মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

টাইব্রেকারে জাপানের স্বপ্নভঙ্গ

আসিফ ইকবাল

টাইব্রেকারে জাপানের স্বপ্নভঙ্গ

ক্রোয়েশীয় গোলরক্ষককে জড়িয়ে সতীর্থদের উল্লাস -এএফপি

স্বপ্নভঙ্গ জাপানের। ইতিহাস লেখা হলো না এশিয়ান প্রতিনিধিদের। মরুরাজ্যে ফুল ফোটাতে পারল না গ্রুপ পর্বে অবিশ্বাস্য ফুটবল খেলা সূর্যোদয়ের দেশটি। টাইব্রেকারে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা হলো না ব্লু সামুরাইদের। কাতার বিশ্বকাপে এই প্রথম টাইব্রেকারে নির্ধারিত হলো নকআউট পর্বের ম্যাচ ভাগ্য। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটি টাইব্রেকারে ৩-১ গোলে জিতে সেরা আটে জায়গা করে নিল রাশিয়া বিশ্বকাপের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া। নির্ধারিত সময় ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র ছিল। পরের অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও কোনো দল গোল করতে পারেনি। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। ম্যাচের নায়ক ক্রোট গোলরক্ষক ডোমিনিক লিভাকোভিচ। জাপানের তিনটি শট ঠেকিয়ে দেন তিনি। চার শটের মধ্যে একটি মাত্র শটে গোল করে জাপান। জাপানের পক্ষে টাইব্রেকার মিস করেন তাকুমি মিনামিনো, কাওরো মিতোমা ও মায়া ইয়োশিদা। ক্রোয়েশিয়া চার শটের তিনটিতে গোল করে অবিশ্বাস্য জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। গ্রুপ পর্বে জাপান দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানি ও স্পেনকে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দেয়। দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারানোর আত্মবিশ্বাস নিয়ে ইউরোপীয় প্রতিনিধিদের বিপক্ষে খেলতে নামে আল খোর স্টেডিয়ামে। রাশিয়া বিশ্বকাপে দুর্ভাগ্যজনকভাবে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে পারেনি জাপান। বেলজিয়ামের সঙ্গে এগিয়ে থেকেও হেরে গিয়েছিল। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টারে খেলার হাতছানির ম্যাচে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে এশিয়ান প্রতিনিধিরা। ছোট ছোট পাসে জুনিয়া ইতো, দোয়ান, দাইচি কামাদারা আক্রমণ করে খেলতে থাকেন। কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাবে গোল পাচ্ছিলেন না। অবশ্য ৯ মিনিটে প্রথম সুযোগ সৃষ্টি করে ক্রোয়েশিয়া। ইভান পেরিসিচ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। ক্রোটদের পক্ষে ম্যাচে একমাত্র গোলটি করেন পেরিসিচই। জাপান প্রথমার্ধের শেষ দিকে কাউন্টার অ্যাটাকনির্ভর ম্যাচ খেলতে থাকে। ৪৩ মিনিটে জাপানকে ১-০ গোলে এগিয়ে নেন মায়েদা। দোয়ানের ক্রসে হেড করেন মায়া ইয়োশিদা। বল যায় মায়েদার কাছে। বাঁ পায়ের শটে গোল করতে ভুল করেননি তিনি। এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় জাপান। দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠেন মডরিচ, পেরিসিচরা। ৫৫ মিনিটে ব্যবধান ১-১ হয়। লভরেনের ক্রস থেকে হেডে গোল করে সমতা আনেন পেরিসিচ। এরপর দুই দলই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। কিন্তু গোল হয়নি। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ ১-১ গোলে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে দুই দলই ঝুঁকিহীন ফুটবল খেলে। ফলে আর গোল হয়নি। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। এরপর বাকি ইতিহাস। ইতিহাস লেখেন ক্রোট গোলরক্ষক ডোমিনিক লিভাকোভিচ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর