বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, এটা খুবই দুঃখজনক যে, সরকার দেশের কথা একদমই মনে না রেখে বিদেশে অর্থ পাচার করছে।
দেশের প্রতি তাদের আস্থা নেই। তারা নিজেরাও বাইরে চলে যাবে। দেশের বাইরে চলে যাওয়ার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবেই সরকার বিদেশে অর্থ পাচার করছে। গতকাল সকালে রাজধানীর মতিঝিলে নিজস্ব কার্যালয়ে গণফোরামের সদস্য সংগ্রহ/নবানয় কর্মসূচি উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মিজানুর রহমান।
ড. কামাল হোসেন আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ও অর্জনগুলো দেশের কিছু সংখ্যক দুর্নীতিবাজ ও স্বার্থান্বেষী মহলের জন্য আজ বিসর্জন হতে চলছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে দলীয়করণের সুযোগ নিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ যারা আত্মসাৎ করেছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। আর্থিক খাতে এসব দুর্নীতিগ্রস্তদের বিচারহীনতা ক্রমাগত অর্থ পাচার, লুটপাট আজ মহামারি আকার ধারণ করছে। তিনি বলেন, অবিলম্বে এসব চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী ও লুটেরাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হলে দেশে মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হবে।
প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ আরও বলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে যেখানে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে সেখানে ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লুটপাটের ঘটনা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে। দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সব রাজনৈতিক দল ও জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একটি সমৃদ্ধ ও অগ্রসরমান বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হলে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানে দেশব্যাপী ডিসেম্বর-জানুয়ারি দুই মাস গণফোরামের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এ সময় মফিজুল ইসলাম খান কামাল, এস এম আলতাফ হোসেন, মোশতাক আহমদ, শাহ নূরুজ্জামান, শফিউর রহমান খান, মো. ইয়াসিনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
