক আইনের ২০০৪-এর ২৬ (২) ধারায় মামলাটি করা হয়। ওই মামলার তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন চেয়ে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। কমিশন প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেয়। দুদকের তথ্যমতে, তোয়ালে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিসমিল্লাহ গ্রুপ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ২০১৩ সালে ৩ নভেম্বর মতিঝিল ও রমনা মডেল থানায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডি, ১৩ জন কর্মকর্তাসহ মোট ৫৩ জনের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা করে দুদক। পরে ২০১৫ সালের বিভিন্ন সময়ে মামলাগুলোর চার্জশিট দাখিল করে দুদক, যা এখন আদালতে বিচারাধীন। বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডি খাজা সোলেমান চৌধুরী ও তার স্ত্রী নওরীন হাবিব ১২ মামলারই চার্জশিটভুক্ত আসামি।