তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সমাবেশের জন্য মাঠের বিকল্প মাঠ হতে পারে, রাস্তা হতে পারে না। কিন্তু বিএনপি ব্যস্ত রাস্তার কথা বলছে। এটি দুরভিসন্ধিমূলক। ব্যস্ত রাস্তায় জনসভা করা দায়িত্বশীল রাজনীতি নয়।
গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সব সময় বড় জনসভা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হয়েছে। কিন্তু বিএনপির সেটি পছন্দ নয়। তাদের শুধু রাস্তা পছন্দ। কারণ সেখানে গাড়ি-ঘোড়া ভাঙচুর করা যাবে এবং ২০১৩-১৪-১৫ সালের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আগুন দেওয়া যাবে। বিএনপির গণগ্রেফতারের অভিযোগ খণ্ডন করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। তবে যারা আগুনসন্ত্রাসের জন্য অর্থ দিয়েছিল, হুকুম দিয়েছিল- তাদের এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। মানুষ মনে করছেন, তাদের গ্রেফতার করা দরকার।
জাপানি রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ : এর আগে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে এবং স্বাধীনতা অর্জনের পর আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের ভূমিকার জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। আমরা এ বছর জাপান-বাংলাদেশ কূটনৈতিক মিত্রতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছি। বাংলাদেশে জাপানের অনেক প্রজেক্ট চলমান, আগামীকাল (মঙ্গলবার) নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানিজ ইকোনমিক জোন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরেও জাপান এরই মধ্যে বিনিয়োগের আগ্রহ ব্যক্ত করেছে- সেগুলো নিয়েও আলোচনা করেছি। বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বাংলায় গান গাইতে পারেন। তিনি সেই চর্চা চালু রাখবেন।