বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
ক্ষতি হচ্ছে অর্থনীতির, দ্রুত লেন বাড়ানোর তাগিদ

বিশ্বে কোথাও বাজার নেই মহাসড়কের পাশে

মাহবুবুল আলম

বিশ্বে কোথাও বাজার নেই মহাসড়কের পাশে

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেছেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় সময় আমদানি-রপ্তানি কাজে নিয়োজিত পণ্যবাহী গাড়িগুলোকে দিনভর যানজটে আটকে থাকতে হয়। এতে পরিবহন ব্যয় যেমন বাড়ছে, সেই সঙ্গে বছরে নষ্ট হচ্ছে শত শত কোটি টাকার মূল্যবান জ্বালানি। যানবাহনের তুলনায় কমসংখ্যক লেন, মহাসড়কের পাশে হাটবাজার ও সিএনজি স্টেশনের কারণেই এ যানজট। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে মহাসড়কের পাশে এমন হাটবাজার নেই। সামনে যানজট আরও বাড়বে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল রাখতে দ্রুত এ সংকট দূর করতে ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দেশের আমদানি-রপ্তানির সিংহভাগ বাণিজ্য হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘিরে। এ মহাসড়কের গুরুত্ব আগামীতে আরও বাড়বে। মিরসরাইয়ে দেশের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরী, বে-টার্মিনাল, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চালু হলে এ মহাসড়কের ব্যস্ততা বেড়ে যাবে বহুগুণ। প্রতিবেশী দেশে ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টের কারণেও চাপ বাড়বে এ মহাসড়কের ওপর। তাই এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে। এ সড়কটি কমপক্ষে আট-দশ লেনের হওয়া উচিত। সেই সঙ্গে সার্ভিস লেনও থাকতে হবে। পণ্যবাহী পরিবহনকে যেন কোথাও দাঁড়াতে না হয়। দ্রুত মহাসড়কটি বাড়ানোর উদ্যোগ না নিলে অদূর ভবিষ্যতে বড় ধরনের মাশুল দিতে হবে দেশকে। এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে হাইওয়ের পাশে হাটবাজার থাকার নজির নেই। মহাসড়কে যান চলাচল করবে নির্বিঘ্নে এটাই নিয়ম। অথচ আমাদের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছে হাটবাজার। অনেক জায়গায় রাস্তার ওপর রয়েছে সিএনজি অটোরিকশা ও ছোট গাড়ির স্টেশন। এগুলোর কারণে পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহনগুলো নির্বিঘ্নে চলতে পারে না। এসব বাজার এলাকায় যানজট লেগেই থাকে, যার প্রভাব পড়ে পুরো মহাসড়কে। সময়ের সঙ্গে দেশকে এগিয়ে নিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক আট-দশ লেনে উন্নীত করা খুবই জরুরি। সেই সঙ্গে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে লোকজন চলাচলের জন্য ফুটওভার ব্রিজ ও আন্ডারপাস তৈরি করতে হবে। নির্দিষ্ট দূরত্বে ইউলুপ, ওভারপাস তৈরি করতে হবে। মহাসড়কটির যানজট দূর করা এখন ব্যবসায়ীদের অন্যতম দাবি।

সর্বশেষ খবর