শুক্রবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য

ঢাকার বেশির ভাগ মার্কেটই অগ্নিঝুঁকিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানী সুপার মার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট, নিউমার্কেট, চকবাজার ও ঠাটারিবাজারের কয়েকটি মার্কেটসহ ঢাকার বেশির ভাগ মার্কেটই অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর। গতকাল ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার একটি সমন্বিত দল গাউছিয়া মার্কেট পরিদর্শন করে। পরে পরিদর্শক দলের প্রধান ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা সদর জোন-১-এর উপসহকারী পরিচালক মো. বজলুর রশিদ এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ঢাকা শহরের বেশির ভাগ মার্কেট ও কাঁচাবাজার আমাদের চোখে ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ঠাটারিবাজার, রাজধানী সুপার মার্কেট, নিউমার্কেট, চকবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সব মার্কেটেই কিছু না কিছু ঝুঁকি রয়েছে। কারণ কেউ ফায়ার সার্ভিসের নির্দেশনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তাই আমাদের দৃষ্টিতে বেশির ভাগ মার্কেটই ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা অনুরোধ করব যেন মার্কেটগুলোয় ফায়ার সার্ভিসের নির্দেশনা শতভাগ বাস্তবায়ন করা হয়।

গাউছিয়া মার্কেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ মার্কেটের ছয়টি সিঁড়ি রয়েছে, কিন্তু সিঁড়িগুলো উন্মুক্ত নয়। দোকান বসার কারণে সবই অপ্রশস্ত হয়ে পড়েছে। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে এসব সিঁড়ি দিয়ে পর্যাপ্ত মানুষ নামতে পারবে না। বৈদ্যুতিক তার যেখানে-সেখানে ঝুলে রয়েছে। এ ছাড়া মার্কেটটিতে স্বয়ংক্রিয় ফায়ার অ্যালার্ম ব্যবস্থা স্থাপনের কথা বলা হয়েছিল, তা এখনো করা হয়নি। এ মার্কেটে ৪৩০টি দোকান রয়েছে। মার্কেটের ওপরের তলাগুলোয় পাইকারি ব্যবসায়ীদের অফিস ও গুদাম। মার্কেটে ফায়ার এক্সটিংগুইশার আছে, এ ছাড়া যা যা থাকা দরকার তা নেই। ২০২০ সালে মার্কেটটিতে একটি মহড়া হয়েছিল। মহড়া শেষে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছিল, যার কিছু বাস্তবায়ন হয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভাতে কাজ করবে, সেজন্য পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থাও সেখানে নেই। রিজার্ভ পানি থাকলেও পর্যাপ্ত নয়। এ মার্কেটে ফায়ার টিম আছে বলে জানিয়েছে মালিক সমিতি, তবে তার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এ সময় গাউছিয়া মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ কামরুল হাসান বাবু বলেন, দুই বছর আগে ফায়ার সার্ভিস যে নির্দেশনা দিয়েছে তা পরিপূর্ণ করেছি। আমাদের ফায়ার সার্টিফিকেট আছে। এ ছাড়া সব ভবনেই কিছু ত্রুটি থাকে, আমাদের এখানে আউটডোরসহ যে ত্রুটি আছে তা দু-এক দিনের মধ্যে সমাধানের চেষ্টা করব। সিঁড়ির মধ্যে দোকান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসব দোকান বসাতে সমিতির কোনো দায় নেই। কর্তৃপক্ষ যাদের দোকান বরাদ্দ দিয়েছে তারা জানেন এ বিষয়ে। সমিতির সভাপতি হিসেবে দোকান বরাদ্দ দেওয়ার কাজ আমার নয়। এর পরও ফায়ার সার্ভিস এসব দোকান সরাতে বলছে, আমরা কমিটির সবাই বসে সিদ্ধান্ত নেব।

সর্বশেষ খবর