মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

তিন দেশ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

উন্নয়নশীল দেশ প্রতিষ্ঠায় জনগণ আরেকবার সুযোগ দেবে

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

তিন দেশ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

১৫ দিনের সফরে জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরের উদ্দেশে আজ ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সকাল পৌনে ৮টায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে তিনি টোকিওর উদ্দেশে রওনা দেবেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে টোকিও, বিশ্বব্যাংকের আমন্ত্রণে ওয়াশিংটন এবং ব্রিটেনের রাজা চার্লসের (তৃতীয়) রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য লন্ডন যাবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ৯ মে ঢাকা ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫-২৮ এপ্রিল জাপানে সরকারি সফর করবেন। আগামীকাল জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। একই দিন সন্ধ্যায় জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই দেশের সরকারপ্রধানের মধ্যে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় শীর্ষ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী অংশগ্রহণ করবেন। তাঁদের উপস্থিতিতে উভয় দেশের মধ্যে কৃষি, মেট্রোরেল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল আপ গ্রেডেশন, শিপ রিসাইক্লিং, কাস্টমস ম্যাটারস, ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি, ডিফেন্স কো-অপারেশন, আই সি টি এবং সাইবার সিকিউরিটি কো-অপারেশন ইত্যাদি সেক্টরে প্রায় ৮টি চুক্তি বা সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আয়োজিত নৈশভোজের মাধ্যমে শীর্ষ বৈঠকের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে। বৃহস্পতিবার টোকিওর একটি হোটেলে বাংলাদেশের বিএসইসি, বিডা ও জাপানের জেট্রোর যৌথভাবে আয়োজিত বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথির ভাষণ প্রদান করবেন। এ দিন চারজন জাপানি নাগরিককে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে এক নাগরিক সংবর্ধনায় যোগদান করবেন। এ ছাড়া এই সফরে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি, জাইকা, জেটরো, জেবিক, জেবিপিএফএল, জেবিসিসিইসি-এর নেতৃবৃন্দ, জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত শিনজো আবের সহধর্মিণী আকিয়ে আবে এবং জাপানের একজন স্থপতি তাদাও আন্দোর সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে প্রধানমন্ত্রীর। জাপান সফরকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠা কন্যা শেখ রেহানা, পররাষ্ট্র মন্ত্রী, কৃষি মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীসহ উচ্চ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জাপান সফরের পর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইএমএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের পার্টনারশিপ-এর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস-এর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী আগামী ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের সদর দফতরে আয়োজিতব্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। একই দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের বোর্ড অব ডিরেক্টরস-এর একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ২ মে সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী কর্মকর্তাগণ একান্ত বৈঠক করবেন। একই দিনে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট নিসা বিসওয়ালের আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে গোলবৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন এবং মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্য প্রদান করবেন। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী ‘ইকোনমিস্ট’ সংবাদপত্রকে সাক্ষাৎকার প্রদান করবেন। এর পরে প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকবৃন্দ কর্তৃক আয়োজিত কমিউনিটি ইভেন্টে প্রধান অতিথি থাকবেন। এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গার সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আগামী ৪ মে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করবেন।

যুক্তরাজ্য সফর প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আগামী ৪-৮ মে যুক্তরাজ্য সফর করবেন। আগামী ৫ থেকে ৬ মে লন্ডনে ব্রিটেনের মহামতি রাজা চার্লস-তৃতীয় এবং কুইন কনসোর্ট ক্যামিলার রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। এ ছাড়া মার্লবোরো হাউসে মহামতি রাজার উপস্থিতিতে কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল কর্তৃক আয়োজিত কমনওয়েলথ লিডার্স ফোরামে প্রধানমন্ত্রী অংশগ্রহণ করবেন। এবার ৭০ বছর পর অনুষ্ঠিতব্য ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে প্রায় ১৩০টি দেশের রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান (কমনওয়েলথভুক্ত অধিকাংশ দেশের সরকার প্রধানসহ) অংশগ্রহণ করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ সফরে কমনওয়েলথের সেক্রেটারি জেনারেল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এ ছাড়াও যুক্তরাজ্যের কয়েকজন মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। প্রধানমন্ত্রী লন্ডনের একটি হোটেলে আয়োজিত একটি নাগরিক সংবর্ধনায় অংশগ্রহণ এবং যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশি ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাগরিকগণের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

