শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

সাড়ে তিন বছর পর দেশে টেস্ট জিতল বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সাড়ে তিন বছর পর দেশে টেস্ট জিতল বাংলাদেশ

মুমিনুলকে সঙ্গে নিয়ে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছান মুশফিক -রোহেত রাজীব

দ্বিতীয় দিনেই বিধ্বংসী বোলিংয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন সাকিবরা। মনে হচ্ছিল তৃতীয় দিনের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় সেশনে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জিতে নেবে টাইগাররা। কিন্তু তৃতীয় দিন সাকিব বাহিনীর সাঁড়াশি বোলিং আক্রমণ সামলে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় আয়ারল্যান্ড। দারুণ প্রতিরোধ গড়ে তোলেন হ্যারি টেক্টর, লরকান টাকার ও এন্ডি ম্যাকব্রাইন। টাকারের সেঞ্চুরি এবং টেক্টর ও ম্যাকব্রাইনের জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে সফরকারীরা টেস্ট টেনে নিয়ে যান চতুর্থ দিনে। তিন আইরিশ ক্রিকেটারের প্রতিরোধে ম্যাচের সময়কাল দীর্ঘতর হলেও হার এড়াতে পারেনি। গতকাল দিনের দ্বিতীয় সেশনেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিমের অসাধারণ ব্যাটিং, তাইজুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিংয়ে সাকিব বাহিনী টেস্টটি জিতে নেয় ৭ উইকেটে। ২০২৩ সালে এই প্রথম টেস্ট খেলল টাইগাররা। শুধু তাই নয়, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকটিও স্মরণীয় করে নেয় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ১২৬ ও দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৫১ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। যদিও প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ২০২২ সালও বাংলাদেশ শুরু করেছিল মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয় দিয়ে। আগের দিন টাকারের ১০৮, টেক্টরের ৫৬ ও ম্যাকব্রাইনের অপরাজিত ৭১ রানে ভর করে অয়ারল্যান্ড দিন শেষ করে ৮ উইকেটে ২৮৬ রান তুলে। গতকাল স্কোর বোর্ডে মাত্র ৬ রান যোগ করে সফরকারীরা। উইকেট দুটি তুলে নেন ডান হাতি ফাস্ট বোলার ইবাদত হোসেন। স্বাগতিকদের টার্গেট দেয় ১৩৮ রানের। তামিম ইকবালের ৩১, লিটন দাসের ১৭ বলে ২৩ রান, মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত ৫১ ও সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হকের অপরাজিত ২০ রানে ভর করে ২৭.১ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। এর আগে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ২০৯ এবং ৩ ম্যাচ টি-২০ সিরিজ বাংলাদেশ জিতে নেয় ২-১ ব্যবধানে। ১৪৬ বছরের ক্রিকেট ইতিহাসে টেস্ট খেলুড়ে দেশের সংখ্যা ১২টি। আয়ারল্যান্ড ছাড়া বাকি ১০ টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে হারের তিক্ত স্বাদ নিয়েছে বাংলাদেশ। এই প্রথম কোনো দেশের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকে জিতল টাইগাররা। ২০০০ সালে ভারতের কাছে ৯ উইকেটে, ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের কাছে ইনিংস ও ৩২ রানে, ২০০১ সালে পাকিস্তানের কাছে ইনিংস ও ২৬৪ রানে, ২০০১ সালে শ্রীলঙ্কার ইনিংস ও ১৩৭ রানে, ২০০১ সালে হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের কাছে ইনিংস ও ৫২ রানে, ২০০২ সালে ইস্ট লন্ডনে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ইনিংস ও ১০৭ রানে, ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ইনিংস ও ৩১০ রানে, ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ইনিংস ও ১৩২ রানে, ২০০৩ সালে ইংল্যান্ডের কাছে ৭ উইকেটে এবং ২০১৯ সালে আফগানিস্তানের কাছে হেরেছে ২৬৪ রানে। আয়ারল্যান্ডকে হারিয়েছে সাড়ে ৩ দিনে ৭ উইকেটে।

সর্বশেষ খবর