শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় টেস্ট

প্রথম দিনেই ব্যাটিং ব্যর্থতা

মেজবাহ্-উল-হক

প্রথম দিনেই ব্যাটিং ব্যর্থতা

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে গতকাল ভারতের বিপক্ষে ৮৪ রান করেন মুমিনুল হক -এএফপি

বাংলাদেশ দলে ঘুরে ফিরে সেই একই দৃশ্য। আবারও ব্যাটিং ব্যর্থতা। ভারতের বিরুদ্ধে ঢাকা টেস্টে প্রথম দিনে ২২৭ রানেই অলআউট সাকিবরা। একমাত্র মুমিনুল হক ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান সুবিধা করতে পারেননি। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গতকাল টস জিতেও সেই সুবিধা কাজে লাগাতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। উইকেট বিলিয়ে দিয়ে টেস্টের প্রথম দিনেই ব্যাকফুটে টাইগাররা।

বাংলাদেশকে অলআউট করে দেওয়ার পর গতকাল শেষ বিকালে ৮ ওভার ব্যাটিং করেছে ভারত। বিনা উইকেটে তুলেছে ১৯ রান। যেন প্রথম দিনেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ অনেকটা গ্রিবে নিয়ে নিল ভারত।

গতকাল মুমিনুল হক খেললেন ৮৪ রানের ইনিংস। আর কোনো ব্যাটসম্যান হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি। তবে উইকেটে সেট হওয়ার পর আউট হয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।

ব্যাটারদের ভুলকে ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স  দেখছেন, ‘মেন্টাল এরর’ হিসেবে। দিনের শুরুটা দারুণ ছিল বাংলাদেশের। প্রথম ঘণ্টায় কোনো উইকেটই পড়েনি। অথচ যত ভয় ছিল এই প্রথম ঘণ্টা নিয়েই। কারণ, উইকেটে ময়েশ্চার বেশি থাকে সকালে। ব্যাটসম্যানদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু সেই কঠিন সময় পার করার পর যখন উইকেট থেকে সুবিধা নেওয়ার কথা তখনই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে শুরু করে বাংলাদেশ। উইকেটে সেট হয়ে গেলে নাকি দায়িত্ব বেড়ে যায়। তখন ইনিংসকে বড় করা অপরিহার্য। কিন্তু কাল মিরপুরে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা এটা কী দেখালেন! একাদশের আট ব্যাটসম্যানের প্রত্যেকেই উইকেটে সেট হওয়ার পরও নিজেদের ইনিংসকে লম্বা করতে পারলেন না।

এক্ষেত্রে একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন মুমিনুল হক। অনেক দিন থেকে রান খরায় ভুগতে থাকা মুমিনুল চট্টগ্রাম টেস্টে সুযোগ পাননি। কিন্তু ইয়াসির আলীর ব্যর্থতায় ঢাকা টেস্টে তিনি ঢুকে পড়েন একাদশে। খেলেন ৮৪ রানের দারুণ এক ইনিংস। কিন্তু মুমিনুলের ইনিংসটা যতটা স্বস্তিদায়ক তারচেয়ে অনেক বেশি অস্বস্তিকর অন্যদের ইনিংস।   স্কোর লাইনটা দেখুন নাজমুল শান্ত ২৪, জাকির হাসান ১৫, সাকিব আল হাসান ১৬, মুশফিকুর রহিম ২৬, লিটন দাস ২৫, মেহেদী হাসান মিরাজ ১৫, নুরুল হাসান সোহান ৬। টেস্টের মতো দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে একজন ব্যাটসম্যানের প্রথম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে উইকেটে সেট হওয়া। আর সেট হয়ে গেলে ইনিংস বড় করাটা যেন সময়ের ব্যাপার। কিন্তু কাল উল্টো পথে হাঁটলেন টাইগার ব্যাটাররা। নিজেদের যেন চূড়ান্তভাবে ‘আনারি’ হিসেবে বাইশগজে উপস্থাপন করলেন। ব্যাটিং এমন দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেওয়া দলকে নিয়ে কতটাই বা আশা করা যায়! তারপরও বৈচিত্র্যময় টেস্ট ক্রিকেট বলে কথা! কখন যে কিভাবে রঙ বদলে যায়, তা বলা কঠিন। তবে প্রথম দিনে স্বাগতিকরা যে পিছিয়ে পড়ল-এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সর্বশেষ খবর