উন্নয়নশীল দেশ প্রতিষ্ঠায় জনগণ আরেকবার সুযোগ দেবে : আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। আমি আশা করি জনগণ বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠায় আরেকবার সুযোগ দেবে। দেশটি ২০২৬ সাল থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু করবে। এ লক্ষ্যে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। ঈদের দিন (শনিবার) সকালে গণভবনে দলীয় নেতা-কর্মী, সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী প্রথমে দলীয় নেতা-কর্মী এবং কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষসহ সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরে তিনি মন্ত্রিপরিষদের সহকর্মী, বিচারক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান, বিদেশি কূটনীতিক, সিনিয়র সচিব, সচিব এবং সচিবের সমান পদমর্যাদার বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় এবং স্থিতিশীলতার কারণে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বাংলাদেশ এত বড় আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির সাক্ষী হয়ে রয়েছে, কারণ জনগণ ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে পরপর আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে বারবার ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসানোর জন্য এবং তাদের সেবা করার সুযোগ দেওয়ায় আমি মহান আল্লাহ ও বাংলাদেশের জনগণের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, খুনি, গ্রেনেড হামলাকারী ও দুর্নীতিবাজরা আবার ক্ষমতায় গেলে দেশ ও এর সব অগ্রযাত্রা ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে। যদি দুর্নীতিবাজরা আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে তারা দেশের সব উন্নয়নকে ধ্বংস করে দেবে। তিনি বলেন, ঈদুল ফিতরের পবিত্র দিনে আপনাদের সঙ্গে দেখা করে আমি সত্যিই খুব আনন্দ বোধ করছি। কারণ, আপনারা আমার কাছের প্রিয়জন এবং আত্মার আত্মীয়। তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভয়াবহ রাতে বাবা-মা এবং ভাইদের হারানোর পর এদেশের জনগণের ভালোবাসা ও স্নেহ পেয়েছি। শেখ হাসিনা দেশ ও দেশের জনগণকে মায়ের মতো ভালোবাসেন উল্লেখ করে বলেন, তিনি দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের মাধ্যমে সব মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করে সুন্দর ও উন্নত জীবন দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কারণ এটাই ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন। প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি বঙ্গবাজারসহ বিভিন্ন মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত চক্রের জড়িত থাকার ইঙ্গিত দেন এবং বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। তিনি ব্যবসায়ী সম্প্রদায়সহ সব মানুষকে তাদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষায় বিশেষ নজর দেওয়ার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে বলেন, যারা মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করতে পারে, তারা সবকিছুই করতে পারে। তিনি সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সেবক, এই দলটি সর্বদা জনগণের সেবা করে। সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা হিসেবে আমি গর্বিত। প্রধানমন্ত্রিত্ব আমার কাছে কিছুই নয়। তিনি ক্ষমতাকে জনগণের সেবা করার উপায় হিসেবে বিবেচনা করেন। তিনি বলেন, সড়ক, মহাসড়ক, সেতু, বিশেষ করে পদ্মা সেতুসহ ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়নের কারণে এবারের ঈদযাত্রা সহজ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। তিনি তাদের কাছের ও প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নিজ গ্রামে যাওয়া লোকজনকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, তাঁর সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ায় মানুষ এখন গ্রামে গ্রামে আনন্দ উপভোগ করছে।

প্রধানমন্ত্রী প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে এবং গরিব-দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি তাঁর দলের নেতা-কর্মীদেরও জনগণের প্রয়োজনে পাশে থাকার আহ্বান জানান।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যাতে কোনো সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী সারা দেশের প্রতিটি আবাদি জমি চাষের আওতায় আনার জন্য দেশবাসীর প্রতি তাঁর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমাদের নিজেদের জন্য খাদ্য উৎপাদন করতে হবে এবং উদ্বৃত্ত খাদ্য অন্য দেশে রপ্তানি করতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে অন্যান্য দেশে সবজি রপ্তানি শুরু করেছি।

বনানী গোরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের কবরে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। গত রবিবার সকালে তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে বনানী কবরস্থানে যান এবং শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তাঁরা সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। তাঁরা শহীদদের কবরে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে দেন। এরপর শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে ফাতেহা পাঠ এবং মোনাজাত করেন। বনানী কবরস্থানে তাঁদের মা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল এবং ১৯৭৫ সালের অন্যান্য শহীদরা চির নিদ্রায় শায়িত রয়েছেন।

সর্বশেষ খবর