শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

দুদকের মামলায় তারেক-জোবাইদার বিচার শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের অনুপস্থিতিতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মাধ্যমে এ মামলায় তাদের আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত গতকাল এ অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। একই সঙ্গে এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১৬ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। এর আগে তাদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের বিষয়ে করা আবেদনটি নামঞ্জুর করেন আদালত। দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। ৯ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এ মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন পলাতক আসামিপক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করতে অ্যাডভোকেট মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার শুনানি করেন। দুদকের আইনজীবী মীর আহাম্মদ আলী সালাম পলাতক আসামির পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অভিযোগ গঠন ও আইনজীবী নিয়োগের আদেশের জন্য ১৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। এর আগে ৩০ জানুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হতে বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয়ে গেজেট প্রকাশ করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান।

গেজেটে বলা হয় : তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। আদালতের বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে যে, তারা গ্রেফতার ও বিচার এড়ানোর জন্য আত্মগোপনে রয়েছেন। সেহেতু তাদের আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য সম্পাদন করা হবে।

গত বছরের ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক ও জোবাইদার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে গত বছরের ২৬ জুন হাই কোর্ট তারেক ও জোবাইদাকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার দুর্নীতি মামলা দায়ের ও তার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে করা পৃথক রিট আবেদন খারিজ করে দেন।

রিট খারিজ করে দেওয়া রায়ে হাই কোর্ট একই সঙ্গে ২০০৭ সালে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দায়ের করা এ মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতকে যত দ্রুত সম্ভব বিচার কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেন। এ ছাড়া ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে এ রায় পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে মামলার রেকর্ড ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠাতে বলা হয়। মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তার মা ইকবালমান্দ বানুকে আসামি করা হয়। তারেক রহমানের শাশুড়ি মারা যাওয়ায় এ মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর