বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ প্রতিদিনের মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সময়

সমরেশ মজুমদার

বাংলাদেশ প্রতিদিনের মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সময়

সেই শৈশব থেকে বালকবেলা, সেটা পেরিয়ে কৈশোরে এসে দুই হাত বাড়িয়ে মুঠোয় আকাশ ধরার বাসনা- এই করতে করতে বাংলাদেশ প্রতিদিনের এখন মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সময় চলে এলো। কৈশোর পেরিয়ে গেছে, আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারের মতো যৌবন এলো বলে। আজ এই চৌদ্দতম জন্মদিনে আগামীকালের পায়ের আওয়াজ কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। বাংলাদেশের খবরের কাগজের ইতিহাসে যে কোনো সংবাদপত্রের ভূমিকা তুলে ধরবে সম্মানের সঙ্গে, মানুষের শোক-দুঃখ, আনন্দ, গৌরবের কথা বলতে পারবে বুক ফুলিয়ে, সংবাদপত্রের স্বার্থেই করে যাওয়া হয়েছে গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে। সেই স্তম্ভকে আরও শক্তিশালী করার যে প্রস্তুতি তা গত তেরো বছরে নেওয়া হয়ে গেছে। এখন বাংলাদেশ প্রতিদিন শক্ত পায়ে এগিয়ে যাবে যৌবনকালের দিনগুলোয়। যে কাজ তাকে শুধু গৌরবান্বিত করবে না, আম-পাঠকের শ্রদ্ধাও তার প্রাপ্য হবে।

একজন সামান্য লেখক হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিদিনে আমাকে লেখার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি সম্পাদকের কাছে কৃতজ্ঞ। যে কথা বলা অত্যন্ত প্রয়োজন, কোনোবারেই লেখার আগে আমাকে বলা হয়নি, কী লিখতে হবে, কী বা লিখাই ভালো। লেখককে শ্রদ্ধা জানিয়ে যে কাগজ নিজেদের শ্রদ্ধেয় করে তোলেন তাদের অন্তত ছিয়াশি বছর ধরে আমি সঙ্গী হয়ে থাকতে চাই। ছিয়াশি বছর পর বাংলাদেশ প্রতিদিনের বয়স একশ হবে। তার ভিত তারা নিজেই তৈরি করে নিয়েছে।

সর্বশেষ খবর