শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

লন্ডনের ওহি মানতে বাধ্য ফখরুলরা

ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মির্জা ফখরুলদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মিথ্যাচার এবং অসত্য, মনগড়া ও বানোয়াট বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে এ বিবৃতি প্রদান করা হয়। ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুলের মর্মবেদনা আমরা বুঝি! প্রকৃতপক্ষে বিএনপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মির্জা ফখরুলদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। সুদূর লন্ডন থেকে যে ওহি নাজিল হয়, যে সিদ্ধান্ত আসে মুখ বন্ধ করে তা মেনে নিতে বাধ্য হন ফখরুলরা। কাদের বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামির প্রেসক্রিপশনে পরিচালিত হয় বিএনপি; অগণতান্ত্রিক ও অগঠনতান্ত্রিকভাবে কমিটি ভাঙে-গড়ে, বহিষ্কার-পুরস্কার নির্ধারিত হয় এবং কমিটি ও মনোনয়ন নিয়ে বাণিজ্য চলে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আয়নার সামনে নিজের অসহায়-নিরুপায়-পরাধীন চেহারা দেখতে দেখতে বিএনপি মহাসচিব ফখরুল জনগণের বাকস্বাধীনতাকে ওই একই ফ্রেমে বন্দি করে ফেলেছেন। তাই মির্জা ফখরুল তোতা পাখির মতো সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারে লিপ্ত থাকেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মানুষের বাক, ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলেছেন। মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্য ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া কিছু নয়। কারণ বিএনপি কখনোই জনগণের বাকস্বাধীনতা ও জনমত ধারণ করেনি। বিএনপির জন্মই হয়েছিল বন্দুকের নলের মুখে জনগণকে জিম্মি করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের বাকস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অবাধ সুযোগ প্রতিষ্ঠায় অবিরাম আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষের বাক, ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সুসংহত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে মতপ্রকাশের অনিরুদ্ধ দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। তিনি বলেন, অর্ধশতাধিক বেসরকারি টেলিভিশন, এফএম রেডিও, কমিউনিটি রেডিও এবং সহস্রাধিক সংবাদপত্রের নিবন্ধন দিয়ে সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সম্প্রসারিত করেছে। সেই সঙ্গে ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাক, ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার দুয়ার উন্মুক্ত হয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সুযোগের অপব্যবহার করে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দ প্রতিনিয়ত চিরায়ত ভঙ্গিতে সরকারের বিরুদ্ধে নির্লজ্জভাবে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। শুধু বাকস্বাধীনতা ভোগ করাই নয়, নিজেদের ইচ্ছামতো মনগড়া অপপ্রচার চালাতেও তারা কুণ্ঠাবোধ করে না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা জনগণের কল্যাণে, গণ আকাক্সক্ষা ও প্রত্যাশা ধারণ করেই সরকার পরিচালনা করছেন। মানুষকে নির্বাক করে রাখতে নয় বরং গণমানুষের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিধ্বনিকে প্রতিষ্ঠা করতেই পরিচালিত হয় সরকারের সব উদ্যোগ। তিনি বলেন, বিএনপি আমলে জনগণের বাকস্বাধীনতা এবং ন্যূনতম নাগরিক অধিকারও ছিল না। বিএনপি রাষ্ট্রযন্ত্রকে অপব্যবহার করে গোষ্ঠীতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। বিএনপির শাসনামলে বিদ্যুতের দাবি করায় নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা, সারের দাবিতে আন্দোলন করায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, বেতন-বোনাস দাবি করায় মিছিলে গুলি চালিয়ে শ্রমিক হত্যাসহ জনগণের ওপর স্টিম রোলার চালানোর মধ্য দিয়ে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। রাষ্ট্রযন্ত্রকে অপব্যবহার করে বিরোধী দল নিশ্চিহ্ন করতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের নারকীয় গ্রেনেড হামলার মতো ভয়াবহ গণহত্যা সংঘটিত করেছিল বিএনপি।

 

সর্বশেষ খবর