অভিষেকেই আলো ছড়িয়েছেন তৌহিদ হৃদয়। দারুণ ব্যাটিং করেছেন। বিশ্বরেকর্ডের হাতছানি ছিল। কিন্তু মনঃসংযোগে সামান্য বিচ্যুতি ঘটায় পারেননি। ৮ রানের আক্ষেপে পুড়ে হতাশার কালো চাদরে ঢাকা পড়েছেন তৌহিদ। ২২ বছর বয়সী তরুণের হতাশার রাতে রেকর্ড বুকে নাম লিখেছেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের রেকর্ড গড়ার ম্যাচে বাংলাদেশ ১৮৩ রানে হারিয়েছে আয়ারল্যান্ডকে। ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় জয় বাংলাদেশের। আগের রেকর্ড ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ২০২০ সালে সিলেটেই বাংলাদেশ জিতেছিল ১৬৯ রানে। এই জয়ে ৩ ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে তামিম ইকবালের বাংলাদেশ। আগামী সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে এবং ২৩ মার্চ তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে। ৩৩৯ রানের জবাবে আয়ারল্যান্ড গুটিয়ে যায় ৩০.৫ ওভারে ১৫৫ রানে। ৭ হাজারি ক্লাবে নাম লেখানোর হাতছানি ছিল সাকিব ও মুশফিকুর রহিমের। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার নতুন মাইলফলক গড়েছেন। কিন্তু অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে মুশফিককে। তামিম ইকবালের পর দ্বিতীয় টাইগার ক্রিকেটার হিসেবে ৭ হাজারি ক্লাবে নাম লিখতে সাকিবের দরকার ছিল মাত্র ২৪ রান। ইনিংসের ২০ নম্বর ওভারে কার্টিস ক্যা¤ফারকে মিড অফে ঠেলেই রেকর্ড বইয়ে নাম লিখেন সাকিব। একই সঙ্গে সনৎ জয়সুরিয়া ও শহিদ আফ্রিদীর পর তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ৭ হাজার রান ও ৩০০ উইকেট নেওয়ার বিরল ক্লাবে নাম লেখান। শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক জয়সুরিয়া ৪৪৫ ম্যাচে ১৩৪৩০ রান ও ৩২৩ উইকেট নিয়েছেন। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার আফ্রিদী ৩৯৮ ম্যাচে ৮০৬৪ রান ও ৩৯৫ উইকেট নিয়েছেন। ৮৯ বলে ৯ চারে ৯৩ রানের ইনিংস খেলা শেষে সাকিবের প্রোফাইল ২২৮ ম্যাচে ৩৮ গড়ে ৭০৬৯ রান ও ৩০০ উইকেট নিয়েছেন। মুশফিকের রান ৬৯৪৫ রান ২৪২ ম্যাচে। তৌহিদ হৃদয়ের অভিষেক হয়। গতকাল ৯২ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন ৮৫ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায়। গ্রাহাম হিউমের ইনকাটে স্ট্র্ইেট ব্যাটিং করলে বলটি মিড অফে যেত। কিন্তু হৃদয় মিড উইকেটে খেলার চেষ্টা করেন। বলের লাইন মিস করে বোল্ড হন। ফলে অভিষেকেই ৪ নম্বরে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়তে পারেননি হৃদয়। দুজনের হাফসেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান। যা আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বোচ্চ স্কোর। আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১৯ সালে ডাবলিনে ৪ উইকেটে ২৯৪ রান। টাইগার ক্রিকেটারদের মধ্যে অভিষেকে সর্বোচ্চ রান হৃদয়ের, ৯২। এর আগে অভিষেকে হাফসেঞ্চুরির ইনিংস ছিল ফরহাদ রেজা ও নাসির হোসেনের। ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬ নম্বরে নেমে ফরহাদ রেজা করেছিলেন ৫০ রান এবং ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ৮ নম্বরে নেমে নাসির হোসেন করেছিলেন ৬৩। সফরকারীদের ৩০.৫ ওভারে ১৫৫ রানে গুটিয়ে দিতে দারুণ বোলিং করেন ইবাদত হোসেন। ৪২ রানের খরচে নেন ৪ উইকেট, নাসুম ৩টি, তাসকিন আহমেদ ২টি ও এক উইকেট নেন সাকিব।
শিরোনাম
- বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং
- দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন
- ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!
- ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা
- আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের
- রাজধানীর বনানীতে গৃহবধূর আত্মহত্যা
- পারিবারিক কলহের জেরে চকবাজারে গৃহবধূর আত্মহত্যা
- ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ
- জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি
- মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার
- ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরে দেশ ও জাতির মুক্তি হয়েছিল : সেলিমুজ্জামান
- ‘স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষে ভোট দিতে হবে’
- আগামীর বাংলাদেশে বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি করতে চাই : মাহদী আমিন
- শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
- নওগাঁয় কর্মীসভা অনুষ্ঠিত
- নির্বাচন ঠেকাতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে : আমান
- শহীদ জিয়াই জাতির মহানায়ক: মীর হেলাল
- মনে হচ্ছে নির্বাচন বানচাল করা গণহত্যাকারীদের একমাত্র লক্ষ্য : প্রিন্স
- ঝালকাঠিতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় র্যাব সদস্যসহ নিহত ২
- ফটিকছড়িতে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে অসন্তোষ, আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ
বিশাল ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর