শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

আন্দোলনে খেলা হবে, নির্বাচনে খেলা হবে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের ফলাফল ছিল অশ্বডিম্ব। আজ (গতকাল) ঢাকায় ৩৩ দল ৩৩টা ঘোড়ার ডিম পেড়েছে। ৩৩ দলের অশ্বডিম্ব।’ গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, হামলার বিরুদ্ধে, খুনের বিরুদ্ধে, খুনির বিরুদ্ধে এবং হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে। আন্দোলনে খেলা হবে, নির্বাচনে খেলা হবে। আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনে ফাইনাল খেলা হবে। আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাজিত করে বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাবে। সেদিন জনগণ বিএনপিকে লাল কার্ড দেখাবে।’ দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রস্তুত থাকবেন, সতর্ক পাহারায় থাকবেন। আমরা আক্রমণ করব না, কিন্তু আক্রান্ত হলে ছেড়ে দেব না।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে এতে দিনভর অবস্থান নেন এবং বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান সিরাজ, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, সহ-সভাপতি হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আশরাফ তালুকদার, আক্তার হোসেন, গোলাম সরোয়ার কবির, প্রচার সম্পাদক সাইফুন্নবী চৌধুরী সাগর ও দফতর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ প্রমুখ। এদিকে গতকাল বিকালে রাজধানীর শ্যামলী স্কয়ার প্রাঙ্গণে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এ রাষ্ট্রকে ধ্বংস করেছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এরা (বিএনপি) নষ্ট রাজনীতি করে। যারা নষ্ট রাজনীতি করে তারা রাষ্ট্র মেরামত করতে পারে না।’ ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির পরিচালনায় সভায় বক্তৃব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাদেক খান এমপি, মতিউর রহমান বিশ্বাস, আজিজুল হক রানা, মিজানুর রহমান প্রমুখ।  বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় বিবৃতি না দেওয়া বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আজ বিএনপি বুদ্ধিজীবীদের মাধ্যমে ফখরুলের মুক্তি চায়, ভালো। ফখরুল তাদের বন্ধু। তাদের শুভাকাক্সক্ষী। তিনি অসুস্থ আমরা জানি না। বুদ্ধিজীবীরা বিবৃতি দিয়ে বলছেন, তিনি নাকি অসুস্থ। এ বাংলাদেশে যখন ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল, তখন কী আপনারা বিবৃতি দিয়েছিলেন? বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় আপনাদের মুখের ভাষা কোথায় ছিল? আমি জানতে চাই কোথায় ছিল প্রতিবাদ, জাতীয় চার নেতাকে জেলখানায় হত্যা করা হলো, কোথায় ছিল আপনাদের প্রতিবাদ। আহসানউল্লাহ মাস্টারকে যখন প্রকাশ্যে হত্যা করা হয় তখন কী প্রতিবাদ করেছিলেন?’

সর্বশেষ খবর