শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ভাগ্য খুলছে নির্বাচন কর্মকর্তাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভাগ্য খুলছে নির্বাচন কর্মকর্তাদের

ভাগ্য খুলছে নির্বাচন কমিশনের মাঠ কর্মকর্তাদের। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তার বেতন গ্রেড আপগ্রেড করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ‘ক’ শ্রেণির ২৩০টি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পদ নবম গ্রেড থেকে উন্নীত করে ষষ্ঠ গ্রেড করা হচ্ছে। এ ছাড়া বৃহত্তর ১৯টি জেলার মতো দেশের সব জেলার নির্বাচন কর্মকর্তার পদটি উন্নীত হচ্ছে পঞ্চম গ্রেডে। গতকাল নির্বাচন কমিশনের প্রশাসনিক সংস্কার কমিটির এক বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়েছে। কমিশন সভায় অনুমোদনের পর এই সুপারিশ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। প্রশাসনিক সংস্কার কমিটির প্রধান ও নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের সুপারিশের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে ১৯টি বড় জেলায় উপ-সচিব পদমর্যাদার পঞ্চম গ্রেডের কর্মকর্তা আছেন। বাকি ৪৫টি জেলায় আছেন ষষ্ঠ গ্রেডের কর্মকর্তা। এতে বদলিসহ নানা ধরনের বিপত্তি হয়। এজন্য আমরা ১৯টির মতো বাকি ৪৫টি জেলায় পঞ্চম গ্রেডের পদ সৃষ্টির সুপারিশ করেছি, যাতে সব জায়গায় একই গ্রেডের কর্মকর্তা থাকেন। এটা করতে গেলে সরকারের অতিরিক্ত কোনো অর্থ ব্যয় একেবারেই থাকবে না। কেবল তাদের গ্রেডটি পরিবর্তন হবে। তিনি বলেন, উপজেলা ও থানা (বিভাগীয় শহরে) মিলে ৫২২টি পদ রয়েছে। বর্তমানে উপজেলার পদটি নবম গ্রেডের। আমরা ২৩০টি ‘ক’ শ্রেণির উপজেলার পদ ষষ্ঠ গ্রেডে করার সুপারিশ করেছি। এ ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের পদোন্নতির সুযোগ হবে। আর এই ক্ষেত্রে আর্থিক ব্যয় নেই বললেও চলে। কারণ, কর্মরত সব কর্মকর্তাই ইতোমধ্যে ষষ্ঠ গ্রেডের বেশি বেতন স্কেল পাচ্ছেন।

পদ আপগ্রেডের যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসাররা ১৬-১৭ বছর একই পদে কাজ করছেন। তাদের কেউ কেউ জেলা নির্বাচন অফিসার হয়েছেন। কেউ আঞ্চলিক কর্মকর্তা হয়েছেন। যারা পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন তাদের জন্য আমরা কিছু সুপারিশ করেছি নতুন পদ সৃষ্টির জন্য। কিছু করেছি পদ উন্নীতকরণের জন্য। একই পদে দীর্ঘদিন কাজ করলে কাজের স্পৃহা কমে যায়। এ বিষয়ে কর্মকর্তাদের দাবিও ছিল। এদিকে নবসৃষ্ট সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসারের পদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ পদের কিছু সরাসরি রিক্রুট হবে। আর বেশির ভাগ হবে পদোন্নতির মাধ্যমে। সেটার নিয়োগবিধি ছিল না, আমরা খসড়া একটি নিয়োগবিধি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এরপর সেটা সচিব কমিটিতে যাবে। ওই কমিটি অনুমোদন দিলে পিএসসিতে সরাসরি নিয়োগের জন্য অনুরোধ করব। পদোন্নতি যারা পাবে সেটা সচিবালয় করবে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার শূন্যপদে পিএসসির কাছে আগেই সুপারিশ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

সর্বশেষ খবর