বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেছেন, ঋণপত্র (এলসি) খোলা নিয়ে পরিস্থিতি আগামী দু-এক মাসের মধ্যে স্বাভাবিক হতে পারে। গত সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তার কার্যালয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই সভাপতি মো. সামীর সাত্তার, ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলমগীর (আরমান), সহসভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলীসহ পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক এলসি মার্জিন ন্যূনতম করাসহ বেশ কিছু নীতিগত পদক্ষেপ গ্রহণে কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু নীতিগত পরিবর্তন এনেছে, যার মধ্যে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমাদানের বিধান শিথিল করা, স্থানীয় ব্যাংকের ফি মওকুফ এবং রেমিট্যান্স আহরণে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসকে (এমএফএস) সম্পৃক্ত করা উল্লেখযোগ্য। এতে সামনের দিনগুলোতে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বৃদ্ধি পাবে। ডিসিসিআই সভাপতি মো. সামীর সাত্তার বলেন, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে ঋণপত্র নিষ্পত্তিতে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সহায়তা করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানান।