সোমবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

সেপ্টেম্বরে ভারত সফর শেখ হাসিনার

বৈঠকে বসছেন মন্ত্রীরা

গৌতম লাহিড়ী, নয়াদিল্লি

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর চূড়ান্ত করতে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রসচিবের বৈঠক হতে যাচ্ছে শিগগিরই। এ বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং অন্যান্য আলোচ্য বিষয়সহ সফরের কর্মসূচি ঠিক করা হবে।

দায়িত্বশীল সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী সেপ্টেম্বরে ভারতে আসবেন। তাঁর এই সফরের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্মেলনের ফাঁকে ফাঁকে তাঁর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় সমুদ্র সহযোগিতা, জয়বায়ু পরিবর্তন, সৌর বিদ্যুৎ, মহাকাশ গবেষণা, সাইবার নিরাপত্তা, তথ্য প্রযুক্তি, দূষণমুক্ত অ্যানার্জি ইত্যাদি বিষয়ে নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র উন্মোচিত হতে পারে। জানা গেছে, এ বৈঠকের প্রস্তুতি এবং যাবতীয় কর্মসূচি চূড়ান্ত করতে ভারতের পরাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর ও বাংলাদেশের পরারাষ্ট্রমন্ত্রী  ড. এ কে আবদুল মোমেনের মধ্যে বৈঠক হবে। আগামী মার্চ মাসে জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য ভারতে আসবেন বাংলাদেশের পরররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় এস জয়শংকর এবং ড. এ কে আবদুল মোমেনের মধ্যে বৈঠক হবে। অবশ্য তারও আগে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরামর্শমূলক বৈঠকে যোগ দিতে ঢাকায় যাবেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের বিষয়ে আলোচনা করবেন। উভয় বৈঠকের মধ্য দিয়ে যাবতীয় কর্মসূচি চূড়ান্ত হবে। এদিকে দুই দেশের সচিব পর্যায়ে বৈঠকের বিষয়ে ধারণা পাওয়া গেছে, আগামী জুনে ভারতের নুমালিগড় থেকে বাংলাদেশের পার্বতীপুর পর্যন্ত ডিজেল পাইপলাইনের পরীক্ষামূলক সরবরাহ শুরুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই সঙ্গে টঙ্গী-আখাউড়া রেলের ডুয়েল গেজ লাইন, রেল কোচ সরবরাহ, বাংলাদেশ রেলব্যবস্থা আধুনিকীকরণের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি সরবরাহের বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে। জানা গেছে, কুনিয়া-লালমনিরহাট-মোগলহাট-নিউ গিতালদহ লিংক, পশ্চিমবঙ্গের হিলি থেকে বিরামপুর পর্যন্ত নতুন সংযোগ, বেনাপোল-যশোর সিগন্যালিং ব্যবস্থা ও স্টেশন আধুনিকীকরণ বিষয় নিয়েও কথা হবে উভয় পক্ষে। এই বৈঠকে বুড়িমারী-চ্যাংড়াবান্ধা সংযোগ ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা নিয়েও সিদ্ধান্ত হতে পারে। এ ছাড়া ফেনী নদী ও তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি সম্পাদন নিয়ে আলোচনা করবেন দুই পররাষ্ট্রসচিব। বৈঠকে দুধকুমার, ধরলা, গোমতি, মনু, খোওয়াই এবং মুহুরীর পানিবণ্টন চুক্তির খসড়া তৈরি করা হতে পারে। সর্বশেষ ৩৮তম যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকে আরও নতুন আটটি নদীর পানিবণ্টনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে আলোচনার তালিকায় সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার ক্ষেত্রে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সশস্ত্র বাহিনীর টহল নিষিদ্ধ করা নিয়ে কথা হবে।

সর্বশেষ খবর