বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেছেন, দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। এ উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা। তিনি বলেন, আমাদের দেশে ২০ কোটি মানুষের ৪০ কোটি হাত, আর এ ৪০ কোটি হাত যদি আমরা এক হয়ে কাজ করি তাহলে এ দেশ এগিয়ে যাবে।
গতকাল রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি)-এর রাজদর্শন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। আগামীকাল ২ ফেব্রুয়ারি রূপগঞ্জের পূর্বাচলে মেট্রোরেলের ডিপো উদ্বোধন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে তাঁকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাতে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষে লাখো সমর্থক সমাগমের লক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভাটি জনসভায় রূপ নেয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ শাহজাহান ভূইয়া।
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, রূপগঞ্জে মেট্রোরেল হলে দুই ঘণ্টার রাস্তা ১০ মিনিটেই পৌঁছানো যাবে। মেট্রোরেল হলে শুধু রূপগঞ্জই নয়, সারা দেশের মানুষ উপকৃত হবে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হবে, দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নের জন্য যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, তিনি সারা বিশ্বে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। যারা প্রকৃতই দেশকে ভালোবাসেন তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাপোর্ট না দিয়ে পারবেন না। আজকে আমাদের সৌভাগ্য যে, দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ব্রিজ, কালভার্ট, রাস্তাঘাটসহ যে উন্নয়নকাজ হচ্ছে সেটা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। পদ্মা সেতু নির্মাণকাজে অর্থ দিতে বিশ্বব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী তাঁর সাহসিকতায় দেশের অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণকাজ সমাপ্ত করেন।আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের কারণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেশি দিন বেঁচে থাকতে পারেননি। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সবাইকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। ছোট রাসেলকেও ছাড় দেয়নি হত্যাকারীরা। সেদিন দেশের বাইরে থাকায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে যান। প্রধানমন্ত্রী যে ক্ষত নিয়ে দেশ পরিচালনা করছেন ও উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দিচ্ছেন এটা বিরল। এ দেশের নেতা হিসেবে চিরভাস্বর হয়ে থাকবেন বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রূপগঞ্জের নির্যাতিত আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, আপনাদের কেউ যদি অন্যায়ভাবে হামলা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে তা আমি দেখব। যদি কেউ এমন ঘটনার শিকার হন আমাকে জানাবেন। প্রধানমন্ত্রীর হাত শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আপনারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবেন, আমি আপনাদের সঙ্গে আছি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের হাত ধরে আমরা রূপগঞ্জের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, ঐক্যবদ্ধ থাকব।
সভাপতির বক্তব্যে আলহাজ শাহজাহান ভূইয়া বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের পক্ষ থেকে করোনাকালে খাদ্যসামগ্রী এবং শীতকালে শীতবস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্ন সময়ে নানা সহযোগিতা করে চলেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। দেশের ক্রান্তিকালে সব সময়ই আহমেদ আকবর সোবহান আমাদের পাশে থেকেছেন ও আছেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আবুল বাশার টুকু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহরিয়া পান্না সোহেল, কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র আলহাজ রফিকুল ইসলাম, দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর মাস্টার, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন ভূঁইয়া, সাবেক চেয়ারম্যান আবু হোসেন ভূঁইয়া রানু, মনজুরুল ইসলাম মাঞ্জু, ভুলতা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আবু দাউদ মোল্লা, তারাবো পৌরসভার সাবেক মেয়র ও রূপগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান খান, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মিজানুর রহমান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কামাল হোসেন কমল, আশিকুল ইসলাম খোকন, আলী আজগর, আবদুল আউয়াল মোল্লা, ফয়েজুর রহমান প্রমুখ। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক লিয়াকত হোসেন, এশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, আবু সাঈদ, আফাজ উদ্দিন খান, কাজী আবদুল মজিদ, মোজাম্মেল হক মিলন, আলী মাস্টার, ফয়েজ আহমেদ, শামসুল হক, মাসুদ ভুঁইয়া, মনিরুজ্জামান মনির, সেকান্দর আজাদসহ রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
