বুধবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
নিষ্ক্রিয় করা হলো গ্রেনেড

আরসা প্রধানসহ ৫৯ রোহিঙ্গার নামে মামলা

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-৮ পশ্চিম) গুলিবিদ্ধ মোহাম্মদ নবীর (৩৮) বসতঘর থেকে উদ্ধার অত্যাধুনিক গ্রেনেডটি গতকাল দুপুরে বিস্ফোরণের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। রামু সেনানিবাসের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট গ্রেনেডটি সফলভাবে নিষ্ক্রিয় করে।

পুলিশ জানায়, ৬ জানুয়ারি দুপুর দেড়টার দিকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের হামলায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মোহাম্মদ নবী গুলিবিদ্ধ হন। ওই দিন বিকালে আশ্রয়শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যরা মোহাম্মদ নবীর বসতঘরে তল্লাশি চালিয়ে অত্যাধুনিক গ্রেনেডটি উদ্ধার করেন।

ঘটনার দুই দিন পর রবিবার রাতে উখিয়া থানায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেন গ্রুপের প্রধান নবী হোসেনকে (৪৫) আসামি করে মামলা করে এপিবিএন। বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে করা মামলাটিতে এজাহারনামীয় আসামি ৩৪ জন এবং আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলায় গুলিবিদ্ধ মোহাম্মদ নবীকে ৩ নম্বর এবং মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘আরাকান স্যালভেশন আর্মির’ (আরসা) প্রধান কমান্ডার আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনিকে (৪৮) ৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এজাহারে জুনুনির ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রুর কোনারপাড়া সীমান্তের শূন্যরেখা। আশ্রয়শিবিরে মাদক চোরাচালানের অন্যতম হোতা নবী হোসেনের ঠিকানা দেখানো হয়েছে উখিয়ার বালুখালী আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-৮ পশ্চিম) বি-৪১ ব্লক। তাঁর বাবার নাম মোস্তাক আহমদ।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, গুলিবিদ্ধ মোহাম্মদ নবী আরসার সমর্থক। তার ঘরের কোনায় পাওয়া গেছে আর্জেস গ্রেনেডের মতো দেখতে অবিস্ফোরিত অত্যাধুনিক গ্রেনেডটি। গ্রেনেডটি রামু সেনানিবাসে নিষ্ক্রিয় করা হয়। গ্রেনেডটি কীভাবে রোহিঙ্গা বসতিতে এলো তার রহস্য উদ?ঘাটনে অনুসন্ধান করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

পুলিশ জানায়, গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মোহাম্মদ নবী বর্তমানে পুলিশি পাহারায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর